সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

আন্দোলন মোকাবিলা করতে আমরা প্রস্তুত আছি

প্রকাশিত: ১১:৪৭ এএম, আগস্ট ১০, ২০১৪
একুশে সংবাদ : বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেছেন, ঈদুল ফিতরের পর বিএনপির আন্দোলনের হুমকির কারণ একটাই, তারা নির্বাচন চায়। কিন্তু দেশের রাষ্ট্রক্ষমতায় বর্তমানে যারা ক্ষমতাসীন তারা মধ্যবর্তী নির্বাচনের কোন কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না। আমি নিজেও নির্বাচনের দরকার আছে বলে মনে করি না। বিএনপি বিগত ৫ই জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনের বাস ফেল করেছে। যে যত কথাই বলুক না কেন সেই নির্বাচনী বাস ২০১৯ সালের আগে আর আসবে না। কাজেই সেই সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। বিএনপির ঘোষিত আন্দোলন ও তা মোকাবিলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত ২০১৩ সালে আন্দোলনের নামে দেশে একটি সঙ্কটময় পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছিল। বিএনপির আন্দোলনের নির্ভরতা মূলত জামায়াতের ওপর। তাদের আন্দোলন মানেই জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে খুন-খারাবি করা। এ ধরনের আন্দোলন নিয়ে বিএনপি নিজেই দ্বিধাগ্রস্ত। এর সফলতা নিয়ে তারা নিজেরাও সন্দিহান। অতীতে তাদের সহিংস কর্মসূচি দেশের জনগণ ভালভাবে গ্রহণ করেনি। তাই আন্দোলনও কার্যকর হয়নি। এখন তারা বিদেশীদের কাছেও ধরনা দিচ্ছে। তবে ধরনা দিয়ে কোন লাভ হবে না। ‘১৪ দলে কোন সঙ্কট নেই’ দাবি করে মেনন বলেন, বিএনপি যদি আন্দোলনে নামে তবে ১৪ দল বসে থাকবে না। তারাও রাজনৈতিকভাবে এই আন্দোলন মোকাবিলা করবে। আন্দোলন মোকাবিলা করতে আমরা প্রস্তুত আছি। তাদের মোকাবিলায় আমরা সক্ষম বলে আমি মনে করি। রাজপথে যদি দু’দলই নামে এ ক্ষেত্রে সহিংসতার আশঙ্কা করছেন কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, রাজনৈতিক হানাহানির আশঙ্কা নেই। তবে বিএনপি জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে তা করতে পারে। অতীতেও তা-ই করেছে। ২৩শে জুলাই রাতে আমাদের রাজশাহী ওয়ার্কার্স পার্টির ২৯ নম্বর ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদককে জামায়াত হত্যা করেছে। নিজামীর মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় নিয়েও তারা পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে পারে। যদি তারা আবারও জনগণকে জিম্মি করে অরাজকতা করে তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বসে থাকবে না। সমপ্রতি ঢাকা মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। ঢাকার রাজনীতির মাঠ দখলে রাখতে চায় তারা। সে ক্ষেত্রে তারা কতটুক সফল হবে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, তাদের এই কমিটি দেখেই বোঝা যায় সাংগঠনিকভাবে তারা আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত নয়। এটা বলা যায় যে বিএনপি দ্বিধান্বিত পদক্ষেপে এগোচ্ছে। একটি উদাহরণ দিই। সাধারণত বিএনপির কোন কমিটি গঠিত হলে বা বর্ষপূর্তিতে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে। কিন্তু বিএনপির নতুন কমিটি এই কাজটি করতেও দেরি করেছে। জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দেয়ার বিষয়টি নিয়েও তারা দ্বিধান্বিত ছিল। এতে বোঝা যায় দলের মধ্যে কোন সমন্বয় নেই। এই কমিটি নিয়ে তারা কতদূর কি করতে পারবে তাতে আমার যথেষ্ট সন্দেহ আছে। বাংলাদেশে নিযুক্ত নয়া মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শিয়া স্টিফেন্স ব্লু-বার্নিকাট ১৭ই জুলাই বৃহস্পতিবার মার্কিন কংগ্রেসের পররাষ্ট্র বিষয়ক সিনেট কমিটির শুনানিতে বলেছেন ‘বাংলাদেশে ৫ই জানুয়ারির নির্বাচন নিঃসন্দেহে ত্রুটিপূর্ণ ছিল’। তার এই মন্তব্যের সমালোচনা করে মেনন বলেন, এটি দুঃখজনক যে বাংলাদেশে যারাই আসেন, তারাই দেশের রাজনীতি, সরকার ও নির্বাচনের বিষয়ে অযাচিত মন্তব্য করেন। ক’দিন আগে ড্যান ডব্লিউ মজিনা বাংলাদেশের বিচার বিভাগ নিয়ে সমালোচনা করেছেন। বিচার ব্যবস্থা কেমন হবে, কিংবা তা সংস্কার করতে হবে এ ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন। কিছু উপদেশ দিয়েছেন। আমার দেশের বিচার বিভাগ কিভাবে চলবে, সেটা আমরা নির্ধারণ করবো। এটা তাদের এজেন্ডা নয়। নতুন রাষ্ট্রদূত মার্শিয়া স্টিফেন্স ব্লু-বার্নিকাট এখনও তার দায়িত্বভার গ্রহণ করেননি। বাংলাদেশের মাটিতে পা দেননি। রাষ্ট্রদূতদের কূটনৈতিক বক্তব্যকে কূটনৈতিকভাবে মোকাবিলা করার মতো সক্ষমতাও আমাদের আছে। ২০১৩ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ৯টি রায়ে ১০ জনের সাজা হয়েছে। একজনের সাজা কার্যকরও হয়েছে। কিন্তু ২০১৪ সালের মাঝমাঝি পর্যায়ে এসে একটিও রায় ঘোষিত হয়নি। জামায়াত আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজমীর রায় বারবার পিছানো হচ্ছে। জনমনে সন্দেহ জেগেছে জামায়াতের সঙ্গে সরকারের গোপন সমঝোতা হচ্ছে। বিষয়টিকে কিভাবে দেখছেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিষয়ে কালক্ষেপণ হলে জনমনে সন্দেহ ও অনাস্থা তৈরি করে। তাই সঠিক সময়ে সঠিক কাজটি করতে হয়। তবে রায় কেন হচ্ছে না সেটার জন্য সরকার বা রাজনৈতিক কৌশল দায়ী বলে মনে করি না। অন্য কোন কারণে হয়তো দেরি হচ্ছে। কোন কারণে হয়তো ট্রাইব্যুনাল সেই ক্ষমতা অর্জন করতে পারছে না। আর সরকার জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতাই বা কেন করবে? করলে তো তা আরও আগেই হতো। যেখানে কাদের মোল্লার ফাঁসি স্থগিত রাখার জন্য বিশ্বের সর্বোচ্চ ক্ষমতাধারী দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি অনুরোধ করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই আদেশ অগ্রাহ্য করেছেন। কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকর করেছেন। যদি জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতা বা গোপন আঁতাতই হতো তাহলে ফাঁসির রায় কার্যকর হতো না। তাছাড়া জামায়াতে ইসলামী এমন কিছু অর্জন করতে পারেনি যে দেশটাকে তারা উঠিয়ে দেবে। একুশে সংবাদ ডটকম/আর/১০-০৮-০১৪:

বিভাগের আরো খবর

You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MySQL server version for the right syntax to use near 'ORDER BY bn_content.ContentID DESC LIMIT 8' at line 1