সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

সঞ্চয় পরিদপ্তরে ২৪,০০০ কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি

প্রকাশিত: ১১:২০ এএম, আগস্ট ১৯, ২০১৪
একুশে সংবাদ : বর্তমানে বড় কোন বিনিয়োগ নেই। তবে ক্ষুদ্র ও একক বিনিয়োগ বেশ খানিকটা চাঙ্গাও বলা চলে। কারণ দীর্ঘমেয়াদের বিনিয়োগে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা। এখন পর্যন্ত বড় বিনিয়োগের কোন সূচক-ই সবল দেখাচ্ছে না। সে কারণে দু’ধরনের বিনিয়োগ এখন চোখে পড়ছে। প্রথমত: এসএমই পর্যায়ে বিনিয়োগ, দ্বিতীয়ত: সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ। এর মধ্যে ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশ এসএমই বিনিয়োগ করলেও একক ও ব্যক্তি পর্যায়ের বিনিয়োগ হচ্ছে সঞ্চয়পত্রে। কারণ সঞ্চয়পত্র বিনিয়োগে ঝুঁকি কম, লাভ বেশি। সে কারণে সঞ্চয়পত্রে একক বিনিয়োগ বেড়ে গেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ব্যক্তি ও একক পর্যায়ে দৈনিক এক থেকে দেড়শ’ আবেদন জমা পড়ছে। পাশাপাশি বাড়ছে নতুন বিনিয়োগ। ব্যাংকগুলো আমানতের সুদ কমিয়ে দেয়ায় বেশি লাভের আশায় ও নিরাপত্তার কথা ভেবে সাধারণ মানুষ তাদের জমানো টাকা সঞ্চয়পত্রে খাটাচ্ছেন বলে সংশ্লিষ্টদের ধারণা। জাতীয় সঞ্চয় পরিদপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত ৩০শে জুন পর্যন্ত মোট ২৪,৩০৯ কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে ১২,৬০২ কোটি টাকা সুদ-আসল বাবদ তুলেছেন বিনিয়োগকারীরা। সে হিসাবে গত অর্থবছরে সঞ্চয়পত্রের নিট বিক্রির পরিমাণ ছিল ১১,৭০৭ কোটি টাকা, যা আগের অর্থবছরের চেয়ে ১৫ গুণেরও বেশি। ২০১২-১৩ অর্থবছরে পরিবার সঞ্চয়পত্রসহ মোট ২৩,৩২৭ কোটি টাকার বিভিন্ন ধরনের সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়। এর মধ্যে সঞ্চয়পত্রের সুদ-আসলসহ ২২,৫৫৪ কোটি টাকা তুলে নেন বিনিয়োগকারীরা। নিট বিক্রি ছিল ৭৭৩ কোটি টাকা। সে হিসাবে গত অর্থবছরে আগের বছরের তুলনায় সঞ্চয়পত্র ভাঙানোর পরিমাণ কমেছে ৪৪.১২%। বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস) বলছে, ঝুঁকিমুক্ত ও নিরাপদ হওয়ায় নতুন বিনিয়োগকারীরা সঞ্চয়পত্রের দিকে ঝুঁকছে; একই সঙ্গে পুরনো বিনিয়োগকারীদের মধ্যে যাদের মেয়াদ পূর্ণ হচ্ছে তারাও আসলটা না তুলে আবারও বিনিয়োগ করছেন। সে কারণেই নিট বিনিয়োগের পরিমাণ বেড়েছে। এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা মানবজমিনকে জানান, দেশে এখন বড় কোন বিনিয়োগ নেই। দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগে সাহস পাচ্ছেন না উদ্যোক্তারা। সে কারণে সঞ্চয়পত্রে ঝুঁকছেন তারা। তিনি বলেন, নতুন বিনিয়োগের পাশাপাশি যাদের সঞ্চয়পত্রের মেয়াদ পূর্ণ হয়ে গেছে, তারা আবারও বিনিয়োগ করেন। এছাড়া ১০০-১৫০ জন দৈনিক নতুন সঞ্চয়পত্র কিনছেন বলে তিনি জানান। জানা গেছে, ১৯৯৬ সালে নারীদের জন্য পরিবার সঞ্চয়পত্র চালু করা হয়। এরপর কিছুদিন বন্ধ থাকলেও ২০০৯ সালে আবার তা চালু করা হয়। বর্তমানে পরিবার সঞ্চয়পত্রের সুদের হারই সবচেয়ে বেশি, ১৩ শতাংশের মতো। জাতীয় সঞ্চয় পরিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত অর্থবছরের শেষ মাস জুনে রেকর্ড এক হাজার ৬৬৬ কোটি টাকার নিট সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে। এর আগে মে মাসে সঞ্চয়পত্রের নিট বিক্রি ছিল ১২৮৮ কোটি টাকা। তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০১৩-১৪ অর্থবছরের প্রায় প্রতি মাসেই সঞ্চয়পত্রের বিক্রি বেড়েছে। অর্থবছরে প্রথম মাস জুলাইয়ে নিট বিক্রির পরিমাণ ছিল ৬২৫ কোটি টাকা। আগস্টে তা বেড়ে হয় ৬৯২ কোটি টাকা। এরপর জানুয়ারিতে তা বেড়ে ১১২৬ কোটি টাকায় দাঁড়ায়। ফেব্রুয়ারি, মার্চ ও এপ্রিলে সঞ্চয়পত্রের নিট বিক্রির পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ১২৬২ কোটি, ১২১৫ কোটি ও ১২৭৪ কোটি টাকা। গত অর্থবছর বিক্রি হওয়া সঞ্চয়পত্রের ৮০% ছিল পরিবার সঞ্চয়পত্র। এছাড়া ১৫% পেনশনার সঞ্চয়পত্র এবং বাকি ৫% অন্যান্য সঞ্চয়পত্র। ঘাটতি মেটাতে সরকার ২০১৩-১৪ অর্থবছরে বাজেটে সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণ নেয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধরেছিল ৪৯৭১ কোটি টাকা। বিক্রি বেশি হওয়ায় সংশোধিত বাজেটে তা প্রায় দ্বিগুণ বাড়িয়ে ৮০০০ কোটি টাকা করা হয়। এর ধারাবাহিকতায় চলতি বাজেটে (২০১৪-১৫) সঞ্চয়পত্র থেকে ৯০৫৬ কোটি টাকা ঋণ নেয়ার লক্ষ্য ঠিক করেছে সরকার। একুশে সংবাদ ডটকম/আর/১৯-০৮-০১৪:

বিভাগের আরো খবর

You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MySQL server version for the right syntax to use near 'ORDER BY bn_content.ContentID DESC LIMIT 8' at line 1