বিশ্বজুড়ে চলছে ভালোবাসা সপ্তাহ। ভ্যালেন্টাইনের সপ্তাহটি ৭ ফেব্রুয়ারি রোজ ডে দিয়ে শুরু হয়েছে। তারপর ৮ তারিখ প্রপোজ ডে, ৯ তারিখে চকলেট ডে, ১০ তারিখ টেডি ডে, ১১ ফেব্রুয়ারি প্রমিস ডে। আর ভ্যালেন্টাইন উইকের ষষ্ঠ দিন কিস ডে। প্রতি বছর ১২ ফেব্রুয়ারি বিশ্বজুড়ে পালিত হয় কিস ডে।
মনের যে অনুভূতি মুখের ভাষায় প্রকাশ করা যায় না, তা খুব সহজেই প্রকাশ করা যায় চুমুর মাধ্যমে। চুমু হলো ভালোবাসা প্রকাশের সবচেয়ে শক্তিশালী ভাষা। ১৪ ফেব্রুয়ারি ভ্যালেন্টাইন দিবসের আগে যেসব দিবস পালিত হয়ে থাকে, তার মধ্যে অন্যতম আজকের দিনটি অর্থাৎ ১২ ফেব্রুয়ারির কিস ডে।
ধারণা করা হয়, প্রাচীনকাল থেকে ভালোবাসার গভীরতা চুম্বনের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়ে থাকে। আদিম যুগে মানুষ যখন গুহায় বসবাস করতো তখন থেকেই চুমুর আদান-প্রদান শুরু। মা তার সন্তানের খাবার চিবিয়ে নরম করে মুখে দিয়ে দিত। তখন থেকেই চুম্বন স্নেহের এবং ভালোবাসার চিহ্ন হয়ে ওঠে যা মা-শিশু থেকে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে প্রচলিত হয়। আর তখন থেকে ভালোবাসার গভীরতা, অন্তরঙ্গতা আমরা চুম্বনের মাধ্যমে প্রকাশ করে থাকি। হতে পারে তা আপনার সন্তানের, মায়ের অথবা প্রিয়জনের।
কিস ডে সর্বপ্রথম ইংল্যান্ডে পালিত হয়। সাংস্কৃতিক কারণে আমাদের দেশে এই দিবসটি তেমন জনপ্রিয় না হলেও পাশ্চাত্যে এর ভিন্ন তাৎপর্য রয়েছে। ইউরোপ-আমেরিকার দেশগুলোতে কিস ডের একটি জনপ্রিয় আয়োজন হলো ‘চুম্বন প্রতিযোগিতা’, যেখানে প্রতিযোগীদের দীর্ঘ সময় ধরে চুম্বনে আবদ্ধ থাকতে হয়। সেই জুটিই বিজয়ী হবে, যারা সবচেয়ে বেশি সময় ধরে চুম্বনে আবদ্ধ ছিল। গত বছর থাইল্যান্ডের এক জুটি টানা ৫৯ ঘণ্টা পেরিয়ে চুম্বনে প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়।
এস.স/ম //১২.০২.২০২০