সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

রপ্তানি আয় বেড়ে ১০.৫৫ শতাংশ

প্রকাশিত: ১১:২১ এএম, জুলাই ১০, ২০১৯
একুশে সংবাদ: প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্সের মতো পণ্য রপ্তানিতেও ভালো প্রবৃদ্ধি নিয়ে শেষ হলো ২০১৮-১৯ অর্থবছর। সদ্য শেষ হওয়া এই অর্থবছরে বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি করে ৪ হাজার ৫৩ কোটি ৫০ লাখ (৪০.৫৩ বিলিয়ন) ডলার আয় করেছে বাংলাদেশ। এই অংক লক্ষ্যের চেয়ে ৪ শতাংশ এবং আগের অর্থবছরের (২০১৭-১৮) চেয়ে সাড়ে ১০ শতাংশ বেশি। খবর বিডিনিউজের। মূলত তৈরি পোশাকের উপর ভর করে রপ্তানি আয়ে ভালো প্রবৃদ্ধি নিয়েই অর্থবছর শেষ করেছে বাংলাদেশ। মোট রপ্তানির ৮৪ দশমিক ২০ শতাংশই এসেছে এই খাত থেকে। তবে শেষ মাস জুন ভালো যায়নি। এই মাসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আয় কমেছে ২২ দশমিক ৬৫ শতাংশ। গত বছরের জুনের চেয়ে কমেছে ৫ দশমিক ২৭ শতাংশ। আর সে কারণে ১১ মাসে (জুলাই-মে) যেখানে ১২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছিল; অর্থবছর শেষে তা ১০ দশমিক ৫৫ শতাংশে নেমে এসেছে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) সোমবার রপ্তানি আয়ের হালনাগাদ যে তথ্য প্রকাশ করেছে তাতে দেখা যায়, ৩০ জুন শেষ হওয়া ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৪ হাজার ৫৩ কোটি ৫০ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা ধরা ছিল ৩ হাজার ৯০০ কোটি ডলার। আগের বছরে রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৩ হাজার ৬৬৬ কোটি ৮২ লাখ ডলার। এ হিসাবেই প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১০ দশমিক ৫৫ শতাংশ। আর লক্ষ্যের চেয়ে আয় বেড়েছে ৩ দশমিক ৯৪ শতাংশ। তবে এই প্রবৃদ্ধিতে খুব বেশি খুশি নন পোশাক রপ্তানিকারকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি রুবানা হক। তিনি বলেন, ‘গত পাঁচ বছরে বাংলাদেশের প্রধান প্রতিযোগী ভিয়েতনামে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১১ দশমিক ৭৫শতাংশ। সেখানে আমাদের পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে অর্ধেকেরও কম; ৫ দশমিক ৭ শতাংশ। এর প্রধান কারণ হচ্ছে আমরা আমাদের পোশাকের ন্যায্য দাম পাচ্ছি না। বেশি পোশাক রপ্তানি করে কম আয় করছি। এখানে আমাদের পোশাক রপ্তানিকারকরাও এক ধরনের অসুস্থ প্রতিযোগিতা করে কম দামে অর্ডার নিচ্ছে। বায়ারাও এই সুযোগ নিয়ে কম দামে পোশাক কিনছে। আমাদের এখন পোশাকের দাম বাড়ানোর দিকে বেশি মনোযোগ দিতে হবে। এক্ষেত্রে সরকার, মালিক এবং শ্রমিক সবাই মিলে এক সাথে কাজ করতে হবে। তা না হলে এখন যে ১০/১১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হচ্ছে সেটাও ভবিষ্যতে থাকবে না।’ অর্থনীতির গবেষক জায়েদ বখত বলেন, ‘এবার পুরো বছর ধরেই রপ্তানিতে মোটামুটি ভালো প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে বাংলাদেশ। রেমিটেন্সের পাশপাশি রপ্তানি আয়ের ভালো প্রবৃদ্ধির কারণে অর্থনীতিও স্বস্তিদায়ক অবস্থায় রয়েছে। আমদানি বাড়ার পরও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে টান পড়েনি। ‘তবে তৈরি পোশাকের উপর নির্ভর করে এই আয় মোটেই ভালো নয়’ মন্তব্য করে জায়েদ বখত বলেন, ‘অনেক দিন ধরেই আমরা রপ্তানি পণ্যের বহুমুখীকরণের কথা বলছি। কিন্তু খুব বেশি কাজ হচ্ছে না। এই দিকে আমাদের এখন বেশি নজর দিতে হবে।’ তবে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল শুনিয়েছেন আশার কথা। ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় তিনি বলেছেন, রপ্তানি খাতকে বিকশিত করার লক্ষ্যে এ খাতটি যাতে প্রতিযোগিতায় টিকতে পারে এমন অবস্থানে নিয়ে আসা হবে। দূর করা হবে সকল ধরনের বাধা। যে সব খাতে রপ্তানির সুযোগ বেশি সেখানে সকল প্রকার সুযোগ-সুবিধা দেয়া হবে। আমাদের আইসিটি, চামড়া, ওষুধ, আসবাবপত্র, জুয়েলারি গুরুত্বপূর্ণ খাত হতে পারে।’ একুশে সংবাদ// দ.আ.র.ন //১০.০৭.২০১৯

বিভাগের আরো খবর

You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MySQL server version for the right syntax to use near 'ORDER BY bn_content.ContentID DESC LIMIT 8' at line 1