সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

আনোয়ারা শঙ্খ নদীতে নিখোঁজ সেনা সদস্যদের লাশ ১৯ঘন্টা পর উদ্ধার

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৪:৪৪ পিএম, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২১

চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার শঙ্খ নদীতে গোসল করতে নেমে নদীর স্রোতে নিখোঁজ হওয়া সেনা সদস্য মোহাম্মদ আসিফ হোসেন নিশান (২০) এর লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস ও নৌবাহিনীর ডুবুরি দলের সদস্যরা।

নিখোঁজের ১৯ ঘন্টার পর মঙ্গলবার বেলা ১১ টা ৫০ মিনিটের দিকে বারখাইন ইউনিয়নের তৈলারদ্বীপ জেলেপাড়া এলাকার শঙ্খ নদী থেকে আসিফের মরহেদ উদ্ধার করা হয়। 

নিহত আসিফ হোসেন  বিএমএ ৮২ তম দীর্ঘমেয়াদি কোর্সে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে প্রশিক্ষণে যোগ দিয়েছিলেন। অফিসার ক্যাডেট নং ১১০৯৬২। সে মিরাসরাই উপজেলার ইছাখালী এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে। আনোয়ার হোসেন চট্টগ্রাম হালিশহর ক্যান্টনমেন্টের ইউডিসি রেকর্ড শাখায় কর্মরত রয়েছে। 

জানা গেছে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শীতকালীন মহড়ার অংশ হিসেবে শঙ্খ নদীর পাড়ে ১ সাপ্তাহের কষ্টিপাথর প্রশিক্ষণ নিতে সেনাবাহিনীর একটি দল শনিবারে তৈলারদ্বীপ বারখাইন এরশাদ আলী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে আসে। সোমবার বিকেল ৫ টার দিকে ঐ প্রশিক্ষাণার্থী দলের দুইজন সদস্য তৈলারদ্বীপ জেলেপাড়া এলাকার শঙ্খ নদীতে গোসল করতে নামলে মোহাম্মদ আসিফ হোসেন নিশান নামের এক সেনা সদস্য নদীর স্রোতে নিখোঁজ হন। নিখোঁজের পর থেকে স্থানীয় লোকজন,  ফায়ার সার্ভিস, কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনীর একটি ডুবুরির দল ১৯ ঘন্টা উদ্বার কার্যক্রম পরিচালনা করে বেলা ১১ টা ৫০ মিনিটের দিকে ঘটনাস্থল থেকে আসিফের লাশ উদ্ধার করে।

সেনাবাহিনী সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি (বিএমএ) মাঠে আসরের নামাজের পর আসিফের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে তার নিজ বাড়ি ইছাখালি এলাকায় দ্বিতীয় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হবে। নিহতের বাবা আনোয়ার হোসেন বলেন, দেশের জন্য লড়তে ছেলেকে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমী (বিএমএ) ভর্তি করা হয়েছে। বিএমএ থেকে অফিসার ক্যাডেট হয়ে সেনাবাহিনী প্রশিক্ষণে যোগদান করেছে প্রায় একবছর। ছেলের স্বপ্ন ছিল গর্বিত সৈনিক হয়ে দেশের জন্য লড়বে। কিন্তুু সে স্বপ্ন শেষ হয়ে গেল। আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ যুবায়ের আহমেদ বলেন, ঘটনার পর থেকে ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগীতায় উদ্ধার অভিযান চালিয়ে প্রায় ১৯ঘন্টা পর লাশ উদ্ধার হয়েছে। লাশটি আইনি প্রসেসিং শেষ করে সেনাবাহিনী ও তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।


একুশে সংবাদ/ সা.উ /এস
 

সারাবাংলা বিভাগের আরো খবর