সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

টিআর প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ কুড়িগ্রামের হলোখানা ইউপি চেয়ারম্যান বিরুদ্ধে

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৬:১৮ পিএম, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১

কুড়িগ্রামের হলোখানা ইউপি চেয়ারম্যান উমর ফারুক কর্তৃক টিআর প্রকল্পের কাজ না করে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশন সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন ভূক্তভোগী মাদরাসা ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা। এছাড়াও চেয়ারম্যানের বেপরোয়া অনিয়ম দুর্নীতির ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে এলাকাবাসী।  
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার হলোখানা ইউনিয়নে “সুভারকুটি স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসা”র নামে ২০২০-২০২১ইং অর্থ বছরে টিআর প্রকল্পের আওতায় ১ লক্ষ ১৫ পনের হাজার টাকা বরাদ্দ প্রাপ্ত হলে হলোখানা ইউপি চেয়ারম্যান উমর ফারুক উক্ত প্রতিষ্ঠানের সভাপতি থাকার সুবাদে বরাদ্দকৃত সমুদয় টাকা নিজে আত্মসাত করার জন্য সু-কৌশলে নিজেই উক্ত প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি হয়ে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি গঠন করেন। বরাদ্দকৃত উক্ত টিআর প্রকল্পের সমুদয় টাকা উত্তোলনসহ প্রকল্প বাস্তবায়নে সকল কাজের দায়-দায়িত্ব নিজে নিয়ে বিভিন্ন জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে প্রকল্পের কোন প্রকার কাজ না করে ১ম ধাপে গত ৩১.০৩.২০২১ইং তারিখে ৬০ ষাট হাজার টাকা এবং ২য় ধাপে গত ১৯.০৫.২০২১ইং তারিখে ৫৫ পঞ্চান্ন হাজার টাকাসহ সর্বমোট বরাদ্দকৃত অর্থের সমুদয় ১ লক্ষ ১৫ পনের হাজার টাকা উত্তোলন করে আত্মসাত করেন। 
সরেজমিনে গেলে, বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ও প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটির সদস্যবৃন্দ বলেন, ৯ মাস আগে বরাদ্দকৃত সমুদয় ১ লক্ষ ১৫ পনের হাজার টাকা উত্তোলন করা হলেও মাদ্রাসার কোন কাজ না করে বরাদ্দের পুরোটাই পকেটস্থ করেছেন চেয়ারম্যান মোঃ উমর ফারুক। শিক্ষক ও পরিচালনা কমিটিকে সান্তনা দেওয়ার জন্য এলজিএসপি-৩ প্রকল্পের সীল সম্বলিত বরাদ্দকৃত ব্রেঞ্চ দেয়। যার প্রতিটি ব্রেঞ্চের মূল্য নির্ধারণ করেছেন ৩৮ টাকা। 
এ ব্যাপারে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সদস্য সিরাজুল ইসলাম বলেন, ৯ মাস অতিবাহিত হলেও কাজ হয়নি। যখন বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিলাম তখন চেয়ারম্যান ১৫টি ব্রেঞ্চ দেয়ার কথা থাকলেও রাতারাতি এলজিএসপি-৩ প্রকল্পের ১০টি ব্রেঞ্চ মাদ্রাসা কক্ষে ঢুকিয়ে দেন। আমার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এভাবে অগণিত মসজিদ-মাদ্রাসার নামে আসা প্রকল্পের টাকা আত্মসাত করেছেন। যা তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে। 
এ বিষয়ে হলোখানা ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ উমর ফারুক জানান, আমি ইতোমধ্যে ১৫টি ব্রেঞ্চ প্রতিষ্ঠানে দিয়েছি। সেই ব্রেঞ্চগুলোতে এলজিএসপির সীল আছে কিনা আমার জানা নেই। আমি খুব শীঘ্রই বাকি ১৫টি ব্রেঞ্চ দিয়ে দিব। 
এ ব্যাপারে সদর প্রকল্প কর্মকর্তা ফিজানুর রহমান জানান, মাদ্রাসায় এলজিএসপি-৩ প্রকল্পের ব্রেঞ্চ দেয়ার সুযোগ নেই। প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের ঘটনা তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
 

 

একুশে সংবাদ/আনোয়ার হোসেন/আ

সারাবাংলা বিভাগের আরো খবর