সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

দোযখ থেকে মুক্তির তৃতীয় ১০ দিন শুরু

প্রকাশিত: ১০:৫৯ এএম, জুলাই ২০, ২০১৪
একুশে সংবাদ : অধ্যাপক মনিরুল ইসলাম রফিক: মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স) ইরশাদ করেছেন, রমজান মাসের প্রথম দশ দিন রহমত, দ্বিতীয় দশ দিন মাগফিরাতের এবং তৃতীয় দশ দিন ইতকুন মিনান নার অর্থাৎ ‘দোযখ থেকে মুক্তির।’ - (মিশকাত)। আল্লাহর রহমতে আমরা প্রথম দুটি ধাপ অতিক্রম করে ফেলেছি। এখন তৃতীয় ধাপের সূচনায়। এ ধাপ দোযখ থেকে মুক্তিপ্রাপ্তির সুসংবাদবাহী। আমাদের মধ্যে যারা হেলায় ও খেলায় প্রথম দশ দিন কাটিয়েছে দ্বিতীয় দশ দিনও সিয়াম সাধনায় পূর্ণমাত্রায় মনোনিবেশ করতে পারিনি তাদের জন্য এ দশ দিন খুবই মূল্যবান। কারণ, মানুষের জীবন ক্ষণস্থায়ী এবং অনিশ্চিত। বছর ঘুরে এ মাস আমরা আবার পাব, এ নিশ্চয়তা কেউ দিতে পারে না। তাই এ দশ দিনে ইবাদত বন্দেগী রিয়াজত সাধনার যে ত্বরিকা ও ফযিলত রয়েছে তা শ্রমের মাধ্যমে অর্জন করা দরকার। তাদের জন্যও মাহে রমজানের সমাপনী দশ দিন সৌভাগ্যের, যাঁরা রহমত ও মাগফিরাতের ধাপ দুটি পূর্ণ মর্যাদা ও গাম্ভীর্যের সঙ্গে অতিবাহিত করে এসেছেন। একবার হুজুর (স) মসজিদে দাঁড়িয়ে সাহাবাদের উদ্দেশ করে বললেন, তোমরা মিম্বরের নিকট এসো। অত পর তিনি প্রথম সিড়িতে পা রেখে বললেন ‘আমিন’। এভাবে দ্বিতীয়, তৃতীয় সিঁড়িতে পা রেখেও ‘আমিন’ বললেন। ভাষণ শেষে এর কারণ জিজ্ঞেস করা হলে নূর নবী হযরত (স) ইরশাদ করলেন, এইমাত্র জিব্রাইল (আ) এসেছিলেন। আমি যখন প্রথম সিঁড়িতে পা রাখি তখন জিব্রাইল (আ) বললেন, ওই ব্যক্তির ওপর অভিশাপ, যে রমজান মাস পেয়েও নিজের গুনাহ মাফ করে নিতে পারেনি। আমি বললাম ‘আমিন’ অর্থাৎ তাই হোক। দ্বিতীয় সিঁড়িতে পা রাখতেই জিব্রাইল (আ) বললেন- অভিশাপ ওই ব্যক্তির ওপর যার সামনে আপনার নাম উচ্চারিত হওয়া সত্ত্বেও সে দরুদ পড়েনি। আমি বললাম ‘আমিন’। তারপর তৃতীয় সিঁড়িতে পা রাখতেই জিব্রাইল (আ) বললেন, অভিশাপ ওই ব্যক্তির ওপর যার সামনে মাতাপিতা উভয় অথবা দু’জনের একজন বার্ধক্যে পৌঁছেছেন, কিন্তু সে তার সেবা করে নিজেকে বেহেস্তের যোগ্য করতে পারেনি। উত্তরে আমি বললাম ’আমিন’ অর্থাৎ - তাই যেন হয়...। উল্লেখ্য, জিব্রাইলের (আ) বদদোয়াই কারও প্রতি আল্লাহর লানত পরার জন্য যথেষ্ট। যেখানে আবার মহানবীর (স) ‘আমিন, আমিন ’ সম্মতিযুক্ত হয়, তার পরিণতি যে কি হতে পারে তা সহজেই অনুমেয়। সুতরাং চলুন, এই মাসের সদ্ব্যবহার করে আমাদের জীবনকে রাঙ্গিয়ে তুলি। করি সিয়াম সাধনা, কিয়াম সাধনা, তিলাওয়াত তাহলিল আরাধনা। এ মাসে বেশি বেশি করে নবী করীমের (স) পাক চরণে দরুদ ও সালাম প্রেরণ করব এবং পিতামাতার সেবাই আত্মনিয়োগ করব। এ দশ দিন পবিত্র কুরআন নাযিলের। কুরআন শরীফ রক্ষার জন্য বিভিন্ন যুহুদ জিহাদের। এ দশ দিন ই’তিকাফের এবং কুরআন শরীফের তিলাওয়াত ক্রমাগত সমাপ্তি করার। হযরত রাসুলে করীম (স) ইরশাদ করেছেন : ‘আস সিয়ামু ওয়াল কুরআনু ইয়াশফিয়ান...।’ অর্থাৎ রমজানের রোজা এবং কুরআন শরীফ হাশরের ময়দানে আল্লাহর কাছে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির জন্য সুপারিশ করবে। রোজা বলবে, হে আল্লাহ আমি তাকে সারাদিন কামনা, বাসনা ও পানাহার থেকে বিরত রেখেছি। আজ আমি তার জন্য তোমার কাছে সুপারিশ করি। কুরআন বলবে, হে প্রভু এ ব্যক্তিকে আমি রাতে আরামের ঘুম থেকে বিরত রেখেছি, সে আমাকে অধ্যয়ন করেছে। আমি আজ তার জন্য সুপারিশ করি। আল্লাহতায়ালা তখন উভয়ের সুপারিশ কবুল করবেন। এভাবে আত্মসমালোচনার মাধ্যমে সিয়াম সাধনা আমলের নিয়তে কুরআন শরীফ অধ্যয়ন এবং ইখলাসের সঙ্গে গভীর রাতে তাহাজ্জুদ ও রোনাজারির মাধ্যমে সময় অতিবাহিত করতে পারলে আশা করা যায় করুণাময় খোদাতায়ালা আমাদের তাঁর নাযাতপ্রাপ্ত বান্দাদের কাতারে শামিল করবেন। একুশে সংবাদ ডটকম/আর/২০-০৭-০১৪:

বিভাগের আরো খবর

You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MySQL server version for the right syntax to use near 'ORDER BY bn_content.ContentID DESC LIMIT 8' at line 1