সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

শ্রীপুরে মাদরাসা শিক্ষকের বেত্রাঘাতে ছাত্র হাসপাতালে

প্রকাশিত: ০৪:৩৩ পিএম, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২০

গাজীপুরঃ গাজীপুরের শ্রীপুরে মাদ্রাসা শিক্ষকের বেত্রাঘাতে গুরুতর আহত মো. সাহাদাত হোসেন (১১) নামে এক শিশু ছাত্রকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

শিশুটির পিঠসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে জখমের চিহ্ন রয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম জহিরুল ইসলাম। রোববার (১৬ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের শিমুলতলা গ্রামে হুসাইনিয়া নূরানী হাফিজিয়া মাদ্রাসায় এঘটনা ঘটে। স্বজনরা ওই ছাত্রকে উদ্ধার করে শ্রীপুর উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করেছে। সাহাদাত পাগলা থানার পাইথল ইউনিয়ন গোয়ালবর গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে, সে উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের শিমুলতলা গ্রামে হুসাইনিয়া নূরানী হাফিজিয়া মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র।

আহত ছাত্রের মা সাহেরা খাতুন জানান,আমার স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে আমার বাবার বাড়িতে থেকে চাকরি করে সংসার চালাই। সাহাদাত হোসেন মাদরাসার আবাসিকে থেকে পড়ালেখা করছে। গত কয়েকমাস ধরে সে অসুস্থ রয়েছে। তবুও সে পড়ালেখার জন্য মাদ্রসায় অবস্থান করছিল। বাড়িতে যেতে বললেও যায়নি। এক রহস্যজনক কারনে আমার ছেলেকে মধ্যযুগীয় কায়দায় বেদম মারধর করেন মাদ্রাসার হুজুর হাফেজ জহিরুল ইসলাম। নির্যাতনের কারনে অসুস্থ হয়ে পড়ছে। অবিলম্বে এই অমানবিক নিষ্ঠুর শিশু নির্যাতন কারী হুজুর জহিরুল ইসলাম কে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি করছি।

আমার ছেলের পিঠসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে জখম হয়। পরে অন্য শিক্ষকদের কাছ থেকে খবর পেয়ে মাদরাসা থেকে মাছুমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।

আহত ছাত্র মো. সাহাদাত হোসেন বলেন, অসুস্থ থাকায় আমি নিয়মিত ছবকে যেতে পারিনি। এ অপরাধেই শিক্ষক আমাকে বেত দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়েছে।

অভিযুক্ত শিক্ষক জহিরুল ইসলাম বলেন, রোববার (১৬ফেব্রুয়ারি) ফজরের নামাজের দুই রাকাত নামাজ পড়ার পর সাহাতাদ পালিয়ে কোথায় যেন চলে যায়,পরে তাকে অনেক খোজাঁ খুজির পর পাওয়া যায়,হঠাৎ চলে যাওয়াতে আমরা অতংকে ছিলাম। পাওয়ার পর তাকে কয়েকটা পিটনি দিয়েছি। পরে আমি বুঝতে পারছি সাহাদাতকে পিটানোটা আমার ভুল হয়েছে। তবে আমি ভুল বুঝতে পারছি,এখন বিষয়টির সমাধান চাই।
মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি হেলাল উদ্দিন বলেন, ঘটনাটি দুঃখজনক। আমি বিষয়টি পরে শোনেছি,কিন্তু আমার একটু সময়রে অভাবে বিষয়টি নিয়ে বসতে পারিনি। তবে অতিদ্রুত বিষটি সমাধানের চেষ্টা করবো এবং অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

শ্রীপুর মডেল থানার পুলিশ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী বলেন, বিষয়টি আমাদেরকে কেউ জানায়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এস.সানি // ১৮.০২.২০২০

বিভাগের আরো খবর

You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MySQL server version for the right syntax to use near 'ORDER BY bn_content.ContentID DESC LIMIT 8' at line 1