সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

কৃষি ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য পুরস্কার দেবে সরকার

প্রকাশিত: ১০:১০ এএম, জুলাই ২২, ২০১৪
একুশে সংবাদ : কৃষি গবেষণায় বিশেষ অবদান ও উদ্ভাবনের জন্য বিজ্ঞানীদের পুরস্কার দেবে সরকার। সেচ ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন, কৃষি যান্ত্রিকীকরণ, মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন, বনায়ন, পরিবেশ, কৌলি সম্পদ উন্নয়ন এবং কৃষির অন্যান্য বিষয়ে গবেষণা ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনের জন্য বিশেষ এ পুরস্কারের আয়োজন করা হয়েছে। চার ক্যাটাগরির এ পুরস্কারের প্রথম পুরস্কার হচ্ছে ১৮ ক্যারেটের ২০ গ্রাম ওজনের স্বর্ণপদক, সনদ এবং নগদ ৫০ হাজার টাকা। কৃষি মন্ত্রণালয় পুরস্কারের নীতিমালা চূড়ান্ত করেছে বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক অতিরিক্ত সচিব নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, কৃষির সাতটি ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য বিজ্ঞানীদের বিশেষ পুরস্কার দেয়া সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে এখনও চূড়ান্ত করা হয়নি। আমরা এখন নীতিমালা তৈরির কাজ করছি। সব কিছু চূড়ান্ত করার পর গণমাধ্যমকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে। সংশ্লিষ্টরা জানান, সাধারণ কৃষিবিজ্ঞানীদের জন্য এ পুরস্কার নয়। কৃষির সাতটি বিষয়ে যারা বিশেষ অবদান রেখেছেন, তাদের এ পুরস্কার দেয়া হবে। স্বাধীনতার পর দেশে খাদ্য সঙ্কট থাকলেও দিন যত এগোচ্ছে দেশ ততই খাদ্যে স্বংসম্পূর্ণতা অর্জনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এরই মধ্যে প্রায় তিন বছর ধরে বিদেশ থেকে চাল আমদানি করা হচ্ছে না; তবে গম আমদানি হচ্ছে। সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে হাঁটি-হাঁটি পা-পা করে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে যারা অবদান রেখেছেন, তাদের এ পুরস্কার দেয়া হবে। অনুরূপভাবে কৃষির সাত শাখার উন্নয়নে যারা বিশেষ অবদান রেখেছেন, তাদের বিশেষ এ পুরস্কার দেয়া হবে। এক সময় সেচ ব্যবস্থা ছিল সেকেলে। তা থেকে সেচ ব্যবস্থার বিশেষ উন্নয়নে যেসব কৃষিবিজ্ঞানী অবদান রেখেছেন, তাদের পুরস্কার দেয়া হবে। কৃষির সব কাজই এক সময় হাতে করা হতো। এখন বেশিরভাগ কাজই যন্ত্রপাতির সাহায্যে সম্পন্ন করা হয়। নিড়ানি, সার ও ওষুধ ছিটানো, ফসল কাটা, মাড়াই ও প্রক্রিয়াজাতকরণে যন্ত্রপাতির বহুল ব্যবহার হচ্ছে। কৃষির এ যান্ত্রিকীকরণে যেসব গবেষক বিশেষ অবদান রেখেছেন, তাদের পুরস্কৃত করা হবে। মৃত্তিকা সম্পদের উন্নয়ন : এক সময় কৃষকরা জানতেন না, কোন মাটিতে কী ফসল চাষ করলে ফলন ভালো হয়। মাটির শ্রেণীর বিন্যাস জানা ছিল না। ফলে যে মাটির জন্য যে ফসল অনুপোযোগী, তা চাষ করে কৃষকরা হতাশ হয়েছেন। আজ দেশের বেশিরভাগ এলাকার মাটির ধরন সম্পর্কে কৃষকের সাধারণ ধারণা রয়েছে। ফলে এখন ফসলের উপযোগী মাটিতে সঠিক বীজ বপন করে কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন। মাটির শ্রেণীবিন্যাসে যেসব বিজ্ঞানী বিশেষ অবদান রেখেছেন, তাদের পুরস্কৃত করা হবে। একটি দেশের মোট ভূখন্ডের ২৫ ভাগ বনভূমি থাকা জরুরি। বিগত যে কোনো সময়ের চেয়ে দেশের বনজ সম্পদ এখন অনেক বেশি। পরিবেশ সংরক্ষণে এ বনভূমির অবদান অপরিসীম। একটি ভূখন্ডের প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় বনভূমি নীরবে কাজ করে। সুতরাং যেসব গবেষক দেশের বনভূমির উন্নয়ন ও গবেষণায় বিশেষ অবদান রেখেছেন, তাদের বিশেষ এ পুরস্কার দেয়া হবে। এছাড়া গবেষণা ব্যবস্থার উন্নয়ন, বিশেষ করে জিআইএস, এমআইএস, আইপিআর এবং সমন্বিত খামার ব্যবস্থার উন্নয়নে বিশেষ অবদান রেখেছেন যেসব বিজ্ঞানী, তাদের পুরস্কার দেবে সরকার। চার ক্যটাগরির প্রথম ক্যাটগরির পুরস্কার দুইটি। প্রতিটিতে ১৮ ক্যারেটের ২০ গ্রাম ওজনের স্বর্ণপদক, সনদ এবং নগদ ৫০ হাজার টাকা। দ্বিতীয় পুরস্কার দুইটি। প্রতিটিতে ২০ গ্রাম ওজনের রৌপ্যপদক, সনদ এবং নগদ ৪০ হাজার টাকা। তৃতীয় পুরস্কার দুইটি। প্রতিটিতে সনদ, ব্রোঞ্জপদক এবং নগদ ৩০ হাজার টাকা। চতুর্থ পুরস্কার একটি। বিশেষ সম্মাননা হিসেবে সনদ এবং নগদ ২০ হাজার টাকা প্রদান করা হবে। একুশে সংবাদ ডটকম/আর/২২-০৭-০১৪:

বিভাগের আরো খবর

You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MySQL server version for the right syntax to use near 'ORDER BY bn_content.ContentID DESC LIMIT 8' at line 1