সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

আমতলী বাজারে প্লট নিয়ে বিরোধে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৫:০২ পিএম, ২৭ নভেম্বর, ২০২১
ছবি: একুশে সংবাদ

আমতলী প্রতিনিধি: বরগুনার আমতলী উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের আজিমপুর বাজারের মধ্যে একটি দোকানের প্লট নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধে বিসিসিআই সার ডিলার সিদ্দিকুর রহমান মোল্লার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলাকারীরা ওই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে থাকা আসবাবপত্র ভাংচুর করে নগদ ৫ লক্ষ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এতে বাধা প্রদান করায় মালিক ও পার্শ্ববর্তী এক মহিলাসহ ৩ জন আহত হয়েছে। 


আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে ওই দোকানের মধ্যে থাকা বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি। 
জানা গেছে, গত দুই বছর পূর্বে উপজেলার আজিমপুর বাজারে ১৫ শতাংশের একটি দোকানঘরসহ একটি প্লট ওই বাজারের বিসিসিআই সার ডিলার সিদ্দিকুর রহমান মোল্লা ৬ লক্ষ ৫০ হাজার টাকায় বাবুল খানের কাছ থেকে ক্রয় করেন। 


ওই জমি একই এলাকার এছহাক মীরার পুত্র শহিদুল, শাহীন ও দুলাল মীরা তাদের দাবী করে আজ (শনিবার) সকালে গোপনে জমির প্লটে থাকা দোকান ঘরের মধ্যে কাজ শুরু করেন। সংবাদ পেয়ে জমির মালিক সার ডিলার সিদ্দিকুর রহমান মোল্লা ওই জমিতে গিয়ে কাজে বাঁধা প্রদান করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শহীদুল মীরা, শাহিন মীরা, দুলাল মীরা, বজলু মৃধা, হৃদয় মীরা, ছিদ্দিক মীরাসহ ৮/১০ জন সন্ত্রাসী মিলে ডিলার সিদ্দিকুর রহমানকে কিল ঘুষি মেরে লাঠিসোঠা নিয়ে ধাওয়া করে। 


এ সময় ডিলার সিদ্দিক মোল্লা প্রাণরক্ষার্থে দৌড়ে তার দোকান ঘরের মধ্যে প্রবেশ করলে সন্ত্রাসীরা তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে তাকে পিটিয়ে আহত করে, আসবাবপত্র ভাংচুর এবং দোকানে থাকা ক্যাশ ভেঙ্গে নগদ ৫ লক্ষ টাকা লুট করে নিয়ে নিয়ে যায়। দোকানের মধ্যে টানানো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভেঙ্গে নিচে ফেলে দেয়।

এসময় প্রতিবেশী মুনছুরা বেগম ও তার পুত্র মেহেদী হাসান উভয় পক্ষের মারামারি ছাড়াতে গেলে তাদেরকেও সন্ত্রাসী পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেয়। আহত মুনছুরা বেগমের পড়নে থাকা শাড়ী- বøাউজ ছিড়ে শ্লীলতাহানি ঘটায় বলে তিনি অভিযোগ করেন। স্বজন ও স্থাণীয়রা আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।  


আহত মুনছুরা বেগম জানায়, মারামারি দেখে আমি আর আমার ছেলে মেহেদী হাসান দৌড়ে ওই সারের দোকানে গিয়ে দেখি ডিলার সিদ্দিক মোল্লাকে শহীদুল মীরা, শাহিন মীরা, দুলাল মীরাসহ ৮/১০জন  কিল ঘুষি ও লাঠি দিয়ে পিটাচ্ছে। আমি ও আমার পুত্র ডিলারকে রক্ষায় এগিয়ে গেলে সন্ত্রাসীরা আমাদেরকেও মারধর করে মাথা ফাটিয়ে দেয় এবং টেনে হিচরে আমার পড়নে থাকা শাড়ী- বøাউজ ছিড়ে শ্লীলতাহানি ঘটায়।  


আহত বিসিসিআই সার ডিলার সিদ্দিকুর রহমান মোল্লা বলেন, বাজারের মধ্যে আমার কেনা জমির প্লটের ঘরের মধ্যে গোপনে কাজ শুর করতে গেলে আমি তাতে বাঁধা প্রদান করি। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে আমাকে মারধর করে আহত ও ক্যাশে থাকা নগদ ৫ লক্ষ টাকা লুট করে নিয়ে গেছে। আমাকে বাঁচাতে প্রতিবেশী মুনছুরা বেগম ও তার পুত্র মেহেদী হাসান এগিয়ে আসলে তাদেরকেও সন্ত্রাসীরা মেরে মাথা ফাঁটিয়ে দিয়েছে। এসময় সন্ত্রাসীরা আহত মুনছুরা বেগমের পড়নে থাকা শাড়ী- বøাউজ ছিড়ে শ্লীলতাহানি ঘটায়। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।

অভিযুক্ত দুলাল মীরা মুঠোফোনে বলেন, ওই জমির প্লট বাবুল খানের পিতা ইউনুচ কানের কাছ থেকে আমরা ১৫ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। সেখানে ঘরের কাজ করতে গেলে বিসিসিআই সার ডিলার সিদ্দিকুর রহমান মোল্লা ওই জমি তার বলে দাবী করে বাঁধা দেয়। এনিয়ে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হালকা মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে শহীদুল মীর গুরুত্বর আহত হয়েছে। সারের দোকান ভাঙ্গা, টাকা লুট, বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাংচুরের কোন ঘটনা অস্বিকার করেন।  


আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মিজানুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, বিষয়টি শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিলো। এখনো কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক সত্যতা পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।


একুশে সংবাদ/আল-আমিন

সারাবাংলা বিভাগের আরো খবর