সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

ডিএনসিসির তৃতীয় দিনের চিরুনি অভিযানে ৮৫ স্থাপনায় মিলল এডিসের লার্ভা , জরিমানা সোয়া দুই লাখ

প্রকাশিত: ০৫:২১ পিএম, জুলাই ৬, ২০২০
একুশে সংবাদ: এডিস মশা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে নগরবাসীকে ডেঙ্গু থেকে সুরক্ষা দিতে দ্বিতীয় দফা পরিচ্ছন্নতা অভিযান (চিরুনি অভিযান) পরিচালনা করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। সোমবার অভিযানের তৃতীয় দিনে মোট ১৩ হাজার ৬৮৮টি বাড়ি, স্থাপনা, নির্মাণাধীন ভবন পরিদর্শন করে ৮৫টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া সাত হাজার ৯০৯টি বাড়ি-স্থাপনায় এডিস মশা বংশবিস্তার উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এ সময়ে ১৮টি মামলায় মোট দুই লাখ ২২ হাজার ৮০০ টাকা জরিমানা করা হয়। অন্যান্য বাড়ি ও স্থাপনার মালিককে সতর্ক করা হয়েছে। উত্তরা অঞ্চল-১ এর অধীনে মোট এক হাজার ৩০১টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ১৪টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া এক হাজার ৪৫টি বাড়ি-স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। মিরপুর অঞ্চল-২ এর দুই হাজার ৯৪৫টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে পাঁচটিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায় এবং ৪৩৩টি বাড়ি-স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এখানে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে তিনটি মামলায় মোট ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। মহাখালী অঞ্চল-৩ এর অধীনে মোট এক হাজার ৬৯৯টি বাড়ি-স্থাপনা পরিদর্শন করে ৩৪টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায় এবং এক হাজার ১১৫টি বাড়ি-স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। ২০ নম্বর ওয়ার্ডের মহাখালী এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে চারটি প্রতিষ্ঠান ও বাড়িকে মোট এক লাখ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। মিরপুর-১০ অঞ্চল-৪ এর এক হাজার ৪৯৮টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে তিনটিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে বাড়ির মালিকদের সতর্ক করে লার্ভা ধ্বংস করা হয়। এছাড়া ৮২৫টি বাড়ি-স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। দুটি মামলায় মোট ১৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। কারওয়ান বাজার অঞ্চল-৫ এর অধীনে মোট দুই হাজার ৩৩৯টি বাড়ি-স্থাপনা পরিদর্শন করে ১০টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া এক হাজার ৫১১টি বাড়ি-স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। হরিরামপুর অঞ্চল-৬ এর এক হাজার ৭২৫টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে সাতটিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া এক হাজার ৩৩৬টি বাড়ি-স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। দক্ষিণখান অঞ্চল-৭ এর অধীনে মোট ২০২টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে একটিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে বাড়ির মালিকদের সতর্ক করে লার্ভা ধ্বংস করা হয়। এছাড়া ১৫১টি বাড়ি-স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। উত্তরখান অঞ্চল-৮ এর অধীনে মোট ৭১৮টি বাড়ি-স্থাপনা পরিদর্শন করে চারটি স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায় এবং ৫২১টি বাড়ি-স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এ সময়ে আটটি মামলায় মোট পাঁচ হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। ভাটারা অঞ্চল-৯ এর অধীনে মোট ৪৮৪টি বাড়ি-স্থাপনা পরিদর্শন করে চারটিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। বাড়ির মালিকদের সতর্ক করে লার্ভা ধ্বংস করা হয়েছে। এছাড়া সেখানে ৩৭৯টি বাড়ি-স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এ সময়ে একটি মামলায় আড়াই হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। সাঁতারকুল অঞ্চল-১০ এর অধীনে মোট ৭৭৭টি বাড়ি-স্থাপনা পরিদর্শন করে তিনটিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে বাড়ির মালিকদের সতর্ক করে লার্ভা ধ্বংস করা হয়। এছাড়া ৫৯৩টি বাড়ি-স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। প্রসঙ্গত, গত ৪ জুলাই থেকে শুরু হওয়া দ্বিতীয় ধাপের এই অভিযানে এখন পর্যন্ত ৩৯ হাজার ৬০৬টি বাড়ি-স্থাপনা পরিদর্শন করে ২৭৫টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায় এবং ২৪ হাজার ৪৬৭টিতে এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এই তিনদিনে মোট ছয় লাখ ৭৫ হাজার ৭০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একুশে সংবাদ/তাশা/গো/০৬/০৭/২০২০

বিভাগের আরো খবর

You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MySQL server version for the right syntax to use near 'ORDER BY bn_content.ContentID DESC LIMIT 8' at line 1