সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

রামগঞ্জে ‘চোখ উঠা’ রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৩:৫৭ পিএম, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২

চোখ উঠা রোগের সাধারণত প্রকোপ থাকে গ্রীষ্মকালে। তবে এবার শরৎকালে এ রোগ বৃদ্ধি পেয়েছে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জসহ সারাদেশে।

 

চোখের চিকিৎসা নিতে আসা অধিকাংশই চোখ উঠা রোগী। প্রতিদিন ১০০ জনের অধিক রোগী হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসছেন। ছোঁয়াচে হওয়ায় পরিবারের কয়েকজন সদস্য একসাথে আক্রান্ত হচ্ছেন। প্রায় প্রতিটি ঘরেই কেউ না কেউ এ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি।

 

রামগঞ্জ হাসপাতালস ও ফামেসীগুলো ঘুরে দেখা যায়, রামগঞ্জে চোখ ওঠা রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রতিদিন রামগঞ্জে হাসপাতালসহ বিভিন্ন ফার্মেসীতে চোখ উঠা রোগীদের চিকিৎসা নিতে উপচে পড়া ভীড় লক্ষ্য করা গেছে।

 

চিকিৎসকরা বলছেন, এটি এক ধরণের ভাইরাস জনিত রোগ, চিকিৎসা বিজ্ঞানে এটিকে কনজাংটিভাইটিস বা কনজাংটিভার বলা হলেও গ্রামাঞ্চলে রোগটি চোখ ওঠা রোগ নামেই বেশ নামেই পরিচিত। রোগটি ছোঁয়াছে, ফলে দ্রুত অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। তবে আক্রান্তদের বেশীর ভাগই শিশু ও নারী। সাধারণত এক সপ্তাহের মধ্যেই এই রোগ সেরে যায়। তবে অসাবধানতার কারনে এটি জটিল রূপ ধারণ করতে পারে।

 

রামগঞ্জ উপজেলা থেকে শুরু করে গ্রাম-অঞ্চলে বেশির ভাগ ঘরেই এখন চোখ ওঠা রোগী। হাসপাতাল গুলোর বহির্বিভাগে বেড়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। সাধারণত এক সপ্তাহের মধ্যেই এই রোগ সেরে যায়। তবে জটিল রূপ ধারণ করলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়ার ওপর।

 

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ গুনময় পোদ্দয় বলেন, গরমে আর বর্ষায় ও ঋতু পরিবর্তনে অনেক সময় চোখ ওঠার প্রকোপ বাড়ে। চোখের একেবারে বাইরের স্বচ্ছ অংশটির ডাক্তারি নাম ‘কনজাংকটিভা’। ভাইরাসের সংক্রমণে সেখানে তৈরি হয় প্রদাহ, ফুলে যায় চোখের ছোট ছোট রক্তনালি।

 

তিনি আরো বলেন, ফুলে থাকা রক্তনালি গুলোর কারণেই চোখের রং লালচে হয়ে যায়, যেটাকে চোখ ওঠা বা ‘কনজাংকটিভাইটিস’ বলা হয়। কনজাংকটিভাইটিস বা চোখ ওঠা রোগের একমাত্র চিকিৎসা চোখের ড্রপার। তবে ড্রপার ব্যবহারের আগে এর মান ও মেয়াদ সম্পর্কে অবগত থাকতে হবে।

 

একুশে সংবাদ/ছা.হো/এসএপি

সারাবাংলা বিভাগের আরো খবর