সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

দাবি মানার পরও আন্দোলনের পেছনে ‘ছাত্রদের আবেগ পুঁজি করে ফায়দা লোটার মহল’-তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৭:০৮ পিএম, অক্টোবর ১৩, ২০১৯
একুশে সংবাদ : তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বুয়েটে আবরার হত্যাকান্ডের ঘটনায় ছাত্রদের আবেগ পুঁজি করে একটি মহল ফায়দা লুটতে চায়। আর সেকারণেই দাবি মানার পরও আন্দোলনের কথা তোলা হচ্ছে। রোববার দুপুরে ঢাকায় সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এ সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘বুয়েটে যে ঘটনাটি ঘটেছে, তা অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক, নৃশংস, নিন্দনীয়। কিন্তু বাংলাদেশে একটি মহল আছে, যারা দেশ অস্থিতিশীল হলে ফায়দা লুটতে পারে। আমরা লক্ষ্য করছি ছাত্রদের আবেগ অনুভূতিকে পুঁজি করে বিএনপি এবং তাদের মিত্রদের মহল ছাত্র অঙ্গণকে অশান্ত রেখে দেশকে অশান্ত করার দুরভিসন্ধি চালাচ্ছে। ছাত্রদের মধ্যে তারা তাদের এজেন্ট তৈরি করছে, যে কারণে দাবি মেনে নেয়ার পরও আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা আসছে।’ ‘স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন জাগে, যেখানে সমস্ত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, সেখানে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা কেন?’ -উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা লক্ষ্য করছি, সেখানে শিবির সক্রিয় হয়েছে, শিবির হচ্ছে রগ-কাটা বাহিনী। যখন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলাম, শিবির আমাকে দুইবার হত্যাচেষ্টা চালিয়েছিল। আমি দুইবার মৃত্যুর হাত থেকে, শিবিরের হাত থেকে ফিরে এসেছি।’ মন্ত্রী বলেন, ‘সেখানে (বুয়েটে) শিবির সক্রিয় হয়েছে, ছাত্রদল সক্রিয় হয়েছে। স্বনামে নয়, বেনামে সক্রিয় হয়েছে। তারা বিষয়টাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে। আমি ছাত্রদের আবেগের সাথে সম্পূর্ণ একমত পোষণ করে এমন ঘটনা যেন আর না হয়, সেজন্য তাদের প্রতিবাদের সাথেও একমত পোষণ করে অনুরোধ জানাবো, কেউ যাতে এটিকে পুঁজি করে রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল করতে না পারে, সেজন্য আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।’ ড. হাছান বলেন, ‘আপনারা জানেন, আমরা প্রথম থেকেই এ ঘটনার প্রতিবাদ করেছি এবং কেউ দাবি তোলার আগেই সরকার এ ব্যাপারে কঠিন ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। পুলিশ কোনো মামলা হওয়ার আগেই ১০ জন আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে। এখন পর্যন্ত ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সরকার বা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ছাত্রদের সব দাবি মেনে নিয়েছে। এবং বালাদেশের ইতিহাসে এত ত্বরিৎ গতিতে ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আছে, বুয়েটে ছাত্রদলের দুই গ্রুপের ক্রসফায়ারে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্রী সনি যখন হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল, পুলিশ টিয়ার গ্যাস ছুঁড়ে হত্যাকান্ডের সাথে যুক্তদেরকে পালিয়ে যাবার সুযোগ করে দিয়েছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মহসীন হলের ছাত্র মাহমুদ মামুনকে হত্যা করে যে পানির ট্যাংকের মধ্যে ফেলে রাখা হয়েছিল এবং বেশ কয়েকদিন ধরে সেই পানি ছাত্ররা খেয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের কারণে অপরাপর হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছে চুন্নু, বশিরেরা। এবং এই সমস্ত হত্যাকান্ডের পর বিএনপি কোনো ব্যবস্থাই গ্রহণ করে নাই। সাংগঠনিকভাবে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি এবং প্রশাসনিকভাবেও যে ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা ছিল কিন্তু তা করেনি। এস.পি.এই // ১৩.১০.২০১৯

বিভাগের আরো খবর

You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MySQL server version for the right syntax to use near 'ORDER BY bn_content.ContentID DESC LIMIT 8' at line 1