সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

টাঙ্গুয়ার হাওর

প্রকাশিত: ০৮:২৬ পিএম, জুলাই ২০, ২০১৯
একুশে সংবাদ: টাংগুয়ার হাওর বাংলাদেশের বৃহত্তম গ্রুপ জলমহালগুলোর অন্যতম।বাংলাদেশের উত্তর-পূর্ব প্রান্তেসুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা এবং তাহিরপুর উপজেলাস্থিত জীববৈচিত্রে সমৃদ্ধ মিঠা পানির এ হাওর বাংলাদেশের ২য় রামসার এলাকা।ভারতের মেঘালয়ের খাসিয়া, জৈন্তা পাহাড়ের পাদদেশে সারি সারি হিজল-করচ শোভিত, পাখিদের কলকাকলি মুখরিত টাংগুয়ার হাওর মাছ, পাখি এবং অন্যান্য জলজ প্রাণীর এক বিশাল অভয়াশ্রম। বর্তমানে মোট জলমহাল সংখ্যা ৫১টি এবং মোট আয়তন ৬,৯১২.২০ একর। তবে নলখাগড়া বন, হিজল করচ বনসহ বর্ষাকালে সমগ্র হাওরটির আয়তন দাড়ায় প্রায় ২০.০০০ একর।টাংগুয়ার হাওর প্রকৃতির অকৃপণ দানে সমৃদ্ধ।এ হাওর শুধু একটি জলমহাল বা মাছ প্রতিপালন, সংরক্ষণ ও আহরণেরই স্থান নয়।এটি একটি মাদার ফিশারী। টাঙ্গুয়ার হাওর মাছ-পাখী এবং উদ্ভিদের পরস্পর নির্ভরশীল এক অনন্য ইকোসিস্টেম। মাছের অভয়াশ্রম হিসাবে এর গুরুত্ব সবচেয়ে বেশী। কিভাবে যাওয়া যায় : প্রথমে আপনাকে যেতে হবে সুনামগঞ্জ জেলা শহরে।ঢাকা থেকে সড়ক পথে সুনামগঞ্জ যাওয়া যায়।সায়দাবাদ থেকে শ্যামলী পরিবহন , হানিফ এন্টারপ্রাইজ , এনা পরিবহন , মামুন পরিবহনের নন এসি বাস যায় সুনামগঞ্জ।ভাড়া এসি ৫শ ' থেকে সাড়ে ৫শ ' টাকা।সুনামগঞ্জ বাসষ্ট্যান্ড থেকে সাহেববাজার ঘাট পর্যন্ত রিকশায়। বর্ষাকালে শহরের সাহেব বাড়ি নৌকা ঘাট থেকে ইঞ্জিন বোট বা স্পীড বোট যোগে সরাসরি টাঙ্গুয়া যাওয়া যায়।ইঞ্জিন বোটে ৫ ঘন্টায় এবং স্পীড বোটে ২ ঘন্টা সময় লাগে।সেক্ষেত্রে ইঞ্জিন বোটে খরচ হয় ২৫০০/- থেকে ৩,০০০/- টাকা আর স্পীড বোটে খরচ হয় ৭,৫০০/- থেকে ৮,০০০/- টাকা।দু-তিন দিনের জন্য নৌকা ভাড়া করলে প্রয়োজনীয় বাজারসদাই করে নিতে হবে।অথবা সুনামগঞ্জ শহরের আগে শুরমা সেতু থেকে লেগুনা কিংবা মোটরবাইকে যেতে হবে তাহিরপুর কিংবা সোলেমানপুর।তবে ফেব্রুয়ারি মাসে সোলেমানপুর যাওয়াই উত্তম কারণ তাহিরপুর থেকে সোলেমানপুরের বৌলাই নদীতে এ সময়ে নাব্যতা কমে যায়। কোথায় থাকবেন : বেসরকারী ব্যবস্থায়পনায় টাঙ্গুয়ার হাওরে রাত্রি যাপনের কোন ব্যবস্থা নেই , তবে সরকারী ব্যবস্থাপনায় ৩কিঃমিঃ উত্তর-পূর্বে টেকেরঘাট চুনাপাথর খনি প্রকল্পের রেষ্ট হাউজে অবস্থান করা যায় । গ্রীষ্মকালে শহরের সাহেব বাড়ি খেয়া ঘাট পার হয়ে অপর পার থেকে প্রথমে মোটর সাইকেল যোগে ২ ঘণ্টায় শ্রীপুর বাজার।ডাম্পের বাজার যেতে হয়।ভাড়া ২০০ টাকা।সেখান থেকে ভাড়াটে নৌকায় টাঙ্গুয়া ঘুরে আসা যায়।সেক্ষেত্রে ভাড়া বাবদ ব্যয় হতে পারে ৩০০-৪০০/- টাকা।এছাড়া সুনামগঞ্জে ২০০ টাকা থেকে শুরু করে ১০০০ টাকার মধ্যে থাকার জন্যে হোটেল ভাড়া পাবেন। একুশে সংবাদ//আ.ব.ন//২০.০৭.২০১৯

বিভাগের আরো খবর

You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MySQL server version for the right syntax to use near 'ORDER BY bn_content.ContentID DESC LIMIT 8' at line 1