সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

কটিয়াদীতে কঠোর লকডাউনেও কিস্তি আদায়ে ব্যস্ত এনজিওকর্মীরা

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ১১:২৭ এএম, ১৫ জুলাই, ২০২১

কিশোরগঞ্জের  কটিয়াদীতে বিভিন্ন এনজিওকর্মীরা কঠোর লকডাউনের মধ্যে সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে কিস্তি আদায়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। ফলে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের ঋণগ্রহীতারা। ঋণের কিস্তি দিতে হিমশিম খাচ্ছেন তারা। ছোটখাটো বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা ঋণ নিয়ে তাদের ব্যবসার কার্যক্রম চালান। 

এ ছাড়াও অনেকে এনজিও থেকে সাপ্তাহিক কিস্তিতে ঋণ নিয়ে ইজিবাইক, থ্রিহুইলার, ভ্যান,পাখিভ্যান, আলমসাধুসহ বিভিন্ন যানবাহন কিনে চালিয়ে তা থেকে আয় করে জীবিকা নির্বাহ করেন ও ঋণের কিস্তি দেন।

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হওয়ার পর থেকে ধীরে ধীরে মৃতু ও আক্রান্তের হার বাড়তে থাকায় সরকার দেশজুড়ে কঠোর লকডাউন ঘোষণা করে। ফলে সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালত ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে আয়-রোজগার বন্ধ হয়ে যায় অনেক মানুষের। এমন পরিস্থিতিতে এনজিওর ঋণের কিস্তি দিতে হিমশিম খাচ্ছেন নিম্ন আয়ের ঋণগ্রহীতারা।

অধিকাংশ এনজিও বিবাহিত নারীদের সমিতির মাধ্যমে ঋণ দিয়ে থাকে। এমন সময়ে এ সকল ভুক্তভোগী খেটেখাওয়া ঋণগ্রহীতা যখন তাদের সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন। এর মধ্যে বিভিন্ন এনজিওকর্মীরা বাড়ি বাড়ি কিস্তি আদায়ের জন্য ধরনা দিচ্ছেন, চাপ সৃষ্টি করে কিস্তি আদায় করা হচ্ছে।

স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাচলের সরকারি নির্দেশনা থাকলেও এনজিওকর্মীরা ঋণগ্রহীতাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে কিস্তির টাকা আদায় করছেন। কোনো কোনো । এ সময় নারী গ্রহীতাদের মাঝে মাস্ক ব্যবহার বা সামাজিক দূরত্ব মানার কোনো বালাই থাকছে না।

উপজেলার অষ্টঘড়িয়া  গ্রামের  আবু হাসান পিন্টু বলেন, সে সম্প্রতি একটা ছোট্র ব্যবসা শুরু করেছেন। এ সময় তিনি পল্লী মঙ্গল  এনজিও থেকে তার স্ত্রীর নামে ৪০ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছিল এতে সপ্তাহে তার ১১ শ টাকা কিস্তি দিতে হয়। লকডাউনে অনেক দিন ধরে বাড়ি বসে আছি, কোনো আয়-রোজগার নেই। ধারদেনা করে সংসার চলছে, কিস্তি কিভাবে দেব ভেবে পাচ্ছি না। লকডাউনের সময় কিস্তি বন্ধ না করলে আমাদের না খেয়ে মরতে হবে।

ব্রাক এনজিওর কটিয়াদী ব্রাঞ্চ ম্যানেজার জানান:আমাদের অফিসের সকল কার্যক্রম সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী  করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে বন্ধ রয়েছে।সরকার ঘোষিত পরবর্তী নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত তা বহাল থাকিবে।

তিনি আরো জানান,যদি কোনো ব্র্যাক এনজিও কর্মী কিস্তি আদায় করতে মাঠ পর্যায়ে যায়,তবে আমাদেরকে অবগত করবেন।কতৃপক্ষ এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

কটিয়াদী  উপজেলা নির্বাহী অফিসার জ্যোতিশ্বর পাল বলেন, সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী  এনজিও কিস্তি আদায় সম্পূর্ণ নিষেধ।  তারপরেও যেসব এনজিওগুলো সরকারী নির্দেশনা উপেক্ষা করে   কিস্তি আদায় করতে চেষ্টা করে।  ঐসব এনজিও গুলোর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

তিনি আরো বলেন,কটিয়াদী বাসীর প্রতি আহ্বান রইলো যদি কোনো এনজিও কর্মীকে কিস্তি  আদায় করতে মাঠ পর্যায়ে দেখা যায় তবে আপনারা উপজেলা প্রশাসনকে অবগত করবেন।

 

একুশে সংবাদ/মোফাসসেল/প

সারাবাংলা বিভাগের আরো খবর