সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

জট কমাতে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সরানো হচ্ছে কনটেইনার

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৪:৪৩ পিএম, ২৬ জুলাই, ২০২১

কনটেইনার জটের কবলে পড়েছে চট্টগ্রাম বন্দর। ঈদের ছুটি এবং কঠোর বিধিনিষেধে আমদানি পণ্য খালাস কম হওয়ায় বন্দরের ইয়ার্ডগুলোয় জমেছে কনটেইনারের পাহাড়।প্রতিদিন উল্লেখযোগ্য হারে কনটেইনার নামানো হলেও বন্দর থেকে পণ্য খালাসের হার সেই তুলনায় বাড়ছে না।

এ অবস্থায় নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সুপারিশে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) গতকাল (২৫ জুলাই) চট্টগ্রাম বন্দরের জট কমাতে সব ধরনের আমদানি পণ্যবোঝাই কনটেইনার ১৯টি বেসরকারি ডিপোতে (অফডক) সরিয়ে নেওয়ার অনুমোদন দিয়েছে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের দেওয়া অনুমতি সাপেক্ষে বেসরকারি বন্দরে পণ্য খালাসে এখন আর কোন বাধা থাকছে না। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ৩১ আগস্ট পর্যন্ত এভাবে বেসরকারি বন্দরে পণ্য খালাসের সুবিধা পাবে ব্যবসায়ীরা।

এর আগে চিহ্নিত ৩৮টি পণ্য খালাসের জন্য বেসরকারি বন্দর সুবিধা দেওয়া হতো। কিন্তু চিহ্নিত পণ্য ব্যতীত অন্য পণ্য বেসরকারি বন্দরে খালাসের অনুমতি দেওয়া হতো না। পণ্য জট কমাতে এই নতুন নির্দেশনার মাধ্যমে এখন থেকে যেকোন পণ্যই অফডক অর্থাৎ বেসরকারি বন্দরে খালাস করা যাবে।

চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান বলেন, 'ডিপোতে কনটেইনার সরানোর অনুমোদন দেওয়ায় আপাতত বন্দরে কনটেইনার জট হবে না। বিধিনিষেধে যেসব কারখানা খোলা আছে, তারা পণ্য খালাস নিতে শুরু করছে।'

এনবিআরের দ্বিতীয় সচিব মেহরাজ-উল-আলম স্বাক্ষরিত আদেশে বলা হয়েছে, ‘বন্দরের কনটেইনার জট নিরসনে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সুপারিশে বন্দর দিয়ে আমদানি হওয়া সব ধরনের পণ্য চালান বেসরকারি ডিপোতে সংরক্ষণ, আনস্টাফিং ও ডিপো থেকে খালাসের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আদেশে বন্দর থেকে ডিপোতে নেওয়ার সময় স্ক্যানিং এবং বাণিজ্যিক পণ্য ডিপো থেকে খালাসের সময় শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করতে হবে।’

সিদ্ধান্তের নেতিবাচক দিকটি উল্লেখ করে বিজিএমইএর সহসভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বন্দর থেকে ডিপোতে নিয়ে পণ্য খালাসে সময় ও খরচ বেশি হয়। এতে পোশাক শিল্প উদ্যোক্তাদের পণ্য খালাস নিয়ে জটিল পরিস্থিতির মুখে পড়তে হতে পারে।’

অনিয়ম এবং জালিয়াতি যাতে না হয় সে ব্যাপারে চট্টগ্রামের কাস্টমস কমিশনার ফখরুল আলম বলেন, ‘আদেশটির ফলে এখন থেকে আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত শর্তসাপেক্ষে সব ধরনের পণ্যচালান সংশ্লিষ্ট কনটেইনার অফডকগুলোয় নেওয়া যাবে। সেখান থেকে খালাস করা যাবে। তবে এ প্রক্রিয়ায় অনিয়ম ও জালিয়াতি রোধে কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কড়া নজরদারি থাকবে।’

রোববার চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার জমেছিল প্রায় ৪২ হাজার। সেখানে কনটেইনার রাখার ব্যবস্থা আছে ৪৯ হাজার। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের হিসাবে, আমদানি হওয়া কনটেইনারের প্রায় ২৫ থেকে ৩০ শতাংশই পোশাক শিল্পের কাঁচামাল।

একুশে সংবাদ/স/তাশা

সারাবাংলা বিভাগের আরো খবর