সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

ফরিদপুর বিএসএমএম হাসপাতালের আট দালাল আটক

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৫:১৬ পিএম, ১৯ নভেম্বর, ২০২১
ছবি: একুশে সংবাদ

ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল হাসপাতাল থেকে আট দালালকে গ্রেফতার করেছে কোতয়ালী থানা পুলিশ।

১৯ নভেম্বর শুক্রবার কোতোয়ালি থানায় এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) জামাল পাশা, এসময় কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এম এ জলিল সহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় গত ১৮ নভেম্বর দুপুর আনুমানিক দেড়টার সময় সময় গোপন সূত্রে সংবাদ পাওয়া যায় যে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কতিপয় দালাল চক্র প্রতারক ও চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন এলাকা হতে মেডিকেল হাসপাতালে আগত রোগীদের গাড়ি প্রতিরোধ করে প্রতারণার মাধ্যমে চাঁদা আদায় করছে।

উক্ত সংবাদ পেয়ে কোতোয়ালি থানা পুলিশের একটি দল অভিযান পরিচালনা করে দুপুর অনুমানিক ২ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও তার আশেপাশের এলাকায় অভিযান চালিয়ে শাহিন শেখ (২৫), রাসেল শেখ (২৬), মোহাম্মদ জামাল প্রামানিক ওরফে নাসির (৪৯), প্লাবন মোল্লা (২৪), রাব্বি শেখ (২৪), নাহিদ মৃধা (১৯), শহিদুল ইসলাম (৩০), রমান হোসেন (২৯) কে গ্রেফতার করে। এরা সকলেই হাসপাতালের আশপাশের এলাকায় বসবাস করে।

এইসময় প্রতারক চাঁদাবাজ দলের কিছু সদস্য কৌশলে পালিয়ে যায়। উক্ত আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় তারা দীর্ঘদিন ধরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল হাসপাতাল এলাকায় প্রতারণার মাধ্যমে বিভিন্ন অঞ্চলের থেকে হাসপাতালে আগত রোগীদের যানবাহনের গতিরোধ করে তাদেরকে প্রতারণার মাধ্যমে বুঝিয়ে বলে যে সরকারি হাসপাতাল ভালো চিকিৎসা হয় না। আপনাদেরকে ভালো হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে দিই। এসব বলে চাঁদা দাবি করে এবং পরিচিত ক্লিনিকে ভর্তি করিয়ে অতিরিক্ত টাকা আদায় করে। এতে উক্ত আসামিগণ ও ক্লিনিক মালিকেরা লাভবান হয় আর বড় ক্ষতির শিকার হন রোগী ও তার স্বজনেরা।

এছাড়া উক্ত আসামিগণ রোগীদের কাছ থেকে প্রেসক্রিপশন কেড়ে নিয়ে তাদের নিজস্ব ফার্মেসিতে নিয়ে গিয়ে অতিরিক্ত দামে ঔষধ বিক্রি করে।

রোগী ও তাদের স্বজনরা টাকা দিতে অস্বীকার করলে বা টাকা দিতে না চাইলে তারা বিভিন্ন ধরনের ভয়-ভীতি প্রদর্শন করেন।

এ ঘটনায় এস আই মাসুদ ফকির বাদী হয়ে এজাহার দাখিল করলে কোতোয়ালি থানায় মামলা নং ৫৭ তারিখ ১৯ নভেম্বর খ্রিস্টাব্দ ধারা ৩৪১/৩৮৫/৩৮৬/৪২০/৫০৬ পেনাল কোড রুজু হয়।

জামাল পাশা আরও জানান, জনগণের জানমাল হেফাজতে আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।


একুশে সংবাদ/আরএইচ/এএমটি
 

সারাবাংলা বিভাগের আরো খবর