সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

ত্রিপুরার মানুষ মুক্তিযুদ্ধকালে খুলে দিয়েছিল মনের দুয়ার-তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০২:৫৬ পিএম, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৯
একুশে সংবাদ : তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, 'মুক্তিযুদ্ধের সময় ত্রিপুরার মানুষ শুধু রাজ্য নয়, বাংলাদেশীদের জন্য খুলে দিয়েছিল তাদের মনের দুয়ার। সেসময় ত্রিপুরার লোকসংখ্যা ছিল ১৫ লাখ, সেখানে বাংলাদেশী শরণার্থীর সংখ্যাও ছিল ১৫ লাখ। বাংলাদেশ তাই সমগ্র ভারতের সাথে ত্রিপুরার অবদানের কথাও চিরদিন স্মরণ করবে।' রোববার সন্ধ্যায় ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলায় রবীন্দ্র শতবার্ষিকী মিলনায়তনে বাংলাদেশের তথ্য মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশন, আগরতলা আয়োজিত 'প্রথম বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব, আগরতলা'র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী একথা বলেন। মন্ত্রী এসময় সমগ্র ভারতের জনগণ ও সরকারের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, 'ভারতের সহযোগিতা ছাড়া এত দ্রুত মুক্তিযুদ্ধে জয়লাভ করা বাংলাদেশের পক্ষে সম্ভব ছিল না। তিনি বলেন, 'রাজনৈতিক সীমানায় বিভক্ত হলেও বাংলাদেশ ও ভারতের জাতীয় সংগীতের রচয়িতা এক, একই জলবায়ুতে একই নদীর অববাহিকায় দু'দেশের মানুষের জন্ম ও বেড়ে ওঠা, একই পাখির কলতানে মুগ্ধতা। দু'দেশের মানুষের বন্ধুত্বও তাই সীমানা ছাড়িয়ে। আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনার কীরিটি চাকমার সভাপতিত্বে অনুষ্টানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে ত্রিপুরা রাজ্যের কৃষি, পর্যটন ও পরিবহন মন্ত্রী প্রণজিত সিংহ রায়, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল করিম, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অবদানের জন্য স্বীকৃতিপ্রাপ্ত জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকদের মধ্যে স্বপন ভট্টাচার্য বক্তব্য রাখেন। চলচ্চিত্র প্রসঙ্গে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, 'চলচ্চিত্র জীবনের কথা বলে, সমাজের দর্পণ হিসেবে মানুষের হৃদয়কে আন্দোলিত করে, হাসায়, কাঁদায়, স্বপ্ন দেখায়, জীবনের নতুন নতুন দিক উন্মোচন করে। চলচ্চিত্র তার নির্মাণের সময়ের জীবনযাত্রাকে ইতিহাসে ধরে রাখে। তাই মানুষের কথা, মানুষের ভাবনা তুলে ধরতে চলচ্চিত্রের অবদান অনবদ্য। সেকারণে মানুষে-মানুষে সম্পর্ক বৃদ্ধিতে চলচ্চিত্রের ভূমিকা অসামান্য। চলচ্চিত্র উৎসবও বন্ধুত্ব গড়তে তাৎপর্যমন্ডিত। অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি ত্রিপুরার কৃষি, পর্যটন ও পরিবহন মন্ত্রী প্রণজিত সিংহ রায় বলেন, 'বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দু'দেশের সম্পর্ককে আরো বন্ধুত্বপূর্ণ করে তুলতে সংস্কৃতি, পরিবহন, বাণিজ্যসহ সবখাতে যে আন্তরিকতার দৃষ্টি দিয়েছেন, আমাদের সকলের দায়িত্ব সে উদ্যোগগুলোকে ত্বরান্বিত করা। আমাদের বঙ্গবন্ধু, স্বাধীনতা কী করে আমাদের হলো, বিশ্ব আঙিনায় অমর একুশ, জাগে প্রাণ পতাকায়, জাতীয় সঙ্গীতে, পুত্র, খাঁচা, ভুবন মাঝি, গেরিলাসহ মুক্তিযুদ্ধ ও সমকালীন জীবনভিত্তিক ২০টি চলচ্চিত্র তিনদিনব্যাপী এ উৎসবে প্রদর্শিত হচ্ছে। অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী ত্রিপুরার মন্ত্রীকে নৌকা স্মারক ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য ১৩জন ভারতীয় নাগরিককে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপপ্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, চলচ্চিত্র প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইসতাক হোসেন, চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার, উপহাইকমিশনের প্রথম সচিব-প্রেস মোঃ মোফাখখারুল ইকবাল, দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক সন্তোষ শর্মা, চিত্রতারকা রোকেয়া প্রাচী, চঞ্চল চৌধুরী, সাইমন, অপর্ণা ঘোষ, চলচ্চিত্র উৎসব আয়োজন সহযোগী প্রতিষ্ঠান অনার্য কর্পোরেশনের নির্বাহী পরিচালক সফিক রহমান, উপদেষ্টা সুনীত কুমার পালৌধি প্রমুখ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এস.পি.এই // ১৬.০৯.২০১৯

বিভাগের আরো খবর

You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MySQL server version for the right syntax to use near 'ORDER BY bn_content.ContentID DESC LIMIT 8' at line 1