সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

চট্টগ্রামে লোডশেডিং,নাগরিক জীবনে চরম দুর্ভোগ

প্রকাশিত: ০৪:৩২ এএম, আগস্ট ৩০, ২০১৪
একুশে সংবাদ : সার কারখানা কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি (কাফকো) চালুর পর চট্টগ্রামজুড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিপর্যস্ত হয়ে গেছে। দুই দিনের ব্যবধানে বন্ধ হয়ে গেছে রাউজান তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৪২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার দুটি ইউনিট। ৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন শিকলবাহা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রও বন্ধ হয়ে গেছে। ১৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতার শিকলবাহা পিকিং পাওয়ার প্লান্টে উৎপাদন নেমে এসেছে ৬৫ থেকে ৭০ মেগাওয়াটে। দীর্ঘ পাঁচ মাস পর ২৫ আগস্ট কাফকোতে গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়। এরপর কারখানায় শুরু হয়েছে সার উৎপাদন। এটি পুরোদমে চালু রাখতে প্রতিদিন ৫৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস প্রয়োজন। এরই মধ্যে সেখানে প্রতিদিন ৪৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। এতে রাউজান তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দুটি ইউনিট বন্ধ করে দেয় পিডিবি। কারণ দুটি ইউনিট চালু রাখতে প্রতিদিন ৭০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস প্রয়োজন। সার কারখানায় গ্যাস চলে যাওয়ায় টান পড়েছে বিদ্যুৎ কেন্দ্রে। তাতে দুটি ইউনিট বন্ধ করা ছাড়া বিকল্প ছিল না বলে কেন্দ্রের প্রকৌশলীরা জানিয়েছেন। দুটি ইউনিট বন্ধের পর থেকে নগরীতে শুরু হয়েছে ভয়াবহ লোডশেডিং। লোডশেডিং বৃদ্ধির কথা স্বীকার করেছেন পিডিবি চট্টগ্রাম কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মনিরুজ্জামান। শুক্রবার তিনি জানান, কাফকোতে গ্যাস সরবরাহ দেয়ার পর রাউজান তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে গ্যাসের সঙ্কট দেখা দেয়। এরপর কেন্দ্রের দুটি ইউনিট বন্ধ করে দিতে হয়েছে। এ কেন্দ্র বন্ধ হওয়ায় বেড়ে গেছে লোডশেডিং। পিডিবির ঊর্ধ্বতন এক প্রকৌশলী জানান, সার কারখানা কাফকোর কারণে শুধু রাউজান তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র নয়, শিকলবাহা পিকিং পাওয়ার প্লান্টও বন্ধের ঝুঁকিতে পড়েছে। ১৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতার এ কেন্দ্রে এখন বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭০ মেগাওয়াট করে। তিনি বলেন, গ্যাসের সরবরাহ যে হারে কমছে তাতে দু’একদিনের মধ্যে শিকলবাহা পিকিং পাওয়ার প্লান্টও বন্ধ হয়ে যেতে পারে। গ্যাস সঙ্কটে আগেই বন্ধ হয়ে গেছে শিকলবাহা ৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতার তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র। গ্যাসনির্ভর বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে উৎপাদন কমে যাওয়ার কারণে তেলনির্ভর কেন্দ্র থেকে উৎপাদন বৃদ্ধি করা হয়েছে। তিনটি পাওয়ার প্লান্ট আগে চলতো সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত। রাউজান তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধের পর এখন চালানো হচ্ছে বিকাল ৫টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত। এতে বেড়ে গেছে কেন্দ্রগুলোর বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ।এদিকে কাফকোতে গ্যাস সরবরাহ শুরুর পর আবাসিক পর্যায়ে গ্যাস সরবরাহ কমে গেছে। নগরীর জামাল খান, বাদুরতলা, বাকলিয়া, চকবাজার, আগ্রাবাদ হালিশহর এলাকায় প্রায় প্রতিদিন রান্নার কাজ ব্যাহত হচ্ছে। এতে অনেকে ভোর রাতে রান্না করতে বাধ্য হচ্ছেন। তাতে নাগরিক জীবনে নেমে এসেছে অন্য রকম দুর্ভোগ। এ ব্যাপারে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (কেজিডিসিএল) এক কর্মকর্তা জানান, চট্টগ্রামে প্রতিদিন ৪০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের চাহিদা রয়েছে কিন্তু সরবরাহ আসে ২২০ মিলিয়ন ঘনফুট। সার কারখানা বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত চট্টগ্রামে বিদ্যুৎ কেন্দ্র, আবাসিক ও শিল্প খাতে গ্যাসের সঙ্কট থাকবে। একুশে সংবাদ ডটকম/আর/৩০-০৮-০১৪:

বিভাগের আরো খবর

You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MySQL server version for the right syntax to use near 'ORDER BY bn_content.ContentID DESC LIMIT 8' at line 1