সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

স্থানীয়দের অংশীদারিত্ব দিয়ে আশুড়ার বিলের উন্নয়ন করতে চায় উপজেলা প্রশাসন

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ১১:৪৬ এএম, ২৩ জানুয়ারি, ২০২২
ছবি একুশে সংবাদ

নবাবগঞ্জ প্রতিনিধি: দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত ২০১০ সালে আশুরার বিল ও বনকে জাতীয় উদ্যান হিসেবে ঘোষণা করা হয়। পরে ২০১৭ সালে শেখ রাসেল জাতীয় উদ্যান নামে নামকরণ করা হয়।


বিলে নির্মাণ করা হয়েছে ইংরেজি বর্ণ জেড এর ন্যায় কাঠের সেতু যার নামকরণ করা হয় শেখ ফজিাতুন্নেসা সেতু।

আশুড়ার বিলকে মাছের অভয়াশ্রম ও পর্যটন উপযোগি করতে পানি ধারণের জন্য রাবার ক্রসড্যাম নির্মাণ করেছিল উদ্যান কতৃপক্ষ। কিন্তু বন ও বিলের জায়গা জবর দখলকারী এলাকার কিছু লোক সেই রাবার ক্রসড্যাম ভেঙে ক্ষতিগ্রস্থ করে পুনরায় বিলে ধান চাষ করে আসছে।  


অতি সম্প্রতি উপজেলা প্রশাসন মেগা পরিকল্পনা গ্রহন করেছেন । সে নকশাসহ বিভিন্ন বিষয়ক কাজ শুরুও করছেন এস এ আর এম এ্যাসোসিয়েট লিঃ এর অপারেশন ডিরেক্টর ইন্জিঃ মাসুম মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। প্রকল্পে প্রধান্য পাবে বিলের জায়গা দখল করে চাসাবাদকারি স্থানীয় লোকজন, এমনটিই জানিয়েছেন স্থানীয় প্রশাসন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পর্যটন ও আতিথেয়তা ব্যবস্থাপনার চেয়ারম্যান ও সহযোগী অধ্যাপক ড. সন্তোষ কুমার দেব বলেন স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্ত করলে তাদের জীবন যাত্রার মান বৃদ্ধি পাবে। অত্র এলাকার মানুষের বিনোদনের জায়গার এক অপার সম্ভাবনাময় স্থান এই শেখ রাসেল জাতীয় উদ্যান। এখানে জলাশয় ও বনের যে সমন্বয় তার যদি সঠিক ব্যবহার করতে পারে  তবেই এটি হতে পারে অত্র এলাকার মানুষের অর্থনৈতিক  সমৃদ্ধির অন্যতম একটি মাধ্যম।


এবিষয়ে  নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনিমেষ সোম জানান যারা এখানে চাষাবাদ করছে তাদের কোন কাগজপত্র নেই তাদেরকে বাদ দিয়ে জাতীয় উদ্যানের উন্নয়নের কথা আমরা চিন্তা করিনি। পর্যটন কেন্দ্র হলে  আমরা তাদের অংশীদার করতে চাই। তারা যদি সমঝোতায় না আসে তাহলে প্রশাসন বিল উদ্ধার করে বনের বিপন্নতা রক্ষা করবে, যা তাদের জন্য হতে পরে ক্ষতির কারণ।


একুশে সংবাদ/সোবহান আলম/এইচ আই.

সারাবাংলা বিভাগের আরো খবর