সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

বৈশাখী পূর্নিমা উদযাপন

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০২:৩২ পিএম, ২৬ মে, ২০২১

রাঙামাটিতে প্রার্থনা ও ধর্মীয় সম্পাদনের মধ্য দিয়ে করোনা মহামারিতে
সীমিত পরিসরে পালিত হয়েছে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব বৈশাখী
পূর্ণিমা।

বধুবার (২৬ মে) সকালে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নর-নারী, দায়ক-দায়িকা,
উপ-উপাসীকাবৃন্দ বুদ্ধ প্রতিবিম্ব দান, সংঘদান, অষ্টপরিষ্কার (ভিক্ষুগণের
নিত্য ব্যবহার্য ৮টি উপকরণ) দান, প্রদীপ দান, পিণ্ডদান সহ নানাবিধ
পুণ্যযজ্ঞ সম্পাদান করা হয়।

এসময় বিহারের সমবেত হয়ে পঞ্চশীল গ্রহণ এবং দেশ ও জাতীর উদ্দেশ্যে মঙ্গল
কামনা করেন। পাশাপাশি বিশ্বের মহামারি করোনা ভাইরাসে মুক্তি লাভের জন্য
বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।

এসময় মহতি পুণ্যানুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বনভান্তের শিষ্যসংঘের প্রধান ও
রাজবন বিহারের অধ্যক্ষ ভদন্ত প্রজ্ঞালংকার মহাথের সংঘপ্রধান হিসেবে
উপস্থিত ছিলেন।  আরো উপস্থিত ছিলেন শ্রদ্ধেয় জ্ঞানপ্রিয় মহাথের মহোদয়,
ভদ্দীয় ভিক্ষু, সত্যানন্দ থের, বুদ্ধপ্রিয় ভিক্ষু, শুভ প্রিয় ভিক্ষু
প্রমুখ গুণোত্তম ভিক্ষসংঘ। এতে বক্তব্য রাখেন, উপাসক-উপাসিক
কার্য-নির্বাহী পরিষদ সভাপতি উপাসক গৌতম দেওয়ান ও শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন
বন বিহারের পৃষ্ঠপোষক ও প্রাক্তন উপমন্ত্রী উপাসক মনিস্বপন দেওয়ান।
 বক্তরা বলেন, প্রতি বছর জাকজমকপূর্ণভাবে বৌদ্ধ পূর্ণিমা পালন করলেও
এবারে করোনাভাইরাসে কারণে অনুষ্ঠানমালা সীমিত পরিসরে করেছি। শুধুমাত্র
ধর্মীয় অনুষ্ঠান ছাড়া জনসমাগম হয় এসব অনুষ্ঠানমালা বর্জন করা
হয়েছে।বক্তরা আরো বলেন বৌদ্ধ ধর্মের প্রবর্তক গৌতম বুদ্ধ প্রায় আড়াই
হাজার বছর আগে এই তিথিতে নেপালের লুম্বিনীতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। এ রাতেই
তিনি ভারতের বিহার রাজ্যের বুদ্ধগয়ায় বোধিজ্ঞান লাভ করেছিলেন। এ ছাড়াও,
তার মৃত্যু হয়েছিল এ রাতেই। গৌতম বুদ্ধের জন্ম, বোধিজ্ঞান লাভ ও
মহাপ্রয়াণ বৈশাখী পূর্ণিমার দিনে হয়েছিল বলে বুদ্ধ পূর্ণিমাকে ‘বৈশাখী
পূর্ণিমা’ও বলা হয়ে থাকে।

উল্লেখ্য, বৌদ্ধ ধর্মের প্রবর্তক র্গৌতম বুদ্ধের জন্ম, বুদ্ধত্ব লাভ ও
মহাপরিনির্বাণ এই ত্রি-স্মৃতিবিজড়িত বুদ্ধ পূর্ণিমা। তাই বৌদ্ধ
ধর্মাবলম্বীদের জন্য দিবসটি অত্যন্ত তাৎপর্যময়।
বুদ্ধ ধর্ম মতে, গৌতম বুদ্ধের শুভজন্ম বোধীজ্ঞান লাভ ও মহা পরিনির্বাণ
লাভসহ এই ত্রিস্মৃতি বিজরিত বৈশাখি পূর্ণিমা বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের শ্রেষ্ঠতম
প্রধান ধর্মীয় উৎসব আমেজ। দেশের সব বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের কাছে এটি বুদ্ধ
পূর্ণিমা বা বৈশাখি পূর্ণিমা নামে পরিচিত।

আজ থেকে ২ হাজার ৫৫৭ বছর পূর্বে এই দিনে মহামতি গৌতম বুদ্ধ আর্বিভূূত
হয়েছিলেন। তার জন্ম বোধিলাভ ও মহাপ্রয়ান বৈশাখি পূর্ণিমার দিনে হয়েছিল
বলে এর বৈশাখি পূর্ণিমা। এ পূর্ণিমাকে কেন্দ্র করে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের
মধ্যে প্রতিটি বৌদ্ধ বিহারের পালন করে থাকেন ধর্মীয় উৎসব।গৌতম বুদ্ধের
আদর্শ ধারণ ও লালন করে আবহমানকাল থেকে উৎসবমুখর পরিবেশে পালন করে আসছে।
এই সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির বন্ধনকে সমুন্নত রাখতে বৌদ্ধ ধর্মের
তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। মহামতি গৌতম বুদ্ধ আজীবন মানুষের কল্যাণে এবং
শান্তি প্রতিষ্ঠায় অহিংসা, সাম্য ও মৈত্রীর বাণী প্রচার করেছেন।

 

 

একুশে সংবাদ/পলাশ/ব 
 

সারাবাংলা বিভাগের আরো খবর