সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

লটকন চাষে ভাগ্য বদল

প্রকাশিত: ০৭:২০ এএম, আগস্ট ১১, ২০১৪
একুশে সংবাদ: পঞ্চগড়ের কৃষকদের ভাগ্যের চাকা বদলে দিয়েছে লটকন। এ বছর সেখানে লটকনের ব্যাপক ফলন হওয়ায় আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন চাষিরা। পঞ্চগড়ে উৎপাদিত লটকন সুস্বাদু ও ফলের আকার বড় হওয়ায় এর প্রচুর চাহিদা রয়েছে বলে জানা গেছে। এখান থেকে ব্যবসায়ীরা প্রতিদিন প্রচুর লটকন নিয়ে যাচ্ছেন রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে।জেলার বিভিন্ন এলাকায় বাগানভিত্তিক ও সৌখিন লটকন চাষে আগ্রহের কারণে প্রতিবছরই বাড়ছে লটকন ফলের বাগান, বদলে যাচ্ছে চাষিদের ভাগ্যের চাকা। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, পঞ্চগড়ে প্রায় ১৪ হেক্টর জমিতে লটকনের চাষ হয়েছে। সৌখিন চাষি ছাড়াও প্রায় শতাধিক বাগান গড়ে উঠেছে। প্রতি হেক্টরে ৫ থেকে ৮ টন ও একটি গাছে ৫ থেকে ১০ মণ পর্যন্ত লটকন উৎপাদিত হচ্ছে।এত ফলন হওয়ার অন্যতম কারণ এই জেলার মাটি লটকন চাষের উপযোগী। এখানকার মাটিতে প্রচুর ক্যালসিয়াম ও খনিজ উপাদান থাকায় অধিক মিষ্টি ও সামান্য টক জাতীয় লটকন উৎপাদিত হচ্ছে বলে অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে। পঞ্চগড়ের লটকন বাগানের গাছগুলো ভরে গেছে লটকনে। গাছের গোড়া থেকে মগডাল পর্যন্ত থোকা থোকা ফলে ভরে গেছে বাগানের প্রতিটি গাছ। বাজারে প্রতিকেজি লটকন ৭০ টাকা থেকে ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সৌখিন ও বাগানভিত্তিক চাষিরা লটকন বিক্রি করে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন বলে জানিয়েছেন। তবে চাষিদের হাট বাজারে গিয়েও লটকন বিক্রি করতে হচ্ছে না। কারণ ফল ব্যবসায়ীরা বাগান থেকেই লটকন কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। পঞ্চগড় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. নজরুল ইসলাম জানান, লটকন খাদ্যমানে ভরপুর। এতে ক্যালসিয়াম, ক্যারোটিন, খনিজ লবণ ও অন্যান্য ভিটামিনও রয়েছে। কৃষকদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করলে লটকনের চাষাবাদ বাড়বে এবং কৃষকরাও আর্থিকভাবে লাভবান হবেন বলে প্রত্যাশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। একুশে সংবাদ ডট কম/মামুন/১১.০৮.২০১৪

বিভাগের আরো খবর

You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MySQL server version for the right syntax to use near 'ORDER BY bn_content.ContentID DESC LIMIT 8' at line 1