বৈরী আবহাওয়ার কারণে কক্সবাজারের টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে সার্ভিস বোট চলাচল বন্ধ থাকায় সেন্টমার্টিন দ্বীপে ভ্রমণে যাওয়া প্রায় তিনশতাধিক পর্যটক আটকা পড়েছেন। আবহাওয়া স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত তাদের নিরাপদে রাখার ব্যবস্থার কথা জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন।
সেন্টমার্টিনে আটকা পড়া পর্যটক সিলেটের হবিগঞ্জ এলাকার মো. আল-আমীন তালুকদার বলেন, গত ১৫ অক্টোবর পরিবার নিয়ে সেন্টমার্টিন বেড়াতে এসেছি। সোমবার রাতের ট্রেনে সিলেট ফিরে যাবার টিকেট করা ছিল। কিন্তু রবিবার থেকে দ্বীপের সার্ভিস বোট বন্ধ থাকায় দ্বীপেই আটকে আছি।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি মুজিবুর রহমান বলেন, প্রতি বছর বর্ষা ও এ মৌসুমগুলোতে নিজস্ব নিরাপত্তায় সেন্টমার্টিন আসেন অনেক পর্যটক। এবারও সেই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রয়েছে। পক্ষকাল আগে থেকে সেন্টমার্টিন দ্বীপের নিয়মিত সার্ভিস বোটে (কাঠের ট্রলার) অনেক পর্যটক সেন্টমার্টিন বেড়াতে আসছেন। এখন সেন্টমার্টিন দ্বীপে প্রায় ৩ শ' থেকে ৩৩০ জন পর্যটক রয়েছেন। বৈরী আবহাওয়ার কারণে গত রবিবার থেকে সার্ভিস বোট চলাচল বন্ধ রেখেছে সংশ্লিষ্টরা। ফলে, শিডিউল থাকলেও অনেকে ফিরে যেতে পারেননি।
সি প্রবাল রিসোর্টের মালিক আব্দুল মালেক বলেন, জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকলেও পর্যটকরা নিজস্ব নিরাপত্তায় স্পিডবোট ও ট্রলারে করে সেন্টমার্টিন এসেছেন। অনেকের রবিবার, আবার কারো সোমবার ফেরত যাবার কথা ছিল। কিন্তু আবহাওয়া বৈরী হওয়ায় সেন্টমার্টিন থেকে কোনো ট্রলার বা স্পিডবোট ছেড়ে যেতে দেয়নি কোস্টগার্ড। রিসোর্টেও অবস্থান করা পর্যটকরা নিরাপদে রয়েছেন।
কোস্টগার্ড পূর্ব জোনের সেন্টমার্টিন স্টেশনের এক কর্মকর্তা বলেন, হোটেল ও এলাকার জনপ্রতিনিধিদের বরাতে জানতে পেরেছি ২৫০ থেকে ৩৩০ জনের মতো পর্যটক দ্বীপে অবস্থান করছেন। কারো রবিবার, আবার কারো সোমবার এবং কারো মঙ্গলবার ফিরে যাবার কথা ছিল। বৈরী আবহাওয়া কেটে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তাদের টেকনাফে পাঠানো হবে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পারভেজ চৌধুরী বলেন, মৌসুম না হলেও নিজস্ব নিরাপত্তায় কয়েকশ পর্যটক সেন্টমার্টিন গেছেন বলে খবর পেয়েছি। বৈরী আবহাওয়ায় আটকা পড়ার পরই এটি প্রচার পেয়েছে। আমরা পর্যটকদের খোঁজ-খবর নিয়েছি এবং নিরাপদে থাকার ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
একুশে সংবাদ/শা/আ