সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

ঘাঘট নদীতে বালু উত্তোলন করে প্রকাশ্যে বিক্রি!

প্রকাশিত: ০৬:০১ এএম, জুলাই ২০, ২০১৪
একুশে সংবাদ : রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলা ইউপি চেয়ারম্যানের নির্দেশে অবাধে ঘাঘট নদী থেকে বালু উত্তোলন করে প্রকাশ্যে বিক্রি করা হচ্ছে। এতে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে কয়েক একর আবাদি জমি। ফলে হুমকি মুখে পড়ছে স্কুল, কলেজ, মসজিদ-মাদরাসা, পাঁচ শতাধিক পরিবারে বসতবাড়ি, একটি ব্রিজ ও ঐতিহ্যবাহী পাকুরিয়া শরীফসহ প্রায় কয়েকশ একর আবাদি জমি। উপজেলার বেতগাড়ী ইউনিয়নের মৌলভীপাড়া ও দক্ষিণ বালাপাড়া এলাকায় বৃহস্পতিবার সরেজমিন ঘুরে ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সিটি করপোরশনের ১ নম্বর ওয়ার্ডে বেলবাড়ী এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য ও বালু ব্যবসায়ী মিন্টু মিয়ার নেতৃত্বে স্থানীয় বালু ব্যবসায়ী ইব্রাহীম এবং বাবলু মিয়া প্রায় এক মাস ধরে ঘাঘট নদী থেকে অবৈধভাবে শ্যালোমেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করেছে। নদী থেকে বালু উত্তোলনের ফলে ভাঙনের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। হুমকির মুখে পড়েছে একটি ব্রিজ, কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, ঐতিহ্যবাহী পাকুিরয়া দরবার শরিফসহ প্রায় ৫ শতাধিক পরিবাররে ঘরবাড়ি ও আবাদি জমি। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন নদী কূলবর্তী এলাকার মানুষ। বেতগাড়ি এলাকার কৃষক মতিয়ার রহমান, আমিনুর রহমান ও শফিকুল ইসলাম বলেন, নদী থেকে বালু উত্তোলনের ফলে নদী ভাঙনের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। বালু উত্তোলন বন্ধে ইউপি চেয়ারম্যানকে অবহিত করা হলেও তিনি কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। স্থানীয় বালু ব্যবসায়ী ইব্রাহিম ও বাবুল মিয়া বলেন, বেতগাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান নিমেনেন্দু গোস্বামী মৌখিক অনুমতি নিয়েই নদী থেকে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করা হচ্ছে। বেতগাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান নিমেনেন্দু গোস্বামী তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বালু ব্যবসায়ীদের নদী থেকে বালু উত্তোলন বন্ধের জন্য নির্দেশ দিলেও তারা শোনেনি। বিষয়টি উপজেলা নিবাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা তৌহিদুল ইসলাম বলেন, বালু উত্তোলনের বিষয়টি জানতে পেরেছি। শিগগিরই তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। একুশে সংবাদ ডটকম/আর/২০-০৭-০১৪:

বিভাগের আরো খবর

You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MySQL server version for the right syntax to use near 'ORDER BY bn_content.ContentID DESC LIMIT 8' at line 1