সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

গাইবান্ধায় ব্যতিক্রমধর্মী মানববন্ধন

প্রকাশিত: ০৯:১৬ এএম, এপ্রিল ২৩, ২০১৪
একুশে সংবাদ : বিদ্যুতের অসহনীয় লোডশেডিংয়ের কবল থেকে চলতি ইরি ফসল বাঁচানোর জন্য নিজ ধানক্ষেতে এক ব্যতিক্রমধর্মী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে গাইবান্ধার কৃষক-কৃষাণি ও তাদের পরিবারের সদস্যরা। আজ বুধবার এ কর্মসূচি পালন করে তারা। সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামে সেচের পানির অভাবে ফেটে যাওয়া ধানের জমির ধারে এ মানববন্ধন রচনা করা হয়। বিদ্যুৎ গ্রাহক ও অধিকার আদায় সংগ্রাম পরিষদের আয়োজনে ওই কর্মসূচিতে কৃষক, কৃষাণি ও তাদের পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও বিভিন্ন পেশার শত শত মানুষ অংশ নেন। এসময় বক্তব্য রাখেন জেলা নাগরিক কমিটির নেতা অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম বাবু, প্রভাষক নিলুফার ইয়াসমীন শিল্পী, সাংবাদিক হেদায়েতুল ইসলাম বাবু, কৃষক আজগর আলী, নুরুন্নবী মিয়া, শাহীন মিয়া, আনোয়ারুল ইসলাম, আবুল কাশেম, শাহজামাল ইসলাম মধু, সাজু মিয়া, কৃষাণি মনিরা আক্তার মনি প্রমুখ। বক্তারা বলেন, 'বিদ্যুতের ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের ফলে উঠতি ইরি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। সেচ দিতে না পারায় ধান ক্ষেতের জমি ফেটে চৌচির হয়ে যাচ্ছে। বিদ্যুতের অভাবে আবাদের ক্ষতি হলে আগামীতে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করা বন্ধ করে দেয়া ছাড়া কোন উপায় থাকবে না।' প্রসঙ্গত, বৃষ্টিহীন গাইবান্ধায় এখন প্রচণ্ড খরা। সূর্যের প্রখর তাপে ফসলের ক্ষেত ফেটে চৌচির। খাল-বিল-নদী-নালা শুকিয়ে সেচ সঙ্কট প্রকট আকার ধারণ করেছে। এ সময়ে সীমাহীন বিদ্যুৎ বিভ্রাট এবং ঘন ঘন লোডশেডিং এর কারণে গাইবান্ধার জনজীবনে নেমে এসেছে চরম দুর্ভোগ। অপরদিকে বিদ্যুৎ চালিত গভীর ও অগভীর নলকূপের আওতায় সেচ নির্ভর ইরি জমির ধান ক্ষেত পানির অভাবে ফসল পুড়ে লাল হয়ে গেছে। ফেটে গেছে ফসলের মাঠ। ফলে চলতি বছর বিদ্যুতের আওতায় সেচ নির্ভর এই ইরি ধান উৎপাদন মারাত্মকভাবে হরাস পাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এদিকে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের লেখাপড়াও মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। একুশে সংবাদ ডটকম/এমকেএইচ/২৩-০৪-০১৪:

বিভাগের আরো খবর

You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MySQL server version for the right syntax to use near 'ORDER BY bn_content.ContentID DESC LIMIT 8' at line 1