সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

মরণঘাতী করোনা ঝুঁকি নিয়ে মাঠে লড়ছে লক্ষ্মীপুরের পুলিশ

প্রকাশিত: ০৫:১১ পিএম, আগস্ট ১১, ২০২০
একুশে সংবাদ: মরণঘাতী করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জেলার উপজেলাসহ প্রতিটি ইউনিয়ন ও পৌরসভা চষে বেড়াচ্ছেন লক্ষ্মীপুরের পুলিশ সুপার ড. এএইচএম কামরুজ্জামান (পিপিএম)। জেলার প্রায় ১৮ লাখ মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ, সেনাবাহিনী, জনপ্রতিনিধি, স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে সমন্বয় রেখে জনগণকে মহামারী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে সার্বিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন এই কর্মকর্তা। সেই সঙ্গে প্রতিপালন করছেন সরকারের যাবতীয় দিকনির্দেশনা। কাজের ধারাবাহিকতায় পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত জেলার প্রতিটি উপজেলার প্রধান প্রধান হাটবাজার ও বিভিন্ন দোকানপাট, বিপণিবিতানগুলোতে নিজ হাতে লিফলেট বিতরণ ও মাইকিং করে করোনা সংক্রমণ বিষয়ে মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে। এ ছাড়া কর্মহীন, দিনমজুর, শ্রমিক ও অসহায় মানুষদের দেওয়া হচ্ছে খাদ্য সহায়তা। গত ৮ মার্চ থেকে বাংলাদেশে শুরু হওয়া করোনা ভাইরাসে লক্ষ্মীপুরের বিভিন্ন স্থানে অবিরাম ছুটে চলেছেন পুলিশ সুপার। সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন জেলার পাঁচটি উপজেলার পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে। প্রয়োজনে তিনি নিজে হাজির হয়ে দেখভাল করছেন প্রশাসনিক সব কাজ। জেলার বিভিন্ন প্রান্তে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে কাজ করতে গিয়ে ৭২ জন পুলিশ সদস্য করোনায় আক্রান্ত হন। এর মধ্যে ৬৩ জন সুস্থ হয়েছেন এবং ৯ জন এখনো চিকিৎসাধীন। এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে পুলিশ সুপার জানান, এ বৈশ্বিক মহামারীর সময়ে পুলিশ সদস্যদের রেশনিংয়ের অংশ থেকে নেওয়া খাদ্যসামগ্রী এবং শুভাকাঙ্খীদের সহযোগিতায় জেলার ওয়ার্ড পর্যায়ে কর্মহীন অসহায় মানুষদের মাঝে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়েছে, যা এখনো অব্যাহত রয়েছে। এ ছাড়া মানুষের সামনে যারা সাহায্য চাইতে বিব্রতবোধ করেন, হটলাইনের মাধ্যমে সেসব মানুষকে কয়েক দফা খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। কর্মহীন হোটেল শ্রমিক, হকার, রিকশাভ্যান চালক, বাস শ্রমিক, ক্ষুদ্র চা-দোকানদারদের কয়েক ধাপে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এ ছাড়া দেশে প্রথম লক্ষ্মীপুর জেলা থেকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর দোকানের সামনে সুরক্ষা বৃত্তরেখা এঁকে দেওয়া হয়েছে। এদিকে করোনায় মৃত ব্যক্তিদের রেখে যেখানে স্বজনরা দূরে সরে যাচ্ছিল, ঠিক তখনই জেলা পুলিশের পুলিশ ড. এইচএম কামরুজ্জামান পুলিশ সদস্যদের নিয়ে একটি কুইক রেসপন্স টিম গঠন করেন। তারা করোনায় মৃত ব্যক্তিদের সৎকার, দাফন থেকে শুরু করে ধর্মীয় সব কর্মকান্ড পরিচালনা করেন। পুলিশের তৎপরতার কারণে করোনাকালেও জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অন্য সময়ের মতো স্বাভাবিক ছিল। জেলায় লকডাউনের সময়ে সীমান্তবর্তী এলাকায় ১০টি চেকপোস্ট এবং বিভিন্ন উপজেলার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্নের জন্য ৯টি চেকপোস্টে সার্বক্ষণিক ডিউটি পালন করেন পুলিশের বিভিন্ন টিম। জেলা পুলিশ ও প্রশাসনের নানা কর্মকান্ডে সন্তোষ প্রকাশ করে জেলার বিশিষ্টজনরা বলেছেন, কাজের গতিশীলতা ধরে রাখতে ওয়ার্ড ও গ্রাম পর্যায়ে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ কমিটি গঠন করা দরকার। এর সুষ্ঠ তদারকি করতে পারলে সুফল ভোগ করতে পারবে সবাই। পুলিশ সুপার ড. এইচ এম কামরুজ্জামান বলেন, বঙ্গবন্ধুর ডাকে স্বাধীনতা যুদ্ধে যেমনটা সর্বপ্রথম পুলিশ সদস্যরা ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, ঠিক তেমনিভাবে চলমান মহামারী মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা এই যুদ্ধেও বিজয়ী হব ইনশাআল্লাহ। তবে করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচতে সচেতনতার বিকল্প নেই। সরকারি নির্দেশনা কার্যকরে আমরা মাঠে কাজ করে যাচ্ছি। নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে জনগণকে চলার অনুরোধ করেন তিনি। একুশে সংবাদ/ জহির /১১/০৮/২০২০

বিভাগের আরো খবর

You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MySQL server version for the right syntax to use near 'ORDER BY bn_content.ContentID DESC LIMIT 8' at line 1