সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

জীবননগরে টুংটাং শব্দে মুখরিত কামার পাড়া

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৩:০৬ পিএম, ৫ জুলাই, ২০২২
ছবি: সংগৃহীত

কুরবানির ঈদের বাকি আর মাত্র ৪ দিন।কুরবানির পশু জবেহ ও মাংস প্রস্তুত করার জন্য ছুরি,বটি দা,চাপাতি,ডাঁসা সহ দেশিয় অস্ত্র তৈরি ও পুরাতন অস্ত্রের ঘষামাজার কাজ সেরে নিচ্ছেন সবাই।

তাই এই কাজে ব্যস্ততা বেড়েছে চুয়াডাঙ্গার জীবননগরের কামার শিল্পের শ্রমিকদের।সেই সাথে বেড়েছে তাদের আয় রোজগার।লোহাকে কয়লার আগুনে পুড়িয়ে লাল টকটকে করে ঠেঙ্গিয়ে-ঠেঙ্গিয়ে তৈরী করা হচ্ছে দেশীয় অস্ত্র।যেন টুংটাং শব্দে মুখরিত হয়ে উঠেছে কামার পাড়া।
উপজেলার সীমান্ত,হাসাদাহ, বাঁকা,আন্দুলবাড়ীয়া,উথলী এলাকা ঘুরে একই দৃশ্য চোখে পড়েছে।

উথলী গ্রামের কামার পাড়ায় ঢুকতেই কমারদের ব্যস্ততা চোখে পড়েছে। কামারশালার টুংটাং শব্দে মুখরিত হয়ে উঠেছে চারপাশ। উথলী গ্রামের ঈশ্বর নরেন্দ্রনাথ কর্মকারের ছেলে শ্রী অনীল কুমার কর্মকার উপজেলার বেশ সুপরিচিত একজন কামার।তিনি তার বাবার হাত ধরে দীর্ঘ ৪৫ বছর ধরে এই কামার শিল্পের সথে জড়িত। এখন তার একমাত্র ছেলে শ্রী অমল কুমার কর্মকার কে সাথে নিয়ে এই কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। 

তার সাথে কথা বলে জানা যায়,সারা বছরেই তারা এই কাজ করে থাকেন। তবে কুরবানীর ঈদ আসলেই দা,বটি,ছুরি,ডাঁসা তৈরি ও পুরাতন অস্ত্র ঘষামাজার কাজের চাপ পড়ে যায়।কাজের প্রচণ্ড চাপ তার ওপর বিদ্যুতের লোডশেডিং।বিদ্যুৎ না থাকায় আগুনের পাশে বসে কাজ করাটা তাদের জন্য অনেক কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। যে কাজগুলো করার অর্ডার নেওয়া হয়েছে শুধুমাত্র সেই কাজগুলোই করছেন নতুন করে কাজের অর্ডার নিচ্ছেন না।

নতুন অস্ত্র তৈরির খরচ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন,বর্তমান লোহার দাম অনেক বেড়ে গেছে ১ কেজি ওজনের লোহার একটি দা বা বটি তৈরি করতে আমরা ১৫০০ টাকা নিয়ে থাকি।এছাড়াও ছুরি তৈরি করতে ছুরির সাইজ অনুযায়ী টাকা নেওয়া হয়। পুরাতন অস্ত্র ঘষামাজা করতে ৫০ টাকা থেকে শুরু করে ১৫০ টাকা নিয়ে থাকি অনীল কামারের মত কামার পাড়ায় অন্যান্য কামরেরাও এখন ব্যাস্ততম সময় পার করছেন।

কামার পাড়ায় আব্দুর রশিদ শাহ্ বলেন,কুরবানির ঈদকে সামনে রেখে  কামারদের ব্যাস্ততা বেড়ে গেছে। ভোর থেকে শুরু করে অনেক রাত পর্যন্ত কামারশালার টুংটাং শব্দ শুনতে পাওয়া যায়। তবে কুরবানির ঈদের পর এদের ব্যস্ততা অনেকটাই কমে যাবে।

 

 

 

এস.আই/হা.নি/এস.আই
 

সারাবাংলা বিভাগের আরো খবর