সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

করোনা ভ্যাকসিনের চূড়ান্ত পরীক্ষা জন্য চার দেশের সাথে চীনের আলোচনা

প্রকাশিত: ০৫:৩৭ পিএম, জুলাই ১২, ২০২০
একুশে সংবাদ: করোনার ভ্যাকসিন তৈরির দৌড়ে এগিয়ে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অন্যতম চীনা কোম্পানি ক্যানসিনো বায়োলোজিস এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা শনিবার জানিয়েছেন, তাদের তৈরি করোনাভাইরাসের সম্ভাব্য ভ্যাকসিনটির তৃতীয় ধাপের অর্থাৎ চূড়ান্ত পর্যায়ের পরীক্ষা চালানোর জন্য চারটি দেশের সঙ্গে আলোচনা চলছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী দেশ চারটি হলো রাশিয়া, ব্রাজিল, চিলি এবং সৌদি আরব। করোনা সংক্রমণ রোধে চীনের সাফল্যের কারণে বৃহৎ পরিসরে ভ্যাকসিনের ট্রায়াল পরিচালনায় মনযোগ দিতে পারছে দেশটি। ভ্যাকসিনের দৌড়ে এগিয়ে থাকা দশটির বেশি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে চারটিই চীনের। ক্যানসিনোর নির্বাহী পরিচালক এবং সহ-প্রতিষ্ঠাতা কিউ ডংক্সু চীনের পূর্বাঞ্চলীয় শহর সুজহুতে আয়োজিত এক অ্যান্টিভাইরাল ড্রাগ কনফারেন্সে শনিবার বলেন, ‘তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চালানোর জন্য আমরা রাশিয়া, ব্রাজিল, চিলি এবং সৌদি আরবের সঙ্গে যোগাযোগ করছি এবং এটি এখনও আলোচনার পর্যায়ে রয়েছে।’ তিনি জানিয়েছেন খুব শিগগিরই তাদের তৈরি মহামারি করোনাভাইরাসের সম্ভাব্য ভ্যাকসিনটির তৃতীয় থাপের পরীক্ষা শুরু হবে এবং এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য তাদের কোম্পানি ৪০ হাজার জনকে চিহ্নিত করার কাজটিও সম্পন্ন করেছে। ভ্যাকসিনটি কার্যকর হবে বলে আশাবাদী বলেও জানিয়েছেন তিনি। চীনে প্রথমবারের মতো গত মার্চে করোনাভাইরাসের সম্ভাব্য যে ভ্যাকসিনটি মানবদেহে প্রয়োগ করা হয় সেটি ক্যানসিনোর তৈরি এড৫-এনকভ। তবে ট্রায়ালের ক্ষেত্রে দেশটির অন্যান্য যেসব কোম্পানি করোনার ভ্যাকসিন তৈরি করছে তাদের চেয়ে কিছুটা পিছিয়ে পড়ে তারা। ইতোমধ্যে চীনা কোম্পানি সিনোভ্যাক বায়োটেক এবং সিনোফার্মের তৈরি করোনার দুটি সম্ভাব্য ভ্যাকসিন তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা চালানোর অনুমোদন পেয়েছে। এছাড়াও সম্ভাব্য ভ্যাকসিন তৈরির তালিকায় প্রথমদিকে রয়েছে উহান ইনস্টিটিউট অব বায়োলজিক্যাল প্রোডাক্টস এবং বেইজিং ইনস্টিটিউট অব বায়োলজিক্যাল প্রোডাক্টস। ক্যানসিনোর নির্বাহী পরিচালক কিউ বলেছেন, তাদের তৈরি ভ্যাকসিনটির দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষায় ৫০৮ জন মানুষের দেহে প্রয়োগ করে দেখা গেছে, প্রথম ধাপের পরীক্ষার চেয়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি এবং সুরক্ষার দিক থেকে আরও বেশি ইতিবাচক ফল পাওয়া গেছে। তিনি জানিয়েছেন, চীনে তাদের একটি কারখানা তৈরির কাজ চলছে। আগামী বছরের শুরু থেকে প্রতি বছর এর মাধ্যমে ১০০ থেকে ২০০ মিলিয়ন ভ্যাকসিন ডোজ উৎপাদন করা সম্ভব। চীনা সামরিক বাহিনীর গবেষণা দল এই ভ্যাকসিন তৈরির সঙ্গে যুক্ত। গত মাসে সামরিক বাহিনীতে এই ভ্যাকসিন ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হয়। একুশে সংবাদ/তাশা/গো/১২/০৭/২০২০

বিভাগের আরো খবর

You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MySQL server version for the right syntax to use near 'ORDER BY bn_content.ContentID DESC LIMIT 8' at line 1