সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

সংবাদ প্রকাশের পর সেই আমেনার ভাতার টাকা উদ্ধার

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৩:৫৫ পিএম, ১৭ জুলাই, ২০২১

আমেনার ভাতা নিয়েছে কে শিরোনামে গত বুধবার (১৪ জুলাই) একুশের সংবাদ অনলাইনে সংবাদ প্রকাশের পর সেই আমেনার ভাতার টাকা উদ্ধার করেছেন ইউএনও। ভাতার ৩ হাজার টাকা উদ্ধার করে আমেনা আক্তারের হাতে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এর সাথে সংবাদে উল্লেখিত রহিমা খাতুন নামে আরেক ভাতাভোগীর টাকা অজ্ঞাত নাম্বারে গেলেও তা ফেরত পেয়েছেন বলে শনিবার (১৭ জুলাই)  একুশে সংবাদ কে নিশ্চিত করেছেন মদন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বুলবুল আহমেদ।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বুলবুল আহমেদ বলেন, একুশে সংবাদ অনলাইনে সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও আমার নজরে আসে। ডিসি (জেলা প্রশাসক) স্যারের নির্দেশে মদন থানার পুলিশের সহযোগীতায় ভাতাভোগী আমেনার ৩ হাজার টাকা উদ্ধার করে তার হাতে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এর সাথে সংবাদে উল্লেখিত আরেক ভাতাভোগী রহিমা খাতুনের ৩ হাজার টাকা ফেরৎ পেয়েছেন বলে তার ছেলে আজিজুল ইসলাম আমাকে জানিয়েছে।

একুশে সংবাদে কে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি আরো বলেন, এমন সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর বিষয়টি সকলের নজরে এসেছে। ভাতার টাকা অন্যের মোবাইল নম্বরে চলে গেছে এমন আরো ১২০ জনের তালিকা পেয়েছি। ইতিমধ্যে বেশ কয়েক জনের টাকা ফেরৎ পেয়েছে। ঈদের আগে যে সকল ভাতাভোগীদের টাকা ফেরৎ পাবে না তাদেরকে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করা হবে। সেই সাথে ভাতার টাকা উদ্ধারের চেষ্টা অব্যহত থাকবে।  

ঘরে বসে ভাতা তোলার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সারা দেশে শুরু হয়েছে ভাতাভোগিদের জন্য ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশান সিস্টেম (এমআইএস)। ভাতাভোগীদের মোবাইল নম্বরে চুক্তি অনুযায়ী নগদ কোম্পানি এন্ট্রিকৃত মোবাইল নম্বরে ভাতাভোগীদের টাকা পাঠায়। কিন্তু নগদ কোম্পানির এজেন্টের লোকজনের উদাসীনতায় সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি ওয়েবসাইটে ভাতাভোগীদের মোবাইল নম্বর ভুল এন্ট্রি দেন। ফলে উপজেলায় বিধবা, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী ভাতাভোগিরা পড়েছেন ভোগান্তিতে। তাঁদের দেয়া নাম্বারে টাকা না গিয়ে চলে যাচ্ছে অজ্ঞাত নাম্বারে। আর ওই টাকা অনায়াশেই উত্তোলন করে নিচ্ছে একটি চক্র।  

মদন উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় সরকারি ভাতাভোগির সংখ্যা ১০ হাজার ৯০৩ জন। তার মধ্যে বিধবা ৩ হাজার ২৮২ জন, প্রতিবন্ধী ১ হাজার ৭২৭ ও বয়স্ক ভাতাভোগি ৫ হাজার ৮৯৪ জন। তাদের প্রত্যককে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের আওতায় আনা হয়েছে। তবে সমাজ সেবা এখন পর্যন্ত ১২০ জন ভাতাভোগির টাকা নিয়ে সমস্যা রয়েছে।

 

 

একুশে সংবাদ/সাকের/প

সারাবাংলা বিভাগের আরো খবর