সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

শ্রীপুরে ছিনতাইয়ের ঘটনায় ৪ যুবক আটক

প্রকাশিত: ১১:০১ এএম, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৯
গাজীপুর : গাজীপুরের শ্রীপুরে ছিনতাইয়ের ঘটনায় চার যুবককে আটক করেছে পুলিশ। আটকের পর ওই চার যুবকদেরকে প্রায় ১২ ঘন্টা পরে চকপাড়া ফাঁড়ি পুলিশ ছেড়ে দেয়। জানা যায়, তেলিহাটি ইউনিয়ন যুবদলের নেতা তোফাজ্জল সরকার তার মোটরসাইকেল ছিনতাই হয়েছে বলে মাওনা পুলিশ ফাঁড়িতে ফোন করে, যুবদলের নেতা তোফাজ্জল সরকার এর ফোনে উপজেলার ধনুয়া গ্রামের শুকুর আলীর ছেলে সুমন মিয়া, একই গ্রামের হাসেন আলীর ছেলে আজগর আলী, লাভলু মিয়া ও ফাইজুদ্দিন চার যুবককে আটক করে পুলিশ। এর আগেই পাথারের পুকুর থেকে মোটরসাইকেলটি উদ্ধার হয়। তবে আটককৃতদের পরিবারের বলছে ভিন্ন কথা, যুবদলের ওই নেতা ধনুয়া গ্রামের কলেজ পড়ুয়া এক মেয়ের সাথে রাতে ধনুয়া পাথারের পুকুর পাড়ে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তুলার সময় এলাকার লোকজনদের তাদেরকে ধাওয়া দেয়। ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যায়। তার গোপন সম্পর্কের কথা জেনে ফেলায় ও এই অপকর্ম ঢাকতেই এসব মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে চার যুবককে আটক করানো হয়। সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) শ্রীপুর মডেল থানার মাওনা পুলিশ ফাঁড়ি ক্যাম্প থেকে আটককৃত চার যুবককে ছেড়ে দেয়া হয়। তাদের সবাইকে বাড়ি থেকে রোববার দিবাগত রাত ৩টার দিকে যুবদল নেতার অভিযোগে মাওনা পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই মোসাব্বিরের নেতৃত্বে কিছু পুলিশ সদস্যরা আটক করে। আটককৃতদের মধ্যে আজগর আলীর পিতা মো.হোসেন আলী বলেন, রাতে পুলিশ দরজায় আচমকা লাগাতার লাথি মারতে থাকে। পরে দরজা খুলে দিলে আমার ঘুমন্ত ছেলেকে টেঁনে হেঁচড়ে নিয়ে যায়। সকালে স্থানীদের সাথে নিয়ে ফাঁড়িতে গিয়ে জানতে পারি ছিনাতাইয়ের অভিযোগে তাদেরকে আটক করা হয়েছে। পরে আমরা এলাকাবাসী রাতের ঘটনা অবহিত করলে ফাঁড়ির ইনচার্জ এক পর্যায় ছিনতাইয়ের ঘটনা মিথ্যা বুঝতে পেরে তাদের ছেড়ে দেয়। স্থানীয়দের অভিযোগ, ফাঁড়িতে অভিযোগ জানালে থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়ে আসতে বলেন মাওনা ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) তারিকুজ্জামান। আর যুবদল নেতার এমন কি বিশেষ ক্ষমতা রয়েছে ফোন দিলেই পুলিশ পাঠিয়ে নিরাপরাদ ছেলেদের ধরে নিয়ে যায়?। আবার আটকের ১২ ঘন্টার মধ্যে তাদের নিরাপরাদ বলে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। যেহেতু মিথ্যা অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে তাহলে বাদীর বিরুদ্ধে পুলিশ কোন ব্যবস্থা নিল না কেন? এমন ভাবে ফাঁড়িতে বহুদিন ধরে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করা হচ্ছে। মাওনা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো.তারিকুজ্জামান বলেন, চার যুবককে ছিনতাইয়ের অভিযোগে আটক করা হয়েছিল। তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা না পাওয়ায় বাদী বিবাদীদের সাথে আপোষ মিমাংসা করে যুবকদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে। গাজীপুর জেলা পুলিশের সহকারি পুলিশ সুপার (কালিয়াকৈর সার্কেল) মো.আল মামুন বলেন, বিনা অপরাধে কোন ব্যক্তিকে আটক করে হয়রানি করে থাকলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এস.সানি // ১৭.০৯.২৫০১৯

বিভাগের আরো খবর

You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MySQL server version for the right syntax to use near 'ORDER BY bn_content.ContentID DESC LIMIT 8' at line 1