সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

ছাত্রীর সাথে শিক্ষকের প্রেম তালার খলিলনগর ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত: ০৪:২১ পিএম, এপ্রিল ২২, ২০১৪
তালা (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি : তালার খলিলনগর ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কম্পিউটার শিক্ষক শাহাজান একই বিদ্যালয়ের ছাত্রীর সাথে প্রেমজ সম্পর্ক স্থাপন করেন ও শিশু ছাত্রীর সাথে অনৈতিক কাজ’র পরিকল্পনা করেন। এর আগমুহুর্তে বিষয়টি জানাজানি হলে বিদ্যালয়ের অভিভাবকরা সহ সচেতন এলাকাবাসী বিক্ষোভে ফেটে পড়েন এবং অভিযুক্ত শিক্ষকের শাস্তি দাবী করেন। কিন্তু, সংশি¬ষ্ট শিক্ষকের চাচা শশুর ও বিদ্যালয়’র সভাপতি শহিদুল ইসলাম সহ প্রধান শিক্ষক মো. রেজোয়ান হোসেন পরস্পর যোগসাজসে শিক্ষক শাহাজাহানের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা গ্রহন করেনি। যে কারনে শাহাজাহানের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে এলাকাবাসী শিক্ষা মন্ত্রী, শিক্ষা সচিব, ডিজি অফিস, সাতক্ষীরা জেলা শিক্ষা অফিস ও তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট আবেদন করেন। যার প্রেক্ষিতে সাতক্ষীরা জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কিশোরী মহন সরকার আজ মঙ্গলবার সকালে সরজমিন তদন্ত করার জন্য সংশ্লি¬ষ্ট খলিলনগর ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আসেন। এসময় তিনি প্রায় ৩ ঘন্টা ধরে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক, ছাত্র/ছাত্রী সহ সংশি¬ষ্টদের সাক্ষাতকার নেন এবং তাদের লিখিত বক্তব্য গ্রহন করেন। একই সাথে তিনি শিক্ষক শাহাজাহানের সাথে ছাত্রীর আপত্তিকর কথোপকথন এর মোবাইল রেকর্ড আলামত হিসেবে সংরক্ষন করেন। তদন্ত চলাকালে এলাকার শতাধিক ব্যক্তি বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে শিক্ষক শাহাজাহানের শাস্তি দাবী করেন। অপরদিকে শাহাজাহান, প্রধান শিক্ষক রেজোয়ান হোসেন ও বিদ্যালয়ের সভাপতি শহিদুল ইসলামের পক্ষভুক্ত কতিপয় ব্যক্তি প্রেমের ঘটনাটি মিথ্যা ও কৌতুহলমূলক ঘটনা দাবী করেন। এসময় জনৈক এক ব্যক্তি একাধিক লোকজন সাথে নিয়ে এসে নিজেকে সংশ্লি¬ষ্ট ওই ছাত্রীর পিতা দাবী করে তদন্তকারী জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার নিকট মৌখিখ ও লিখিত ভাবে বলেন, “আমি মেয়ের (ছাত্রী) পিতা। শিক্ষক শাহাজাহানের বিরুদ্ধে আমি বা আমার পরিবারের কোনও অভিযোগ নেই।” এদিকে শিক্ষক-ছাত্রীর প্রেমের ঘটনা নিয়ে এলাকায় ব্যাপক প্রচার হলেও ছাত্রীটি কে তা নিয়ে অনেকেই অন্ধকারে ছিলেন। কিন্তু, ছাত্রীর পিতা প্রকাশ্যে স্বাক্ষ দেয়ায় একদিকে ছাত্রীর নাম পরিচয় জানাজানি হলো অপরদিকে ১ কন্যা সন্তানের জনক শিক্ষক শাহাজাহানের প্রেমের কাহিনীর সবটায় জনসম্মুখে ফাঁস হয়ে গেল বলে দাবী করেছেন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব জামাল হোসেন ও বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য গোলদার মিজানুর রহমান। তাঁরা চরম অনৈতিক কর্মকান্ড’র জন্য শিক্ষক শাহাজাহানের শাস্তি দাবী করেছেন। একই সঙ্গে তাঁরা জানিয়েছেন, আজকের এই তদন্ত’র উপর তাদের আস্থা নেই। কারন ইতোমধ্যে শাহাজান ও তাঁর দোসররা টাকা নিয়ে প্রশাসন সহ সংশি¬ষ্টদের ম্যানেজ করে তদন্ত’র রায় পক্ষে নিতে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। যেকারনে এলাকাবাসী সহ অভিযোগকারীরা উর্দ্ধতন কর্তপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে। অপরদিকে, এব্যাপারে আগামী ৪ মে শিক্ষক শাহাজাহানের সাথে ছাত্রীর প্রেমের ঘটনার তদন্ত করতে ঢাকা থেকে শিক্ষামন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসেবে একজন সহকারী সচিব ও খুলনা থেকে ডিজির একজন প্রতিনিধি সংশি¬ষ্ট স্কুলে আসবেন বলে জানাগেছে। তদন্ত’র এসব ঘটনায় জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজোয়ান হোসেন বলেন, যেহেতু জেলা ও উপজেলা শিক্ষা অফিসার আজ তদন্ত করে গেলেও সেহেতু এব্যাপারে আমি কোনও মন্তব্য করবো না। অপরদিকে তদন্তকারী মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কিশোরী মহন সরকার বলেন, আজ প্রাথমিক তদন্ত হয়েছে। সংশি¬ষ্ট সকলের লিখিত ও মৌখিক বক্তব্য সহ একটি অডিও রেকর্ড আলামত হিসেবে আনা হয়েছে। এগুলো পরীক্ষা করে এবং আবারও তদন্ত করে পরবর্তীতে যথাযথ ব্যাবস্থা নেয়া হবে।

বিভাগের আরো খবর

You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MySQL server version for the right syntax to use near 'ORDER BY bn_content.ContentID DESC LIMIT 8' at line 1