সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

ঝুঁকিপূর্ণ গ্যাস বানিজ্য বন্ধ করে দিলেন সার্কেল এএসপি

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৬:০০ পিএম, ৪ মে, ২০২১

কুমিল্লার দাউদকান্দি ও চান্দিনায়  কাভার্ডভ্যান বোঝাই করে ঝুঁকিপূর্ণভাবে শত শত সিলিন্ডার রেখে অবৈধভাবে গড়ে উঠা ৫ টি অবৈধ ও মারাত্নক ঝুকিপূর্ণ ভ্রাম্যমাণ সিএনজি পাম্প বন্ধ করে দিলেন সার্কেল সিনিয়র এএসপি মোঃ জুয়েল রানা। 

 

 মঙ্গলবার (৪মে) দাউদকান্দির পদুয়া ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুরে ও দৌলতপুর ইউনিয়নের নায়েরগাও বাজারে ২ টি এবং চান্দিনার পৌর এলাকার বাগানবাড়িতে ১টি, মহিচাইল ইউনিয়নের দোল্লাই  নবাবপুর বাজার এলাকায় ২ টি  অবৈধ পাম্প থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও গাড়িতে গ্যাস সরবরাহ করে মানুষের কাছ থেকে  লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিলো প্রভাবশালীচক্র।

কোনরকম নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকায়  অনুমোদনবিহীন এসব স্টেশনে  গ্যাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, অগ্নিকান্ডসহ বড় ধরনের দুর্ঘটনার প্রবল আশঙ্কা রয়েছে।  প্রতিটি পাম্পই  এলাকার প্রভাবশালীদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ছিলো। তবে সার্কেল এএসপি জুয়েল রানার সামনে কেউ বাধা হয়ে দাঁড়ানোর সাহস করেনি। 

 

খোলা  জায়গার ওপরে ত্রিপল টানিয়ে মেশিন স্থাপন করে গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছিলো এমন দৃশ্যও নজরে পড়ে । প্রতি ঘনমিটার গ্যাস বিক্রিতে সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বাড়তি সাড়ে ৫ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হত এই উপায়ে। 

প্রতিটি পাম্পে ২টি করে  কাভার্ডভ্যান ও একটি গ্যাস সরবরাহের মেশিন থাকতো।   প্রতি কাভার্ডভ্যানে অন্তত ১শ গ্যাস সিলিন্ডার থাকে। ওই কাভার্ডভ্যানের গ্যাস সিলিন্ডারের সাথে সিরিজ সংযোগ দিয়ে কন্ট্রোল মেশিনের মাধ্যমে সারি-সারি সিএনজি অটোরিকশায় গ্যাস সরবরাহ করা হতো । তারা প্রতি ঘনমিটার গ্যাস ৫১ টাকা মূল্যে বিক্রি করে আসছে অথচ বাজার মূল্য ৪৫-৪৬ টাকা। 

 

 মহাসড়ক সংলগ্ন কয়েকটি গ্যাস পাম্পের সাথে চুক্তি করে ওই গ্যাস আনা হয়। জানা যায় যেসব পাম্প থেকে কাভার্ডভ্যানে করে গ্যাস আনা হতো ওইসব পাম্পগুলোতে মিটার ও রেগুলেটর মেশিনের বাইরের লাইন টেম্পারিং করে বিশেষ কৌশলে কাভার্ডভ্যানে গ্যাস সরবরাহ করা হয়।

যা মূল মিটারের হিসাবে আসে না এবং তা থেকে সরকার সম্পূর্ণ রাজস্ব আদায় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এদিকে সিএনজি পাম্পের অসাধু মালিক ও সংশ্লিষ্টরা রাতারাতি কোটি-কোটি টাকা অবৈধভাবে লুটে নিচ্ছেন। আর ওইসব কাভার্ডভ্যানগুলোর গ্যাস অনেকটা কম দামে কিনে এনে সরকারের নির্ধারিত দামের চেয়ে অধিক মূল্যে বিক্রি করে ‘আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ’ বনে যাচ্ছেন অসাধু কারবারিরা। 

সারাবাংলা বিভাগের আরো খবর