সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

ইকো রিসোর্ট ছুটি

প্রকাশিত: ০৬:২৯ এএম, এপ্রিল ১৮, ২০১৪
80020140320122152একুশে সংবাদ : নির্দয় ঘড়ির কর্কশ অ্যালার্মে মলিন সকাল, অদৃশ্য শিকলে বাঁধা করপোরেট লাইফ, প্রিয় সন্তানের স্কুলের বিরক্তিকর রুটিন, সপ্তাহান্তে প্রয়োজনীয় কেনাকাটা- এই একঘেয়ে জীবন থেকে হারিয়ে যেতে চায় মন দূরে কোথাও। সময়টা এখন বনভোজনের। নিয়মমাফিক জীবনচক্র থেকে সবাই মিলে ঢাকার আশপাশে এক দিনের জন্য বেড়িয়ে এলে মন্দ হয় না। কোথায় যাবেন ভাবছেন? ঢাকার অদূরে গাজীপুরে সুকুন্দি গ্রামে চলে যান। কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ছুটি’ কবিতার নাম অনুসারে নির্ভেজাল ছুটির আমেজ দেওয়ার জন্য এখানে তৈরি করা হয়েছে একটি ইকো রিসোর্ট ছুটি। পরিপূর্ণ  ইকো লাইফস্টাইল। দেড় থেকে দুঘণ্টা পথ পাড়ি দিতে হবে আপনাকে। ৫০ বিঘা আয়তনের ছুটি রিসোর্টের তিন পাশে রয়েছে সুন্দর লেক। ভাওয়াল বনের সবুজ দ্বীপ। আছে নৌভ্রমণের সুব্যবস্থা, গাড়ি রাখার সুব্যবস্থা, বিরল প্রজাতির সংরক্ষিত বৃক্ষের বনে রয়েছে টানানো তাঁবু। ছনের ঘর, রেগুলার কটেজ, বার্ড হাউস, মাছ ধরার সুব্যবস্থা, হার্বাল গার্ডেন, বিষমুক্ত ফসল, দেশীয় ফল, সবজি, ফুলের বাগান, বিশাল দুটি খেলার মাঠ, আধুনিক রেস্টুরেন্ট, দুটি পিকনিক স্পট, গ্রামীণ পিঠা ঘর, ছোট বাচ্চাদের জন্য কিডস জোনসহ সারা দিন পাখির কলরব, সন্ধ্যায় শিয়ালের হাঁক, বিরল প্রজাতির বাদুড়, জোনাকি পোকার মিছিল ও আতশবাজি, ঝিঁঝি পোকার হৈচৈ। আর ভরা পূর্ণিমা হলে তো কথাই নেই। রিসোর্টের নিয়ম অনুসারে চাঁদনী রাতে বিদ্যুতের আলো জ্বালানো হয় না। কথিত আছে, ভরা পূর্ণিমা এবং রিমঝিম বর্ষা উপভোগ করার জন্য এই ছুটিই হচ্ছে অন্যতম রিসোর্ট। এত কিছুর মাঝে হয়তো আপনি খাবার-দাবারের কথা ভুলে গেছেন! অতিথিদের জন্য এখানে সকালে পরিবেশন করা হয় চালের নরম রুটি অথবা চিতই পিঠা, সঙ্গে দেশী মুরগির তরকারি, সবজি ও ডাল ভুনা। গরম গরম চা অথবা কফি। কখনো কি জাল অথবা বড়শি দিয়ে মাছ ধরার আনন্দ উপভোগ করেছেন? আপনি চাইলে পরিবারের সবাইকে নিয়ে মাছ ধরতে পারেন অথবা স্থানীয় জেলেদের পাশে নৌকায় বসে মাছ ধরা দেখতে পারেন। কোন টাটকা মাছটি ধরে খাবেন, সেটা ঠিক করতে হবে আপনাকেই। তবে এখানে পাখি, প্রজাপতি ও কীটপতঙ্গ মারা সম্পূর্ণ নিষেধ। লেক থেকে ধরা তাজা মাছ অতিথিদের সামনেই মাটির চুলায় রান্না বা ফ্রাই করে পরিবেশন করা হয়। রিসোর্টে চাষ করা সবজির দুলমা, ভাজি-ভর্তাসহ হরেক রকমের আয়োজন। সন্ধ্যার আলো-আঁধারিতে পুকুরপাড়ে লোকজ গানের আসর। বাশের বাঁশিতে ভাওয়াইয়ার সুর। লোকজ গল্পের আসর। লাল চালের মুড়ি। সবজির পাকুড়া। সঙ্গে গরম গরম চা অথবা কফি। যত কাপ চাই। আর এত সব মজার পর যদি চলে আসতে না চান তাহলে থাকার সুব্যবস্থা আছে। থাকতে পারেন কোনো এক কটেজে। এখানে দুই ধরনের থাকার ব্যবস্থা আছে। পরিপূর্ণ গ্রামীণ আমেজের প্রাণময় লোকজ বসবাস অথবা ইট কাঠ বালুর কটেজ। আর আপনাকে নগরের বন্দী জীবন থেকে একটু নির্মল আনন্দ দিতে সাদর অভ্যর্থনা জানানোর জন্য প্রস্তুত ‘ছুটি রিসোর্ট’। মন চাইলে আপনার প্রিয়জনকে নিয়ে কালই ঘুরে আসতে পারেন। তবে এ জন্য আপনাকে অগ্রিম বুকিং করতে হবে। ডে লং ছুটি উপভোগ করার জন্য প্রতিজনের জন্য ২ হাজার টাকা।

বিভাগের আরো খবর

You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MySQL server version for the right syntax to use near 'ORDER BY bn_content.ContentID DESC LIMIT 8' at line 1