সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

অতিথি পাখি’র কলতানে মুখরিত নওগাঁর জবই বিল

প্রকাশিত: ০৫:১৮ পিএম, জানুয়ারি ২২, ২০২০
নওগাঁ জেলা প্রতিনিধিঃ নওগাঁর সাপাহারের ঐতিহ্যবাহী জবই বিল এখন অতিথি পাখির কলতানে মুখরিত। ২০২০সালের শুরু থেকে সুদুর রাশিয়া, সাইবেরিয়াসহ বিশ্বের শীত প্রধান দেশ থেকে শত-শত পিয়াং হাঁস, পাতি সরালি, লেঙজা হাঁস, বালি হাঁস, পাতিকূট পাখি বিলে এসে অসম্ভব সুন্দর করে তুলেছে গোটা পরিবেশকে। আছে দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির শামুক খোল, পানকৌড়ী, ছন্নি হাঁস ইত্যাদি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কঠোরতা ও জীববৈচিত্র সংরক্ষণ কমিটির সদস্যদের নজরদারিতে বিল এলাকায় যে কোনো ধরনের পাখি শিকার বন্ধ রয়েছে। যার ফলশ্রুতিতে বর্তমানে দেশ-বিদেশ থেকে হরেক রকম পাখির আগমনে পুরো বিল এলাকা পাখির কলতানে মুখরিত। পাশাপাশি বিল এলাকা এখন অতিথিদের কারণে অনন্য হয়ে উঠেছে। উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানাগেছে, নওগাঁ-১ আসনের সংসদ সদস্য গণ প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকরের খাদ্যমন্ত্রী বাবু সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি সাপাহার উপজেলার ঐতিহ্যবাহী জবই বিলটিকে একটি ঐতিহ্যবাহী পর্যটক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে নানা পদক্ষেপ নিয়েছেন। সরেজমিনে বিল এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, অনেক পাখি প্রেমীরা পাখি দেখতে বিল এলাকায় এসে ভিড় জমাচ্ছেন। বিভিন্ন প্রজাতির পাখির ওড়া-ওড়ি, ডানা ঝাপটানো দেখে মুগ্ধ দর্শনার্থীরা। বিলের পাড়ে পর্যাটকদের জন্য ঘোরাফেরা ও বসার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হলে ভবিষ্যতে সাপাহারের জবই বিলটি দেশের একটি আকর্ষণীয় পর্যটনকেন্দ্রে রুপ নিতে পারে বলেও মনে করছেন আগত পর্যটকরা। জানাগেছে, এই সুন্দর পাখিগুলোকে এক শ্রেণীর বিবেকহীন ব্যক্তি অবাধে বিলে এসে শিকার করে তা বিভিন্ন হাটবাজারে বিক্রি করত। এমনকি গত বছরও এলাকার কতিপয় ব্যক্তি এ বিল থেকে বেশ কিছু পাতি সরালি হাঁস ফাঁদ পেতে ধরে বিক্রি করার সময় তাদের জবই বিল জীববৈচিত্র সংরক্ষণ ও সমাজ কল্যাণ সংস্থার সদস্যরা হাতেনাতে ধরে ফেলেন। পরে ওই পাখি শিকারীদের উপজেলা নির্বাহী অফিসার কল্যাণ চৌধুরীর নিকট নিয়ে এলে তিনি ভ্রাম্যমাণ আদালতে তাদের শাস্তি প্রদান করেন। এরপর হতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কঠোরতা ও জীববৈচিত্র সংরক্ষণ কমিটির সদস্যদের জোরালো নজরদারিতে বিল এলাকায় যেকোনো ধরনের পাখি শিকার বন্ধ রয়েছে। যার ফলশ্রুতিতে বর্তমানে দেশ-বিদেশ হতে হরেকরকম পাখির আগমনে পুরো বিল এলাকা এখন পাখির কলতানে মুখরিত হয়ে উঠছে। বেশ কয়েক বছর ধরে ওই এলাকার কিছু যুবক জবই বিল জীববৈচিত্র সংরক্ষণ ও সমাজ কল্যাণ সংস্থা নামে একটি সংগঠন তৈরি করে বিলে অতিথি পাখিসহ সব ধরনের পাখি শিকার বন্ধ করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এছাড়া বিলে কোন কচুরিপানা না থাকলেও সরকারি ও বে-সরকারিভাবে মৎস্যজীবিরা খরা মৌসুমে বিলের পানি শুকিয়ে গেলে মা মাছ রক্ষায় বিলের মধ্যে বেশ কিছু এলাকায় বাঁশ কাঠ ও কচুরিপানা দিয়ে মাছের অভয়াশ্রম গড়ে তোলে যার নাম কাঠা। খরা মৌসুমে মা মাছ গুলো ওই স্থানে লুকিয়ে থাকে। বর্তমানে জীববৈচিত্র সংরক্ষণ কমিটির সদস্যদের প্রচেষ্টা ও মৎস্যজীবীদের বানানো কচুরিপানার কাঠা থাকায় এই শীত মৌসুমে অতীতের মতো আবারো দেশি-বিদেশি পাখিরা অবাধে বিচরণ করতে শুরু করেছে। জীববৈচিত্র সংরক্ষণ কমিটির সভাপতি সোহানুর রহমান সোহান জানান, ভবিষ্যতে বিলের বিশাল অংশে কচুরিপানা দিয়ে মাছসহ পাখিদের বড় ধরনের অভয়াশ্রম এবং বিভিন্ন প্রজাতির গাছ লাগিয়ে বনাঞ্চল তৈরি করলে সারাবছর সেখানে পাখিদের আনাগোনা থাকবে।যার ফলে জবই বিল ফিরে পেতো তার ঐতিহ্য ও নাব্যতা। এস.তানভীর // ২২.০১.২০২০

বিভাগের আরো খবর

You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MySQL server version for the right syntax to use near 'ORDER BY bn_content.ContentID DESC LIMIT 8' at line 1