সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

দুই সন্তানসহ প্রেমিকের হাত ধরে উধাও গৃহবধূ!

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৮:৫৫ পিএম, ৩০ আগস্ট, ২০২২

 

ভোলার লালমোহনে প্রেমিকের হাত ধরে পালিয়েছেন রিমা বেগম (২৬) নামের এক নারী। রিমা বেগম ওই ইউনিয়নের ইলেকট্রনিক্স ব্যবসায়ীর স্ত্রী। পার্শ্ববর্তী ধলীগৌরনগর নগর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডস্থ করিমগঞ্জ গ্রামের মৃত জামাল উদ্দিনের মেয়ে।

 

সোমবার (২৯আগস্ট) দিনগত রাতে উপজেলার লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়নের ৬ ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।

 

লালমোহন উপজেলার লর্ডহার্ডিঞ্জে পরকীয়ার টানে রাতের আধাঁরে যুবকের হাত ধরে রিমা বেগম দুই সন্তানসহ পালিয়েছে। পালানোর সময় সঙ্গে করে নগদ ৭৫ হাজার টাকা ও ৪ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে গেছেন বলে অভিযোগ স্বামীর।

 

রিমা বেগমের স্বামী জুবায়ের হোসেন লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের জহিরুল ইসলামের ছেলে। এ ঘটনায় লালমোহন থানায় তিনি একটি অভিযোগ দিয়েছেন।

 

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ৮ বছর আগে জুবায়ের হোসেন সঙ্গে রিমা বেগমের বিয়ে হয়। তাদের ঘরে ৫ বছরের একটি কন্যাসন্তান ও দুই বছর বয়সী একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।

 

কিছুদিন আগে গৃহবধূ রিমা বেগম দূর সম্পর্কের মামা পরিচয়ে লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়নে লর্ডহার্ডিঞ্জ গ্রামের স্বামীর বাড়িতে আসা-যাওয়া করতেন।

 

এক পর্যায়ে রিমা বেগমের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ নিয়ে স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন রিমাকে বারবার নিষেধ করলেও তিনি আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। সোমবার রাতে স্বামী বাজারে তার নিজ দোকানে থাকা অবস্থা দুই সন্তানসহ ৪ ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ ৭৫ হাজার টাকা নিয়ে প্রেমিক নুর নাফেজের হাত ধরে পালিয়ে যান রিমা বেগম।

 

কান্নাজড়িত কণ্ঠে স্বামী জুবায়ের হোসেন বলেন, পারিবারিকভাবে বিয়ে হলেও আমি তাকে কম ভালোবাসা দিইনি। ব্যবসায়ীক জীবন থেকে অনেক শ্রম দিয়ে অর্থ উপার্জন করে স্ত্রী ও পরিবারকে দিয়েছি সুখে থাকবো বলে। সেই সুখের ঘরে আগুন লাগিয়ে পালিয়েছে রিমা বেগম। সে আমাদের দুই সন্তানের কথাও চিন্তা করেনি। যাওয়ার সময় ৪ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ ৭৫ হাজার টাকা নিয়ে গেছে। আমি তার উপযুক্ত বিচার ও আমার দুই সন্তান (ছেলে/মেয়ে) এবং অর্থ-সম্পদ ফিরে পেতে চাই।

 

গৃহবধূ রিমার বেগমের মা সঙ্গে মোঠুফোনে যোগাযোগ করতে চাইলে তাকে পাওয়া যায়নি।

 

 এ বিষয়ে লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রহিম মিয়া বলেন, পরকীয়ার টানে গৃহবধূর পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা খুবই দুঃখজনক। একটা পরিবারের তিলে তিলে গড়া সম্মান ও স্বপ্ন ধুলায় মিশে যায়; যা কাম্য নয়।

 

লালমোহন থানার এস আই জাহিদ হাসান বলেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি।আমরা প্রাথমিক ভাবে তদন্তে আসছি,তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

 

একুশে সংবাদ.কম/ম.হ.জা.হা

সারাবাংলা বিভাগের আরো খবর