সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

মৃত্যুনজয়ী এক নারীর কাহিনী

প্রকাশিত: ১১:৩০ এএম, আগস্ট ২৬, ২০১৪
একুশে সংবাদ ডেস্ক : জীবনের অন্ধকার গহ্বর থেকে তিলে তিলে মৃত্যুকে জয় করে বাস্তবে ফিরে এসে আজ আবারো সবার সামনে দাঁড়ালেন এক নারী। না সিনেমায় নয় বাস্তবেই এটা ঘটেছে ইরাকে। হানা কেম্পবেল নামের ৩০ বছর বয়সী ওই ‘বায়োনিক নারী’ ২০০৭ সালে ইরাকে এক বোমা বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হন। দেশটি বাসরা শহরে একটি বিল্ডিংয়ে গার্ড দিচ্ছিলেন তিনি। বিস্ফোরণের পর তার একটি চোখ নষ্ট হয়ে যায়। দুই টুকরো হয়ে যায় বাঁ হাত। বাঁ পা সম্পূর্ণরূপে বাদ হয়ে যায়। এখনও শেষ হয়নি। নষ্ট হয় যকৃত, গর্ভাশয়। অবশেষে হার্ট অ্যাটাক। জীবনের শেষ পর্যায় দাঁড়িয়ে প্রহর গুনছে মৃত্যুর জন্য। কিন্তু কেম্পবেল চলতে শুরু করলো উল্টোদিকে। প্রবল ইচ্ছাশক্তি ও ধৈর্য্যের হাত ধরে ফিরে আসেন নরকযন্ত্রণা থেকে। তিনি জানান, 'ডাক্তারের আন্তরিক সেবায় আমি নতুনভাবে জীবন ফিরে পাই'। তিনি শরীরে প্রায় সবকিছু পাল্টে ফেলেন। বিপুল ব্যয় করে তিনি হন সত্যিকারের 'বায়োনিক মহিলা'। শরীরে গভীর ক্ষতস্থান পূরণ করতে ও নিজেকে আরও সুন্দর করে তুলতে তিনি খরচা করেন ৫২ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় সাড়ে একত্রিশ লক্ষ টাকা। সবচেয়ে আশ্চর্য্য বিষয়, তিনি একটি প্রোসথেটিক পা লাগান। ত্বকের ক্ষতস্থানে বোটোক্স করেন। নানানরকম শরীরি নকশায় সুন্দর করে তোলেন নিজের জীবনকে। তিনি শুধু শরীরে ক্ষতস্থানেই চিকিত্সা করেননি, স্তনকে আরও বৃদ্ধি করান। ক্ষতিগ্রস্থ গর্ভাশয়ে সারিয়ে আজ তিনি এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। সত্যি হানা কেম্পবেল এখন বিশ্বের কাছে 'রিয়েল বায়োনিক মানুষ'। তাঁর বাস্তব জীবনকাহিনী আমাদের অনেক হেরে যাওয়া জীবনকে অনুপ্রাণিত করবে, এমনই মনে করেন স্বয়ং হানা কেম্পবেল। একুশে সংবাদ ডটকম/এমকেএইচ/২৮-০৮-০১৪:

বিভাগের আরো খবর

You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MySQL server version for the right syntax to use near 'ORDER BY bn_content.ContentID DESC LIMIT 8' at line 1