সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

সাপ,কাঁকড়া-বিছে, মৌমাছির বিষে ক্যান্সার সারতে পারে

প্রকাশিত: ১১:০০ এএম, আগস্ট ১৬, ২০১৪
একুশে সংবাদ ডেস্ক : কথায় বলে বিষে বিষ ক্ষয়! আর আমরা এটাও জানি কেমোথেরাপিতে সাপের বিষ ব্যবহৃত হয়। কিন্তু ক্যানসার রুখতে উল্লেখযোগ্য সাফাল্য লাভ করেন এক ভারতীয় বিজ্ঞানী। তার গবেষণায় সাপ, কাঁকড়া-বিছে, মৌমাছির বিষে ক্যানসার সারতে পারে। আরও এক ধাপ এগিয়ে ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী দীপাঞ্জন পান ও তাঁর সহকারীরা আবিস্কার করেন সাপ, কাঁকড়াবিছে ও মৌমাছির বিষ দিয়ে ক্যানসারকে রোখা যায়। তাঁরা ল্যাবে পরীক্ষা করে দেখেছেন, এইসব বিষধর প্রাণীর বিষ প্রয়োগ করে ব্রেস্ট ক্যানসার ও মেলানোমা কোষের বৃদ্ধি রুখতে সক্ষম। বহুযুগ ধরে চিকিত্সকরা এইসব বিষ দিয়ে বিভিন্ন রোগের চিকিত্সা করে আসছেন। খ্রীস্টপূর্ব ১৪ বছরে গ্রিক লেখক প্লিনি দ্য এল্ডার লিখেছিলেন, মৌমাছির বিষ ব্যবহার করলে টাকে চুল গজাতে পারে। আবার ৭৮০ খ্রীষ্টাব্দে ইউরোপের মহান সম্রাট চার্লেমাগনের গাঁটে ব্যাথায় নাকি ডাক্তাররা মৌমাছির হুল ফোটাতেন। চিনের প্রাচীন চিকিত্সাশাস্ত্রেও ব্যাঙের বিষ যকৃত, ফুসফুস ও অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসার সারাতে ব্যবহত হওয়ার কথা লেখা রয়েছে। আবার, কিউবায় ডাক্তাররা ব্রেন টিউমারের জন্য কাঁকড়াবিছের বিষ ব্যবহার করে থাকেন। সাধারণত কারও শরীরে বিষ ঢুকলে প্রাণহানী হতে পারে। যেমন মৌমাছির হুল ফুটলে মেলিটিন থাকার কারণে প্রচন্ড জ্বালা করে। অতিরিক্ত বিষ কোষের ঝিল্লি নষ্ট করে দেয়। তারপর রক্তকে জমাট বাঁধিয়ে হৃদপিন্ডের পেশিগুলি ক্ষতিগ্রস্ত করে। ক্যানসার কোষের উপর একই প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। কিন্তু, দীপাঞ্জন পানের বিশেষজ্ঞ দল এক নতুন দিশা দেখান। বিষের মধ্যে থাকা প্রোটিন ও পেপটাইডকে আলাদা করে ক্যানসার কোষের বৃদ্ধি রুখতে ব্যবহার করে উল্লেখযোগ্য সাফল্য এসেছে বলে দাবি করেছেন তিনি। একুশে সংবাদ ডটক/এমকেএইচ/১৬-০৮-০১৪:

বিভাগের আরো খবর

You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MySQL server version for the right syntax to use near 'ORDER BY bn_content.ContentID DESC LIMIT 8' at line 1