সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

দরপত্র প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলেও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নিয়োগ না হওয়ায় ৮ মাসেও শুরু হয়নি

গোপালগঞ্জ-টেকেরহাট  মহাসড়েকের উন্নয়ন কাজ, ভোগান্তি চরমে

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০২:১৪ পিএম, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১

গোপালগঞ্জ থেকে টেকেরহাট মহাসড়ক ৪৪ কিলোমিটার আঞ্চলিক মহাসড়ক। মহাসড়কটির গুরুত্বর ও জন দূর্ভোগের কথা বিবেচনায় নিয়ে ৬১২ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প একনেকে পাশ হয়। পরবর্তিতে এর দরপত্র প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলেও সম্ভব হয়নি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নিয়োগ। যে কারনে ৮ মাসেও শুরু করা সম্ভব হয়নি গোপালগঞ্জ-টেকেরহাট আঞ্চলিক মহাসড়কের উন্নয়ন কাজ। দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় সড়কটির বিভিন্ন স্থানে খানা-খন্দ ও গর্ত তৈরী হওয়ায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ফলে দূর্ভোগ বেড়েছে সড়কে চলাচলকারী যানবাহন ও সাধারণ মানুষের। দ্রুত সড়কটির উন্নয়ন কাজ শুরু করার দাবী ভুক্তভোগি সাধারণ মানুষের।

 

টেকেরহাট থেকে গোপালগঞ্জ হয়ে শহর পযর্ন্ত সড়কটির দৈর্ঘ্য ৪৪ কিলোমিটার। সড়কটি আঞ্চলিক মহাসড়কে উন্নয়ন করতে ২০২০ সালের জুন মাসে ৬টি প্যকেজের মাধ্যমে ৬১২ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়ে একনেকে পাশ হয়। এতে মূল সড়কের জন্য প্রায় ৫’শ কোটি টাকা ও জমি অধিগ্রহনের জন্য এক’শ কোটি টাকা ধরা হয়েছে। এরপর ঐ বছরের নভেম্বরে প্রকল্প পরিচালক নিয়োগ এবং চলতি বছরের জানুয়ারী দরপত্র আহবান করা হয়। প্রকল্পের মেয়াদ ২০২০ সালের জুলাই থেকে ২০২২ সালের জুন পযর্ন্ত দুই বছর ধরা হয়েছে। ইতোমধ্যে দরপত্র প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সড়কে দুই পাশ থেকে গাছ কেটে সড়ক বর্ধিত ও সংস্কারের পরিবেশ তৈরী করে দিয়েছে বন বিভাগ।

 

দরপত্র আহবানের দীর্ঘ ৮ মাস পার হলেও যাচাই বাছাই শেষ করতে না পারায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দেয়া সম্ভব হয়নি। এতে সড়কের উন্নয়ন কাজ শুরু করতে পারেনি সড়ক বিভাগ। এমনকি দীর্ঘদিন ধরে সড়কটিতে সংস্কার না করায় বিভিন্ন স্থানে সৃস্টি হয়েছে খানা থন্দ ও গর্তের। এতে ওই সড়ক দিয়ে চলাচলরত সাধারণ মানুষ পড়েছে চরম ভোগান্তিতে। গোপালগঞ্জ থেকে টেকেরহাট যেতে যেখানে সময় লাগে মাত্র ৪০ মিনিট এখন সেখানে সময় লাগছে প্রায় দেড় ঘন্টা। প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। কাজ শুরু করতে না পেরে পাথর ও পিচ দিয়ে সড়কটি রিপিয়ারিং করে চলাচলের উপযোগী করার চেষ্ঠা করলেও খুব একটা কাজে আসছে না।

 

সড়কটির পাশ দিয়ে বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠেছে মিল ও ইন্ড্রাসট্রি। কিন্তু সড়কটির বেহাল অবস্থা থাকায় যাত্রী পরিবহন ও মালামাল আনা নেয়া করতে ভোগান্তীতে পড়ছে ব্যবসায়ীরা। এতে ব্যবসায়ীক ক্ষতি হওয়ায় দ্রুত সড়কের কাজ শুরু করার দাবী ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসী।

গোপালগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী মো: জাহিদুর রহমান বলেন, দরপত্রের জটিলতা কাটিয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত হয়ে গেলে সড়কটির উন্নয়ন কাজ দ্রুত শুরু করা সম্ভব হবে।

 

 

সারাবাংলা বিভাগের আরো খবর