সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

বিচ্ছেদ আর নয় !

প্রকাশিত: ০৬:১২ এএম, আগস্ট ২৫, ২০১৪
একুশে সংবাদ : আমাদের অনেকে এমনিতেই সামাজিক নানা সমস্যায় বিপর্যস্ত। এর মধ্যে বিয়ে সংক্রান্ত সমস্যা ও বিচ্ছেদ যেন সুস্থ সমাজ গঠনের পথে মরার ওপর খাঁড়ার ঘা।বিচ্ছেদের সাথে সাথে একটি দাম্পত্য সর্ম্পকের অবসান ঘটে। এর মাধ্যমে শুধু স্বামী-স্ত্রীর সর্ম্পকেরই অবসান ঘটে না, ২টি পরিবারের সমস্ত আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যেওশেষ হয় সর্ম্পক। বর্তমানে বিবাহ বিচ্ছেদ ক্রমবর্ধমান হারে বাড়ছে। যৌনজীবনে অতৃপ্তি, পরকীয়া প্রেম, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কুপ্রভাব ও নেশার কারণে ভাঙছে বিয়ে। আবার ইগো সমস্যা, পাশ্চত্য জীবনবোধের মতো অনেক ঠুনকো কারণেইও ফাটল ধরছে সম্পর্কে। বিচ্ছেদকে অনেকেই ভাবছেন সম্পর্কের আরও অবনতি মোকাবেলার সবচেয়ে সহজ সমাধান। আর্শ্চযের বিষয় অনেক দম্পতিই বিচ্ছেদকে ভাবছেন, সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে বিচ্ছেদটা জরুরি। আপনার দাম্পত্য জীবনকে সুখী ও দীর্ঘস্থায়ী করতে কিছু করণীয় অর্থসূচক পাঠকদের জন্য … কাজ যতই থাকুক কাছে থাকুন: যোগাযোগ ছাড়া ধীরে ধীরে আপনার সম্পর্ক ধ্বংস হবে। আপনি যতই কাজ, সন্তান, জিম, গৃহস্থালি চিন্তা, সামাজিক কর্মকাণ্ড নিয়ে ব্যস্ত থাকুন না কেন সঙ্গীর জন্য অনন্ত কিছুটা সময় রাখুন। এই সময়টা তার পাশে বসে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলুন। তবে খেয়াল রাখবেন শুধু সাংসারিক কথাতেই তা যেন আটকে না থাকে। সম্পর্কে সম্মান করুন: ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট সীমা হিঙ্গোরানী বলেন, সম্পর্ককে সম্মান করুন। এটি আপনাদের বন্ধনকে সুদৃঢ় করবে। আপনি তাকে বিয়ে করতে পারেন এবং তিনি আপনার জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হতে পারে। কিন্তু আপনি তার মালিক হতে পারেন না। একা , পরিবার অথবা বন্ধুদের সামনে, আপনি তার মনিব বনে যাবেন না। সব বিষয়ে তার সাথে একমত না হলেও, তার অনুভূতি ও সিদ্ধান্তকে সম্মান করতে শিখুন। মেনে ও মানিয়ে নিন: সমাঝোতাকে অনেকে দূর্বলতা বলে মনে করেন। কিন্তু একটু সমাঝোতাই আপনার দাম্পত্যকে দীর্ঘস্থায়ী করতে পারে। এর মানে এই নয় আপনি আপনার সিদ্ধান্ত থেকে সবসময় পিছু হটছেন। ঐক্যমত্য বা সমাধানে পৌঁছানোর তাগিদটা যেন দুজনের মধ্যে সবসময় থাকে। আর্থিক বিষয়ে স্বচ্ছতা: প্রত্যেকের আর্থিক স্বাধীনতা আছে। আপনার টাকা আপনি একটি পৃথক ব্যাংক অ্যাকাউন্ট রাখতে পারেন। কিন্তু আপনার সঙ্গী আর্থিক বিষয়ে খোঁজ খবর রাখার অধিকার রাখে। নতুন কোথাও বিনিয়োগের আগে একসাথে সিদ্ধান্ত নিন। তবে তার যৌক্তিক সিদ্ধান্তে বাধা দেবেন না। তার ওপর আস্থা হারাবেন না। পারিবারের সাথে থাকুন: পরিবারের প্রতি আন্তরিক থাকুন। পরিবারের সবাইকে নিয়ে মাঝে মাঝে বেরিয়ে পড়ুন কিংবা ডিনারে যান। অনন্ত রাতের খাবারটা একসাথে সারার চেষ্টা করুন। নিজেদের কে আলাদা করে না রেখে পরিবারের সবার সাথে একটা বন্ধন তৈরি করুন। অনেক খারাপ সময়ে পরিবার আপনাদের পাশে দাঁড়াবে। আলাদা সংসার হলেও কিন্তু পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগটা রাখা যায়। রোমান্স মেরে ফেলবেন না: সঙ্গীর প্রতি মনোযোগ দিন, সময় দিন। আপনার জীবনে যে সে বিশেষ কেউ তা যেন তার অনুভবে থাকে। মাঝে মাঝে সন্তানকে মা-বাবা বা শ্বশুর-শ্বাশুড়ির কাছে রেখে দুজনে বাইরে বেরিয়ে পড়ুন। নিজেদের মতো করে কাটান কিছুটা সময়। একুশে সংবাদ ডটকম/আর/২৫-০৮-০১৪:

বিভাগের আরো খবর

You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MySQL server version for the right syntax to use near 'ORDER BY bn_content.ContentID DESC LIMIT 8' at line 1