সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

শীতে ঘুরে আসুন মেঘের রাজ্য সাজেক ভ্যালি

প্রকাশিত: ০৩:৪৬ পিএম, ডিসেম্বর ৪, ২০১৯
একুশে সংবাদ: রূপসী বাংলার বর্ণনাতীত রূপের একটি ঝলকের নাম সাজেক ভ্যালী। সৌন্দর্যের লীলাময় এই সাজেক সমুন্দ্রপৃষ্ট থেকে ১৪৮৮ ফুট উপরে অবস্থিত। সাজেক ভ্যালিকে অনেকে বাংলাদেশের দার্জিলিং বলেও আখ্যায়িত করেন। এর অবস্থান রাঙ্গামাটিতে হলেও এখানে যেতে হয় খাগড়াছড়ি হয়ে। যাত্রাপথের পুরো রাস্তাটাই অপূর্ব, চারদিকে মনোরম দৃশ্য। রাস্তার দুই পাশে ছিমছাম লাল-সবুজ বাড়ি, আর পাহাড়ের ভাঁজে ভাঁজে বসে মেঘের মেলা। যেভাবে যাবেনঃ ঢাকা টু খাগড়াছড়িঃ বাসে করে ঢাকা থেকে খাগড়াছড়ি যেতে হবে। নন-এসি বাস ৫২০ টাকা (শ্যামলী, শান্তি পরিবহন, ঈগল, ইকোনো, এস আলম ইত্যাদি), এসি বাস ৮০০ টাকা (একমাত্র সেন্টমার্টিন পরিবহন)। ঢাকা থেকে বাস ছাড়ে সকালে ও রাতে (১১.০০ টায়) এবং খাগড়াছড়ি থেকে বাস ছাড়ে সকালে ও রাতে (৯.০০ টায়)। ঢাকা থেকে খাগড়াছড়ি যেতে সময় লাগবে রাতে ৭/৮ ঘন্টা এবং দিনে ৮/১০ ঘন্টা। খাগড়াছড়ি টু সাজেকঃ খাগড়াছড়ি শহড়ের শাপলা মোড় থেকে চান্দের গাড়ী/ সিএনজি রিজার্ভ করে সাজেক যাওয়া যাবে। এছাড়াও নিজস্ব মাইক্রো বা কার নিয়েও যাওয়া যাবে। সময় লাগবে সবমিলিয়ে ৩ ঘন্টা। চান্দের গাড়ী ভাড়া ৫০০০/৬০০০ টাকা (দরদাম করতে হবে), সিএনজি ভাড়া ৩০০০/৪০০০ টাকা (সিএনজিতে না যাওয়াই ভাল কারন প্রকৃতি ভালভাবে দেখা যাবে না)। যাওয়ার পথের সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে হলে চান্দের গাড়ীর ছাদে বসে যেতে হবে। সেই ক্ষেত্রে সাবধানে ধরে বসতে হবে। একটি চান্দের গাড়ীতে অনায়াসে ১২ জন যেতে পারবেন। কোথায় থাকবেন? ১) রুনময় রিসোর্ট (সাজেক ভ্যালী): যোগাযোগ ০১৮৬৫৬৮৮৭৭। মোট ৫ টি রুম আছে। আর্মি অফিসারদের জন্য ভাড়া ১২৫০-১৬৫০, সরকারী কর্মকর্তাদের জন্য ভাড়া ২৫৫০-৩১৫০, সাধারন জনগনের জন্য ভাড়া ৪৪৫০-৪৯৫০ টাকা প্রতি রাতের জন্য। ২) সাজেক রিসোর্ট (রুইলুই পাড়া): যোগাযোগ ০১৭৮৩৯৬৯২০০। মোট ৪ টি রুম আছে। আর্মি অফিসারদের জন্য ভাড়া ২৫০০-৫০০০, সরকারী কর্মকর্তাদের জন্য ভাড়া ৪০০০-৭০০০, সাধারন জনগনের জন্য ভাড়া ১০০০০-১৫০০০ টাকা প্রতি রাতের জন্য। ৩) রুইলুই পাড়া ক্লাব হাউসঃ যোগাযোগ ০১৮৩৮৪৯৭৬১২, ০১৮৬০১০৩৪০২। ১৫ জন থাকতে পারবেন। ভাড়া ১০০ টাকা জনপ্রতি (কম-বেশী হতে পারে)। ৪) আলো রিসোর্টঃ যোগাযোগ ০১৮৬৩৬০৬৯০৬। মোট ৬ টি রুম। ভাড়া ৭০০-১০০০ টাকা প্রতি রাতের জন্য। কোথায় খাবেন? উপরে উল্লেখিত রিসোর্টগুলোতে থাকলে আশেপাশের রেস্তোরাঁয় খেতে হবে। রুইলুই পাড়ায় বেশ কিছু রেস্তোরাঁ আছে। খাওয়ার প্রায় ঘণ্টাখানেক আগে খাবার অর্ডার করতে হবে। অর্ডার না পেলে এরা কোনো খাবার তৈরী করে না। এছাড়া চাইলে স্থানীয় আদিবাসীদের বাড়িতেও অল্প টাকায় থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করতে পারবেন। সাজেকের বিভিন্ন অঞ্চলে লুসাই, পাংখোয়া আর ত্রিপুরাদের বসবাস রয়েছে। যাত্রাপথের বিভিন্ন জায়গায় ছোট ছোট টং দোকানে চা-নাস্তা করার ব্যবস্থা রয়েছে। একুশে সংবাদ//শ.ট.র.ন//০৪.১২.২০১৯

বিভাগের আরো খবর

You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MySQL server version for the right syntax to use near 'ORDER BY bn_content.ContentID DESC LIMIT 8' at line 1