সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

ধুনটে শিক্ষকের জমি থেকে জোর করে ধান কেটে নিল প্রতিপক্ষ

প্রকাশিত: ০৬:৩০ পিএম, ২৬ নভেম্বর, ২০২০

বগুড়ার ধুনট উপজেলায় জমিজমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে গোলাম মুর্তুজা নামে এক স্কুল শিক্ষকের জমি থেকে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে জোরপুর্বক ধান কেটে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের কাশিয়াহাটা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এঘটনায় ওই স্কুল শিক্ষক বাদী হয়ে ১৬জনকে আসামী করে ধুনট থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে। 

অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলা মথুরাপুর ইউনিয়নের কাশিয়াহাটা গ্রামের জামশেদ আলী সরকারের ছেলে গোলাম মুর্তুজার সাথে একই গ্রামের আসাব আলী ছেলে মওলা বক্স ও নুরুল ইসলাম এবং হযরত আলী ছেলে মোখলেছার রহমান ও মোত্তালেব হোসেনের সাথে দীর্ঘদিন ধরে ৯৩ শতক জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ভাবে বেশ কয়েকটি শালিস বৈঠক হলেও কোন সমাধান হয়নি। পরে বিষয়টি নিয়ে গোলাম মুর্তুজা আদালতে মামলা দায়ের (মামলা নং- ৬৮/২০) করে। আদালত শুনানি শেষে মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত প্রতিপক্ষের লোকজনের বিরুদ্ধে জমিতে প্রবেশে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করে।

চলতি মৌসুমে ওই জমিতে ধান চাষ করেন গোলাম মুর্তুজা। এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে প্রতিপক্ষ মওলা বক্স তার সঙ্গীয় লোকজন নিয়ে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে উক্ত জমির ধান জোরপুর্বক কাটতে থাকে। এসময় তাদের বাঁধা দিতে গেলে তারা গোলাম মুর্তুজাকে মারপিটের ভয় দেখিয়ে জমির সমস্ত ধান কেটে নিয়ে যায়। এতে গোলাম মুর্তুজার প্রায় ৮০হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে। 

এ ঘটনায় স্কুল শিক্ষক গোলাম মুর্তুজা জানান, ১৯৩৯ সাল থেকে প্রায় ৮০ বছর হলো তারা ওই জমি ভোগ দখল করে আসছেন। জমির সমস্ত কাগজপত্র তাদের নামে। প্রতিপক্ষের লোকজন আদালতের স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে তাদের জমি থেকে জোরপুর্বক ধান কেটে নিয়েছে। 

এ ঘটনায় প্রতিপক্ষ নুরুল ইসলাম জানান, তারা জমিতে ধান লাগিয়েছেন। ধান পেকে যাওয়ায় তারা কেটে নিয়েছেন। তবে আদালতের স্থানীয় নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে তারা কিছু জানেন না। 

ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা জানান, ধান কেটে নেয়ার অভিযোগ হাতে পেয়েছি। একজন অফিসারকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তদন্তের কাজ শেষ হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

একুশে সংবাদ/এআরএম

সারাবাংলা বিভাগের আরো খবর