সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

থামছে না সোনা পাচার

প্রকাশিত: ০৫:০৬ এএম, এপ্রিল ১৮, ২০১৪
একুশে সংবাদ : শাহ আমানত ও শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মধ্যপ্রাচ্য থেকে আসা বিভিন্ন এয়ারলাইনসের ফ্লাইট থেকে সোনার বার আটক করা হলেও মূল হোতারা ধরাছোঁয়ার বাইরে। বহনকারীরাও ছাড়া পাওয়ায় থামছে না সোনা পাচার। আকাশপথে সোনা পাচার বাড়ার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে এমন মন্তব্যই করেন চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক উইং কমান্ডার নুর-ই আলম। তিনি বলেন, সোনার বার যারা আটক করছে তাদের কেউই যে সোনা পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত নয়, তা কিন্তু বলা যাচ্ছে না। জড়িত না থাকলে এত সোনা ধরা পড়ার পরও সোনা পাচার থামছে না কেন? তিনি বলেন, সোনার বার যে পরিমাণে ধরা পড়ছে এর চেয়ে বেশি  হয়ত পাচার হয়ে যাচ্ছে। অন্যথায় এত সোনার বার ধরা পড়ার পর লোকসানে পড়েও তো সোনা পাচার বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথা। সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গত ২০১২-১৩ ও ২০১৪ সালের এই পর্যন্ত প্রায় ২৫০ কোটি টাকা মূল্যের ৫২০ কেজি সোনার বার ধরা পড়েছে। সর্বশেষ গত সোমবার সাড়ে ৬ কেজি ওজনের ৫৩টি এবং গত বুধবার প্রায় দুই কেজি ওজনের ১৬টি বার ধরা পড়ে। একইভাবে ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকেও ধরা পড়েছে প্রায় সমপরিমাণ মূল্যের সোনার বার। মধ্যপ্রাচ্যের দুবাই ও মাস্কাট থেকে আসা বিভিন্ন এয়ারলাইনসের কোনো না কোনো ফ্লাইটে প্রতিদিন সোনার বার ধরা পড়ছেই। সোনা পাচারের ধরন বিশ্লেষণ করে নুর-ই আলম বলেন, শুল্ক ও গোয়েন্দা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বিমান থেকে সোনার বার আটক করলেও বহনকারীদের ছেড়ে দিত। সম্প্রতি কয়েকজনকে আটক করা হলেও আইনি ফাঁক-ফোকরের কারণে আদালত থেকেও তারা ছাড়াও পেয়ে গেছে। ফলে সোনার বার বহন করা তেমন ঝুঁকিপূর্ণ মনে করছে না বহনকারীরা। অন্যদিকে যে পরিমাণ ধরা পড়ছে এর চেয়ে বেশি পাচার হয়ে যাচ্ছে। সে কারণে থামছে না সোনা পাচার। তিনি বলেন, পূর্ব ঘোষণা ছাড়া এবং বৈধ কাগজপত্র দেখাতে না পারার কারণে সোনার বার অবৈধ হিসেবে চিহ্নিত করে যেমন আটক করা হচ্ছে, তেমনি অবৈধ পণ্য হিসেবে এর বহনকারীকেও আটক করে যথাযথ আইনের আওতায় আনা দরকার। কিন্তু তা না করাও তো রহস্যজনক। ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, শুল্ক ও গোয়েন্দা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বহনকারীদের হাতের কাছে পেয়ে ছেড়ে দিয়ে উদ্ধার করা সোনার বার পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়ার ঘোষণা দেয়। তাহলে বিমানে কী পরিমাণ পরিত্যক্ত অর্থাৎ নাম-ঠিকানাবিহীন যাত্রী ও মালামাল পরিবহন করার সুযোগ আছে? এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে কর্মরত নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (ইমিগ্রেশন) মিজানুর রহমান বলেন, সোনার বার বহনকারী যাত্রীদের আটক করা না হলেও ক্ষতি নেই। সোনার বারগুলো তো আটক করা হচ্ছে। তিনি বলেন, পাচারের জন্যই কী সোনার বারগুলো বহন করা হচ্ছে? এ বিষয়টি  অজানা রয়েছে। কিন্তু যারা বহন করছে তারা চুনোপুঁটি। এর সঙ্গে জড়িত রয়েছে আন্তর্জাতিক চোরাচালান চক্র। যারা ধরাছোঁয়ার বাইরে। সোনার বার আটকের কারণে আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে তাদের। লাভবান হচ্ছে দেশ। মিজানুর রহমান জানান, সোনার বার আটকের ফলে বাংলাদেশ ব্যাংক আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে কেনা ১০ টনসহ গত এক বছরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সোনার রিজার্ভ এখন প্রায় ১৫ হাজার কেজি ছাড়িয়ে গেছে। বিমানবন্দরের শুল্ক ও গোয়েন্দা অধিদপ্তরের সহকারী কমিশনার পারভেজ আল জামান ঢাকাটাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, চট্টগ্রাম শাহ আমানত ও ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ধরা পড়া সোনার চালান দেশের নয়, বিদেশের। বিশেষ করে শুল্ক বৃদ্ধির ফলে ভারতে সোনা আমদানির পরিমাণ কমে গিয়ে চোরাইপথে পাচার বেড়েছে। অন্যদিকে দেশে খাদ মিশিয়ে গহনা তৈরির জন্য উন্নতমানের সোনার বার মধ্যপ্রাচ্যের দুবাই এবং ওমান থেকে চোরাইপথে নিয়ে আসছে। তিনি আরও বলেন, সোনার চাহিদার তালিকায় শীর্ষে রয়েছে ভারত। সে দেশের আমদানিকারকদের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে বাংলাদেশের চোরাকারবারিদের। তাদের একটি চক্র রয়েছে। চক্রের মূল হোতারা সিঙ্গাপুর, দুবাই, পাকিস্তান ও ভারতে বসে নিয়ন্ত্রণ করছে চোরাচালান। চক্রটি সোনা পাচারে রুট হিসেবে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিমানবন্দরকে ব্যবহার করছে মাত্র। একুশে সংবাদ ডটকম/আর/১৮/০৪/১৪

বিভাগের আরো খবর

You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MySQL server version for the right syntax to use near 'ORDER BY bn_content.ContentID DESC LIMIT 8' at line 1