সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

ব্যাংক আমানতে জোয়ার, ঋণে ভাটা

প্রকাশিত: ০৫:৫৯ এএম, এপ্রিল ২০, ২০১৪
hhhhhhhhhhhhhএকুশে সংবাদ : রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে গত বছর থেকে কমতে থাকা বেসরকারি খাতে বিনিয়োগে এখনও মন্দা ভাব কাটছে না। নতুন সরকার গঠনের তিন মাস পার হলেও এখনও আস্থা ফিরে পাচ্ছে না উদ্যোক্তারা। যার কারণে ব্যাংকে আমানত বাড়লেও সেই তুলনায় বাড়ছে না ঋণ প্রবৃদ্ধি। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, দীর্ঘ রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, অবকাঠামো উন্নয়ন ও ঋণে উচ্চ সুদ হার না কমাতে পারলে বিনিয়োগ বাড়বে না। আর এজন্য বেসরকারি খাতে বিনিয়োগের পরিবেশ তৈরি করে দিতে হবে সরকারকেই। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের ৮ মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) ব্যাংকগুলো আমানত সংগ্রহ করেছে ৫১ হাজার ৩৫৫ কোটি টাকা। এ সময় ঋণ বিতরণ হয়েছে মাত্র ১৪ হাজার ২১৬ কোটি টাকা। যার কারণে ব্যাংকের ঋণ আমানত অনুপাত নেমে এসেছে ৭০ দশমিক ৩৫ শতাংশে। অর্থবছরের শুরুতে যা প্রায় ৭৪ ছিল। বাংলাদেশ ব্যাংকের এ বিষয়ক ২০ ফেব্রুয়ারির সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ব্যাংক খাতের মোট ঋণ দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৬০ হাজার ১৭৭ হাজার কোটি টাকা। এ সময়ে আমানত রয়েছে ৬ লাখ ২৮ হাজার ৪৮৯ কোটি টাকা। আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় আমানত প্রবৃদ্ধির হার ১৬ দশমিক ৪৮ শতাংশ হলেও ঋণ প্রবৃদ্ধি অর্ধেকের নিচে। এ সময় ঋণ বেড়েছে মাত্র ৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ। অথচ চলতি অর্থবছরের শুরুতে আমানত ছিল ৫ লাখ ৭৭ হাজার ১৩৪ কোটি টাকা। আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় যা ছিল ১৬ দশমিক ৩৫ শতাংশ বেশি। আর ঋণ ছিল ৪ লাখ ৪৫ হাজার ৯৬১ কোটি টাকা। একই সময়ের তুলনায় যা বেশি ছিল ৮ দশমিক ৯৭ শতাংশ। প্রচলিত ধারার ব্যাংকগুলো মোট আমানতের ৮৫ শতাংশ এবং ইসলামী ব্যাংকগুলো ৯০ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ দিতে পারে। তবে বর্তমানে চাহিদা না থাকায় বেশিরভাগ ব্যাংকের ঋণ কেন্দ্রীয় ব্যাংক নির্ধারিত সীমার অনেক নিচে রয়েছে। সব মিলিয়ে ব্যাংক খাতে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অতিরিক্ত তারল্য রয়েছে ৯৪ হাজার ৯৯ কোটি টাকা। অবশ্য এই অর্থের পুরোটাই অলস নয়। কেননা অতিরিক্ত তারল্যের বড় একটি অংশ সরকারি বিল ও বন্ডে বিনিয়োগ রয়েছে। তবে সরকারি বিল ও বন্ড সেকেন্ডারি বাজারে বিক্রি করে অর্থ তোলার সুযোগ থাকায় এসএলআরের জন্য প্রয়োজনের অতিরিক্ত বিল ও বন্ডকেও অতিরিক্ত তারল্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দীন আহমেদ প্রাইমনিউজ.কম.বিডিকে বলেন, ‘রাজনৈতিক অস্থিরতায় গত কয়েক বছর বিনিয়োগ অনেক কমে গেছে। দেশে বর্তমানে স্থিতিশীল পরিবেশ বিরাজ করলেও অনিশ্চয়তা এখনও কাটেনি। গত বছর হরতাল ও অবরোধ ও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে ব্যবসা-বাণিজ্য ভালোভাবে পরিচালনা করতে পারেনি ব্যবসায়ীরা। এ কারণে  ব্যবসায়ীরা এখন ঋণ নিতে সাহস পাচ্ছেন না। তাই ঋণের চাহিদা না বাড়ায় ব্যাংকের ঋণ বিতরণ বাড়েনি।’ তাছাড়া দেশের অবকাঠামো সুবিধার অভা্ব, ব্যাংক ঋণের উচ্চসুদের কারণে বিনিয়োগকারীরা নিরুৎসাহিত হচ্ছেন। এসব কারণে ব্যাংকে আমানত বাড়লেও সেই অনুসারে ঋণ প্রবৃদ্ধি বাড়েনি বলেও জানান তিনি। সাবেক এই গভর্নর বলেন, ‘ব্যাংকের বিনিয়োগ কমে যাওয়া মানেই হচ্ছে ব্যাংকের আয় কমে যাওয়া। আর ব্যাংকের আয় কমে যাওয়া মানে হচ্ছে অর্থনীতি খুব খারাপ জায়গায় চলে যাচ্ছে। ঋণ প্রবৃদ্ধি কমার ফলে কর্মসংস্থানও কমে যাচ্ছে। যেখান থেকে আমরা খুব শিগগিরই বেরুতে পারব কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। এজন্য বেসরকারি খাতের বিনিয়োগের পরিবেশ তৈরিতে সরকারকেই এগিয়ে আসতে হবে।’ একুশে সংবাদ ডটকম/এমপি/২০-০৪-১৪

বিভাগের আরো খবর

You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MySQL server version for the right syntax to use near 'ORDER BY bn_content.ContentID DESC LIMIT 8' at line 1