সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

নড়াইলে নিবন্ধন পরীক্ষার ভুয়া সনদ দিয়ে চাকুরি 

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৩:৩৮ পিএম, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২০

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় মাধ্যমিক ও মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৫ জন শিক্ষক ভূয়া সদনপত্রে ১২ থেকে ১৪ বছর ধরে চাকুরি করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সকল শিক্ষকরা সরকারি বেতনভাতা উত্তোলণসহ সব ধরণের সুযোগ সুবিধা নিয়েছেন।

সম্প্রতি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস তদন্ত সাপেক্ষ সত্যতা পেয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে অবগত করেছেন। লোহাগড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে,২০০৫ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত এই সময়ে লোহাগড়া উপজেলায় ৫০টি মাধ্যমিক ও মাদ্রাসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এনটিআরসি এর সনদপত্র দিয়ে প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির মাধ্যমে ২৬৯জন শিক্ষক নিয়োগপ্রাপ্ত হন। এ সমস্ত শিক্ষকদের সনদপত্র যাচাই-বাছাই করে ৫ জন সহকারি শিক্ষকের শিক্ষক নিবন্ধন সনদপত্র ভুয়া ও জাল বলে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়।

যাদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ তারা হলেন,মল্লিকপুর ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কৃষি শিক্ষা বিষয়ের সহকারি শিক্ষক সমলেশ কান্তি রায়। তিনি ২০১০ সালে অনুষ্ঠিত এনটিআরসি এর ৬ষ্ঠ ব্যাচের নিবন্ধন পরীক্ষার ভুয়া সনদ দিয়ে চাকুরি নেন। রোল নং-৩২৩০৬৩৬৮)। আমডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কৃষি বিষয়ের সহকারি শিক্ষক আবু মোহাম্মদ মোল্লা ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত এনটিআরসি এর ৪র্থ ব্যাচের নিবন্ধন পরীক্ষার ভুয়া সনদ দিয়ে চাকুরি নেন। (রোল নংং-১১৪১০৭১০)। ব্রাম্মণডাঙ্গা সম্মিলনী কারিগরি দাখিল মাদ্রসার ইসলাম শিক্ষা বিষয়ের সহকারি মৌলভী শিক্ষক মো.বাসারুল ইসলাম ২০০৬ সালে অনুষ্ঠিত এনটিআরসি এর ২য় ব্যাচের নিবন্ধন পরীক্ষার ভুয়া সনদে (রোল নং-৬১০৫০০২৬), একই মাদ্রাসার কৃষি বিষয়ের সহকারি শিক্ষক মো.আবু জাবেদ ২০০৬ সালে অনুষ্ঠিত এনটিআরসি এর ২য় ব্যাচের নিবন্ধন পরীক্ষার ভুয়া সনদে (রোল নং-৩১০৯০১৮৬),জালালসী ন্ওয়াপাড়া দাখিল মাদ্রাসার কম্পিউটার বিষয়ের সহকারি শিক্ষক কাজী মনিরুল ইসলঅম ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত এনআরটিসির ৪র্থ ব্যাচের নিবন্ধন পরীক্ষার ভুয়া সনদে চাকুরি নেন। (রোল নং-১২১১০৭৯৩)। এসব শিক্ষকরা নিয়োগপ্রাপ্তির পর থেকে সরকারি বেতনভাতাসহ সকল ধরণের সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনজন শিক্ষক দাবি করেন আমরা পরিস্থিতির শিকার। আমাদের শিক্ষক নিবন্ধনের সনদ সঠিক।

জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল হামিদ ভুইয়া জানান,প্রাথমিকভাবে ওই ৫জন শিক্ষকের শিক্ষক নিবন্ধন সনদ বুয়া প্রমাণিত হয়েছে। অভিযুক্তদের বিস্তারিত তথ্য চূড়ান্তভাবে যাচাইয়ের জন্য ১৩ ডিসেম্বর জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে প্রেরণ করা হয়েছে।

জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো.ছায়েদুর রহমান বলেন এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যায়ণ কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে। তিনি বলেন,খুব শীঘ্রই এ ব্যাপারে জানা যাবে। 

একুশে সংবাদ/উ.জ /আ

সারাবাংলা বিভাগের আরো খবর