সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

নাগরিকত্ব আইন করা ভারতের দরকার ছিল না : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৩:২৯ পিএম, জানুয়ারি ১৯, ২০২০
একুশে সংবাদ : ভারতের নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করার প্রয়োজন ছিল না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আবুধাবিতে গত শনিবার গালফ নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন। সাক্ষাৎকারটি শনিবার প্রকাশ করা হয়। ভারতীয়দের একাংশের প্রবল আপত্তি এবং বিক্ষোভ-আন্দোলনের মধ্যেই গত ১০ জানুয়ারি ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের এক বিজ্ঞপ্তিতে ভারতের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) কার্যকর করার কথা জানানো হয়। সংশোধিত এই নাগরিকত্ব আইনের মাধ্যমে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাওয়া অ-মুসলমানরা (হিন্দু, শিখ, পার্সি, খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ, জৈন) ভারতের নাগরিকত্ব পাবে। ভারতের এই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে গালফ নিউজের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'তারা (ভারত সরকার) কেন এটা (নাগরিকত্ব আইন সংশোধন) করল আমরা বুঝি না। এর প্রয়োজন ছিল না।' তবে একই সঙ্গে নাগরিকত্ব আইন সংশোধনের বিষয়টিকে ভারতের 'অভ্যন্তরীণ বিষয়' বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, 'বাংলাদেশ সবসময়ই বলে এসেছে যে, সিএএ ও এনআরসি (জাতীয় নাগরিকপঞ্জি) ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। ভারত সরকারও বারবার তাদের পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করেছে যে এনআরসি তাদের অভ্যন্তরীণ একটি বিষয়। ২০১৯ সালের অক্টোবরে নয়াদিল্লি সফরকারে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ব্যক্তিগতভাবেও এ বিষয়ে আশ্বস্ত করেছেন বলে এ সময় উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা। এ ছাড়া এনআরসি বা সিএএ'র কারণে ভারত থেকে কারও বাংলাদেশে ফিরে আসার কোনো তথ্য নেই বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, 'ভারত থেকে কোনো অভিবাসী ফিরে আসছে না। তবে ভারতের ভেতরে মানুষ অনেক ধরনের সমস্যা মোকাবিলা করছে। বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ১০ দশমিক ৭ শতাংশ হিন্দু এবং দশমিক ৬ শতাংশ বৌদ্ধ- এ তথ্য উল্লেখ করে গালফ নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, ধর্মীয় নিপীড়নের কারণে এ দেশের নাগরিকদের ভারতে অভিবাসনের বিষয়টি বাংলাদেশ বরাবরই অস্বীকার করে আসছে। এস.স,ম //১৯ .০১.২০২০

বিভাগের আরো খবর

You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MySQL server version for the right syntax to use near 'ORDER BY bn_content.ContentID DESC LIMIT 8' at line 1