সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

ঈদযাত্রায় দুর্ঘটনায় ২৯৮ জন নিহত, ৮৬০ জন আহত: যাত্রী কল্যাণ সমিতি

প্রকাশিত: ১২:৪৭ পিএম, জুন ১৫, ২০১৯
একুশে সংবাদ : সদ্য বিদায়ী ঈদযাত্রায় সড়ক, রেল ও নৌ-পথে সম্মিলিতভাবে ২৫৬ টি দুর্ঘটনায় ২৯৮ জন নিহত ও ৮৬০ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। আজ শনিবার সকালে নগরীর সেগুনবাগিচাস্থ ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিবেদন-২০১৯ প্রকাশকালে এই তথ্য তুলে ধরেন। সংগঠনটির সড়ক দুর্ঘটনা মনিটরিং সেল প্রতিবছরের ন্যায় এবারো এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতিবছর ঈদ কেন্দ্রিক সড়ক দুর্ঘটনা আশংকাজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় সংগঠনটি ঈদ যাত্রায় সড়ক, রেল ও নৌ-পথে দুর্ঘটনা, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও যাত্রী হয়রানীর বিষয়টি বিগত ২০১৬ সাল থেকে অত্যান্ত দক্ষতা ও বিশ্বস্থতার সহিত পর্যবেক্ষণ করে আসছে। যা সর্বমহলে প্রশংসিত হওয়ার পাশাপাশি জনসচেতনতা সৃষ্টিতে উল্লেখযোগ্য ভুমিকা রাখছে। লিখিত বক্তব্যে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, বিগত ঈদের চেয়ে এবার রাস্তাঘাটের পরিস্থিতি তুলনামূলক ভালো, নৌ-পথে বেশ কয়েকটি নতুন লঞ্চ বহরে যুক্ত হয়েছে, রেলপথেও বেশ কয়েক জোড়া নতুন রেল ও বগি সংযুক্ত হয়েছে। এবারের ঈদের লম্বা ছুটি থাকায় জনসাধারণ আগেভাগে বাড়ি পাঠানোর সুযোগ কাজে লাগানোর কারণে ঈদযাত্রা খানিকটা স্বস্তিদায়ক হয়েছে। রাস্তাঘাটের পরিস্থিতি উন্নতিসহ সার্বিক পরিকল্পনা এবং বিগত ২০১৬ সাল থেকে ঈদযাত্রায় যাত্রী কল্যাণ সমিতির ধারাবাহিক সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিবেদনসমূহ গণমাধ্যম ও সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ গুরুত্ব দিয়ে কাজে লাগানোর কারণে এবারের ঈদে বিগত বছরের তুলনায় সড়ক দুর্ঘটনা ১৯.৩৯ শতাংশ, নিহত ২৪.১৭ শতাংশ ও আহত ৪৮.৯৯ শতাংশ কমেছে। এবছর মোট সংঘটিত ২৩২টি সড়ক দুর্ঘটনার ৭৬টি ঘটেছে মোটরসাইকেলের সাথে অন্যান্য যানবাহনের সংঘর্ষে, যা মোট দুর্ঘটনার ৩৩ শতাংশ। যেখানে মোট নিহতের ৩০ শতাংশ এবং মোট আহতের ১০ শতাংশ। অন্যদিকে পথচারীকে গাড়ী চাপা দেয়ার ঘটনা প্রায় ৪৫ শতাংশ ঘটেছে। আগামী ঈদে এ দুটি ঘটনা এড়ানো সম্ভব হলে এই দুর্ঘটনার প্রায় ৮০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। ঈদ যাত্রা শুরুর দিন ৩০ মে থেকে ঈদ শেষে বাড়ি থেকে কর্মস্থলে ফেরা ১১ জুন পর্যন্ত বিগত ১৩ দিনে ২৩২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৭৩ জন নিহত ও ৮৪৯ জন আহত হয়েছে। এসব ঘটনায় ৪০জন চালক, ২০জন শ্রমিক, ৬৮জন নারী, ৩৩জন শিশু, ২৪জন ছাত্র-ছাত্রী, ০২জন চিকিৎসক, ১৯জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনীর সদস্য, ০৩জন রাজনৈতিক নেতা, ৯১২জন পথচারী সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। উল্লেখিত সময়ে রেল পথে ট্রেনে কাটা পড়ে ০৮টি, ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে ০২ টি , ট্রেন যানবাহন সংঘর্ষে ০১ টি, ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার ০২টি ঘটনায় মোট ১৩ জন নিহত ও ০৩ জন আহত হয়েছে। একই সময়ে নৌ-পথে ১১টি ছোটখাট বিচ্ছিন্ন দুর্ঘটনায় ১২ জন নিহত, ০৩ জন নিখোঁজ ও ০৮ জন আহত হয়েছে। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির সড়ক দুর্ঘটনা মনিটরিং সেলের সদস্যরা বহুল প্রচারিত ও বিশ্বাসযোগ্য ৪০টি জাতীয় ও আঞ্চলিক দৈনিক , ০৮টি অনলাইন দৈনিক এ প্রকাশিত সংবাদ মনিটরিং করে এ প্রতিবেদন তৈরি করে । একুশে সংবাদ // এস. ম,হ // ১৫.০৬.২০১৯

বিভাগের আরো খবর

You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MySQL server version for the right syntax to use near 'ORDER BY bn_content.ContentID DESC LIMIT 8' at line 1