সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

ভারত বাংলাদেশে স্মার্ট সিটি তৈরিতে আগ্রহী: অর্থমন্ত্রী

প্রকাশিত: ১১:১৫ এএম, মে ৭, ২০১৯
একুশে সংবাদ : ভারতীয় হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলী দাস গতকাল অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সাথে শেরেবাংলা নগরে তাঁর কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎকালে তাঁরা আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ প্রকল্পের নির্মাণ কাজ, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়ন, বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন। অর্থমন্ত্রী বলেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক ঐতিহাসিক। সময়ের আবর্তনে এ সম্পর্ক পারস্পরিক বিশ্বাসের ওপর ভর করে পরিপক্কতা লাভ করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার ভারতের সাথে বহুবিধ সম্পর্ক গড়ে তুলতে ভাল সম্পর্ক, বিশ্বাস, পারস্পরিক স্বার্থ ও সম্মানের ভিত্তিতে নীতি গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশ ভারতের সাথে সম্পর্ককে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে থাকে। তৃতীয় লাইন অভ্ ক্রেডিটের আওতায় ৪৫০ কোটি ডলারের ঋণে ভারতের সঙ্গে বিদ্যুৎ, রেলপথ, সড়ক, জাহাজ চলাচল, বন্দরসহ অবকাঠামো খাতে ১৭টি অগ্রাধিকার প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ। ভারতীয় হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলী বাংলাদেশকে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বন্ধুপ্রতিম দেশ হিসেবে অভিহিত করে বলেন, দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। তিনি বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার সাম্প্রতিক যোগাযোগ ব্যবস্থা বিশেষ করে রেল ও সড়ক যোগাযোগ উন্নয়নের বিষয়টি তুলে ধরেন। ৎ তিনি বলেন, বাংলাদেশকে এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হলে অবশ্যই যোগাযোগ ব্যবস্থা ও প্রাতিষ্ঠানিক উন্নয়নের দিকে আরো বেশি জোর দিতে হবে। ভারত বাংলাদেশের উন্নয়নের সহযোগী হিসেবে বাংলাদেশের এলএনজি, বিদ্যুৎ খাতসহ বিভিন্ন খাতে আরো বেশি বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। অর্থমন্ত্রী বাংলাদেশের কৌশলগত ভৌগোলিক অবস্থানের কথা উল্লেখ করে বলেন, এ দেশের ভৌগোলিক অবস্থান দেশটিকে আঞ্চলিক যোগাযোগ, বিদেশি বিনিয়োগ এবং গ্লোবাল আউটসোর্সিংয়ের একটি কেন্দ্রে পরিণত করেছে। বাংলাদেশে এখন জনমিতিক লভ্যাংশ (ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড) কাল চলছে, যা ২০৬১ সাল পর্যন্ত থাকবে। দক্ষ জনবল হিসেবে গড়ে তুলতে দেশের তরুণ-তরুণীদের বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। সরকার ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করছে। বর্তমান যুগ হলো আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স, ম্যাটরিয়াল সায়েন্স, বায়োকেমিস্ট্রি, ব্লক চেইন টেকনোলজি, কোয়ান্টাম সায়েন্স, রোবটিক্স, ন্যানো টেকনোলজি ইত্যাদির যুগ। আগামীর চাহিদা পূরণে আমাদের ক্লাসরুমগুলোতে পর্যায়ক্রমে এসব বিষয় শিক্ষা প্রদান করতে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। ভারত চাইলে এ খাতেও বিনিয়োগ করতে পারে। ভ্যাট আদায়ে ফাঁকি রোধে ইলেকট্রনিক ফিসকাল ডিভাইস বা ইএফডি ব্যবহার বাধ্যতামূলক করার লক্ষ্যে ইএফডি ক্রয় প্রক্রিয়া এনবিআর-এ চলমান আছে। এ প্রক্রিয়াতেও তিনি ভারতকে অংশগ্রহণ করার আহ্বান জানান। পাশাপাশি বাংলাদেশে ভারত এনবিআরের অটোমেশন, ব্যাংকিং খাত, জ্বালানি মজুত কেন্দ্রসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করতে পারে। অর্থমন্ত্রীর বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের আহ্বানে ভারতীয় হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলী আন্তরিকভাবে বিভিন্নখাতে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং ভারতের বিভিন্ন স্মার্ট সিটির আদলে বাংলাদেশে স্মার্ট সিটির পরামর্শ প্রদান করেন। অর্থমন্ত্রী স্মার্ট সিটির পরামর্শের উত্তরে বলেন, বাংলাদেশের স্মার্ট সিটি তৈরি করার যথেষ্ট সম্ভাবনা ও স্থান রয়েছে। ভারত আগ্রহী হলে বাংলাদেশ যে কোনো সময়ে উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে স্মার্ট সিটি তৈরি করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। একুশে সংবাদ // এস.পি.এই // ০৭.০৫.২০১৯

বিভাগের আরো খবর

You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MySQL server version for the right syntax to use near 'ORDER BY bn_content.ContentID DESC LIMIT 8' at line 1