একুশে সংবাদ: এবার হঠাৎ করে ফসলি জমি বন্যা আক্রান্ত হওয়ায় আমন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রায় সংশয় দেখা দিয়েছে। টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় প্রায় দেড় লাখ হেক্টর আমনসহ বিভিন্ন ফসলি জমি পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। দেশের বন্যাকবলিত ২৬টি জেলার মধ্যে সিরাজগঞ্জ ও জামালপুর জেলার কৃষিজমি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যার পানি সরে না যাওয়া পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। তবে আগামী পাঁচ থেকে সাত দিনের মধ্যে বন্যার পানি সরে গেলে কিছু ফসল বেঁচে যাবে। আর বন্যা স্থায়ী হলে সম্পূর্ণ ফসল নষ্ট হয়ে যাবে। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর নতুন ফসল আবাদ করতে হবে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে বোনা ও রোপা আমনে ৫৬ লাখ ৩৪ হাজার হেক্টর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এর মধ্যে রোপা আমনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৫২ লাখ ৫০ হাজার হেক্টর। আর বোনা আমনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ লাখ ৮৪ হাজার হেক্টর। গত মাসের শুরুতেই লক্ষ্যমাত্রা সামনে নিয়ে আবাদে ব্যস্ত হয়ে পড়ে সারা দেশের কৃষক। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ মো. আবদুল মান্নান জানান, দেশের ২৬টি জেলার এক লাখ ৪৩ হাজার হেক্টর ফসলের খেত বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। এর মধ্যে আমন এবং আউশ ধানসহ বিভিন্ন সবজি ফসলের খেত রয়েছে। সিরাজগঞ্জ এবং জামালপুর জেলার ফসলির খেত সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানান কৃষি অধিদপ্তরে মহাপরিচালক। তবে কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে এবং আশঙ্কা আছে, এ বিষয়ে সঠিক তথ্য নেই। চলতি মৌসুমে রোপা, আমন ধান, শাক-সবজি, ভুট্টাসহ কয়েকটি ফসল বন্যার কবলে পড়ার আশঙ্কা বেশি রয়েছে জানিয়ে কৃষিবিদ আবদুল মান্নান বলেন, বন্যার পানি সরে গেলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা হবে। সিরাজগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, জেলার সব কয়টি উপজেলার ফসলি জমি বন্যার পানিতে আক্রান্ত হয়েছে। আমন এবং আউশসহ বিভিন্ন প্রকার সবজি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬১ হাজার হেক্টর। এর মধ্যে ১১ হাজার ৭০৫ হেক্টর জমি বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। আগামী পাঁচ থেকে সাত দিনের মধ্যে পানি সরে না গেলে সব ফসল নষ্ট হয়ে যাবে। পরে বন্যার পানি সরে গেলে নতুন করে আমনের আবাদ করতে হবে।   একুশে সংবাদ ডটকম/মামুন/৩০.০৮.২০১৪