সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

ঈদের ছুটিতে পর্যটকদের বরণে প্রস্তুত কক্সবাজার

প্রকাশিত: ০৫:৫৩ এএম, জুলাই ২৩, ২০১৪
একুশে সংবাদ : প্রতিবছর ঈদে এলে একটি লম্বা ছুটি মেলে। এ ছুটিকে কেন্দ্র করে ঈদের আগে-পরে কক্সবাজারে আসেন লাখো পর্যটক। অন্যবারের মতো এবারও ঈদের ছুটিতে পর্যটকদের উপচেপড়া ভিড় হবে- এমন আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। পর্যটন স্পটগুলোর ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান সাজানো হচ্ছে নানা আকর্ষণীয় সাজে। নতুন আসবাবপত্র দিয়ে হোটেল-মোটেল সাজানো হচ্ছে। দেওয়ালের পুরনো আস্তরণ তুলে লাগানো হচ্ছে প্লাস্টিক পেইন্ট কিংবা ডিসটেমপার। রেস্তোরাঁগুলোতেও চলছে ধোয়ামুছা ও রঙ লাগানোর কাজ। প্রশাসনের পক্ষে সার্বিক নিরাপত্তা দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ২৯ বা ৩০ জুলাই ঈদ হবে। ঈদকে কেন্দ্র করে টানা চার-পাঁচ দিনের ছুটি পড়বে। এ ছুটিকে কেন্দ্র করে কক্সবাজারে ব্যাপক সংখ্যক পর্যটক আসবেন- এমনটিই আশা করছেন হোটেল-মোটেল-মালিকসহ পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। আবাসিক হোটেল রিগ্যাল প্যালেসের ম্যানেজার মোহাম্মদ আব্দুর রব জানান, অতীতের বিষয়টি পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, প্রতিবছর ঈদের ছুটিসহ নানা ছুটিতে ব্যাপক সংখ্যক পর্যটকের ভিড় হয় কক্সবাজারে। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না। ইতিমধ্যে কিছু রুম অগ্রিম বুকিং হতেও শুরু করেছে। একই সঙ্গে সাজ-সজ্জার কাজও শেষ করা হয়েছে। হোটেল ওশ্যান প্যারাডাইসের ম্যানেজার সুবীর কুমার ব্যানার্জি রাইজিংবিডিকে জানান, হোটেলের পক্ষ থেকে সব প্রকার প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। ৩০ জুলাই থেকে ২ আগস্ট পর্যন্ত হোটেলের ২৯৬টি কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে। আর কোনো বুকিং নেওয়া হচ্ছে না। এখন ঈদের পরে যেসব পর্যটক আসবেন, তাদের আনন্দ দেওয়ার জন্য নানা আয়োজন চলছে। সী-গাল হোটেল ম্যানেজার হারুন-অর-রশিদ জানান, গত বছর রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে পর্যটকের সংখ্যা কম ছিল। কিন্তু এখন রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরে আসায় এবার ঈদের পরে পর্যটন মৌসুমে হোটেলের ভালো ব্যবসা হবে। ইতিমধ্যে হোটেলের ৭০ শতাংশ রুম বুকিং হয়েছে। সরেজমিন দেখা গেছে, হোটেল-মোটেল জোনের প্রায় সব হোটেল-মোটেল-গেস্ট হাউসে চলছে ধোয়া-মোছা ও রঙ করার কাজ। পর্যটন রাজধানী কক্সবাজারের পর্যটন স্পট মহেশখালী, হিমছড়ি, ইনানী, দরিয়ানগর, বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কসহ বিভিন্ন পর্যটন স্পটগুলো সাজছে নতুন করে। কক্সবাজার শহরের বার্মিজ মার্কেটগুলোতে নানা রকমের বাহারি বার্মিজ পণ্যের সমাহার নিয়ে দোকানিরা বসে আছেন পর্যটকদের আগমনের অপেক্ষায়। কক্সবাজার হোটেল-মোটেল-গেস্ট হাউজ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম সিকদার রাইজিংবিডিকে জানান ঈদের পরে পর্যটন মৌসুমকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে দুই শতাধিক হোটেল ও গেস্ট হাউস ও কটেজ সব প্রকার প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। এখন শুধু পর্যটকদের স্বাগত জানানোর অপেক্ষা। তিনি আরো জানান, যদি বিশদ পরিসরে বৃষ্টিপাত না হয় তাহলে কক্সবাজারে প্রায় ২ লক্ষাধিক পর্যটকের আগমন ঘটবে। ইতিমধ্যে হোটেল-মোটেল-গেস্ট হাউস ও কটেজগুলোর রুম বুকিং চলছে। কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. রুহুল আমিন রাইজিংবিডিকে বলেন, পর্যটক হয়রানি বন্ধে হোটেল-মোটেল ও রেস্তোরাঁয় মূল্য তালিকা টাঙানোর নির্দেশসহ বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া পর্যটক হয়রানি বন্ধে জেলা প্রশাসন নানা ধরণের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. তোফায়েল আহমদ রাইজিংবিডিকে বলেন, পর্যটকদের নিরাপত্তা ও অপরাধ নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সজাগ থাকবে। পর্যটন এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ ও সাদা পোশাকে পুলিশের নজরদারী বাড়ান হবে। তিনি আরো বলেন, জেলা পুলিশ থেকে ট্যুরিস্ট পুলিশ আলাদা করা হয়েছে। একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও ৮২ জন ফোর্স ট্যুরিস্ট পুলিশের আওতায় আনা হয়েছে। তাই এবার পর্যটকরা নিরাপদে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ভ্রমণ করতে পারবেন। একুশে সংবাদ ডটকম/আর/২৩-০৭-০১৪:

বিভাগের আরো খবর

You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MySQL server version for the right syntax to use near 'ORDER BY bn_content.ContentID DESC LIMIT 8' at line 1