সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

পঞ্চগড়ে লিচু বাগান মুকুলে ভরে গেছে

প্রকাশিত: ০২:১৭ পিএম, মার্চ ৮, ২০২০

পঞ্চগড় জেলায় চলতি মৌসুমে লিচু বাগান মুকুলে ভরে গেছে। লিচু গাছের মুকুলের ঘ্রাণে মৌমাছি গুঞ্জনে মেতে উঠেছে। গাছে এত মুকুল দেখে বাগান মালিকরা খুশি। তারা আশা করছে লিচুর বাম্পার ফলন হবে।

এখন পর্যন্ত প্রাকৃতি অনুকূলে রয়েছে। সামনের দিনগুলোতে যদি প্রকৃতি সহায় থাকে তাহলে লিচুর বাম্পার ফলনের পাশাপশি ভালো মুনাফা করতে পারবেন এর সাথে সংশ্লিষ্টরা। লিচু রসালো ও পুষ্ঠিকর ফল ।

সব বয়সের মানুষের কাছেই ফলটি খুবই প্রিয়। লিচু বাগান মালিক আক্তার মাস্টার জানান, তার ৬ বিঘা জমিতে রয়েছে লিচু বাগান।

গাছ রয়েছে ২০০টি। গত বছর সব গাছে লিচু ধরেনি, তাতেও দেড় লাক্ষ টাকার লিচু বিক্রি করেছে। এবারে তার সব গাছে ধরেছে মুকুল, লিচু বিক্রি করা পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে তিনি এবার ৩/৪ লক্ষ টাকার লিচু বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন।

একই ধরনের প্রত্যাশার কথা ব্যক্ত করেছেন অপর লিচু বাগান মালিক আব্দুল মালেক। তারও রয়েছে ১২ বিঘা জমিতে লিচু ও আম বাগান।
জেলা কৃষি বিভাগের জরিপসূত্রে জানা যায়, পঞ্চগড়ে দুই হাজার হেক্টর জমিতে লিচুর বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদ হচ্ছে। লিচু গাছের সংখ্যা দুই লক্ষ। এর মধ্যে দেড় লক্ষ লিচু গাছের বয়স ১৫ বছরের বেশি।

এছাড়াও জেলার ৪৩টি ইউনিয়নের গ্রামাঞ্চলের বসতবাড়ি এবং আশপাশে রয়েছে বিপুল সংখ্যক লিচু গাছ। লিচু চাষ লাভজনক হওয়ায় প্রতিবছরই পঞ্চগড়ে বাগানের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। হেক্টর প্রতি লিচুর ফলন ৫২৫ টন ধরা হয়েছে। জেলায় ৫ জাতের লিচু চাষ হচ্ছে। এর মধ্যে দেশী জাত, চায়না ২,৩,৪ এবং বোম্বে । চায়না ২,৩,৪ বাজারে চাহিদা ভালো থাকে। গত বছর চায়না ৩ জাতের লিচুর শ,ছিল ৪শ থেকে ৫শ টাকা।জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক সামছুল হক জানান, এ মহুর্ত্তে কৃষকদের লিচু বাগানে সুষম সার প্রয়োগের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে, পাশাপশি কৃষি বিভাগ প্রযুক্তিগত সহযোগিতাও দিচ্ছে।

এস.ব/স // ০৮.০৩.২০২০

বিভাগের আরো খবর

You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MySQL server version for the right syntax to use near 'ORDER BY bn_content.ContentID DESC LIMIT 8' at line 1